বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও আমাদের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে আমরা হতাশ। কখনো নিজের চুল ছিঁড়ছি আবার কখনো দেশের সরকার ও প্রশাসনের নামে চেঁচামেচি করেই শান্ত হচ্ছি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি শুধু বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্বে একযোগে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসুন আমরা মিডলইস্টের দুবাই শহরে যাই যেখানে আমাদের পরিচিত ফল যা আমরা নিত্যদিন বাংলাদেশ কিনে খাই সেই ফলের মূল্যের সাথে বাংলাদেশের মূল্যের পার্থক্যটা লক্ষ্য করি। পরিচিত একজন জানালো দুবাইয়ের একটি সুপার মলে কাঁঠালের আধা কটার (৮/১ আংশ) বা একটি টুকরো, দাম ২২,৯৩ দুবাই দেরহাম যার বাংলাদেশের দাম পড়ে ৭০৬.১০টাকা। দুবাইতে শশার কেজি মাত্র সাড়ে ১০ দেরহাম, বাংলা টাকায় মাত্র ৩২১.১’টাকা। আমরা যদি আমাদের বিক্রয় পণ্য মধ্যস্বত্বভোগী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা স্বল্প লাভ রেখে বিক্রি করতো তাহলে দ্রব্যমূল্য আরও অনেক কম হতো। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির এই দিকটা নজরে আনা উচিত। ১০ টাকা মূল্যের জিনিস ১১ টাকা ১২ টাকা হতে পারে ১৫ টাকা বা ২০ টাকা হতে পারে না। ভারতের চিনির মূল্য ১০ পয়সা বৃদ্ধি পেলে ক্রেতারা প্রতিবাদ করে। আর আমরা নিরবে পকেট থেকে টাকা বার করে দ্রব্য ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যাই। আমরাও কিন্তু কম যাই না। আসুন সোচ্চার হই সচেতন হই নিজেদের জন্যে সুন্দর নিজের মতো করে দেশগড়ি।
– সেলিম শাহারীয়ার, গণমাধ্যম ও সমাজকর্মী
[মতামত ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার এর জন্য কেউ দায়ী নয়]