ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত 

রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে মাসব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক অভিযান

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ১০:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১৭ জন পড়েছেন ।

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- এর সময় নিরাপদে রাস্তায় চলাচল বিষয়ে রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে মাসব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক অভিযান।

আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, সড়ক দুর্ঘটনা বিশ^ব্যাপী মানুষের মৃত্যু ও দীর্ঘমেয়াদী পঙ্গুত্বের অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেইফটি ২০১৮’- এর তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় (রোড ক্রাশ) প্রায় ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও ২০-৫০ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয় বা পঙ্গুত্বের শিকার হয়। সড়ক দুর্ঘটনা (রোড ক্রাশ) ৫-২৯ বছর এবং আরও কমবয়সী শিশুদের জন্য মৃত্যুর ১ নম্বর কারণ এবং সকল বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে ৮ম প্রধান কারণ। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, বিশ্বব্যাপী শতকরা ৯০ ভাগ সড়ক দুর্ঘটনা (রোড ক্রাশ) ঘটে নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশসমূহে যার সংখ্যা উন্নত দেশসমূহের তুলনায় তিনগুণ বেশী। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যেও সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের চিত্র অনেকটা একই রকম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় (রোড ক্রাশ) প্রায় ২৫ হাজার মানুষ নিহত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যমতে ২০২২ সালে দেশে ৫২০০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৩৮ জন নিহত হয়েছে।

আমরা জানি যে দেশে প্রতিদিনই কম-বেশি সড়ক দুর্ঘটনা (রোড ক্রাশ) ঘটে থাকে। এছাড়াও প্রতিবছর ঈদকে কেন্দ্র করে রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের চলাচল বেড়ে যায়। সঙ্গত কারণেই বেড়ে যায় সড়ক দুর্ঘটনা (রোড ক্রাশ) যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে (প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ইত্যাদি) প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। মূলত সড়ক ব্যবহারকারীগণের অসচেতনতা ও অবহেলাই এসকল সড়ক দুর্ঘটনার (রোড ক্রাশ) অন্যতম কারণ।

সড়ক ব্যবহারকারীগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনাকে (রোড ক্রাশ) সহনীয় মাত্রায় রাখার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ- নানামুখী সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যার মাধ্যমে সাধারণ পথচারী, যাত্রী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানসমূহকে (বিআরটিএ, মহানগর পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, পরিবহন মালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক সমিতি) সাথে নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো হবে। সড়ক ব্যবহারকারীগণের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সড়ককে অধিকতর নিরাপদ করার লক্ষ্যে রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নি¤েœাক্ত বিষয়সমূহ কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি:

সড়ক নিরাপত্তা (রোড সেইফটি) সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ের সমন্বয়ে বর্তমান আইনে একটি পৃথক অধ্যায় সংযোজন করা; অথবা

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পাঁচটি পিলার বা “সেইফ সিস্টেমস এপ্রোচ” (নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ মোটরযান, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী, এবং রোড ক্রাশ পরবর্তী কার্যকর ব্যবস্থাপনা) পদ্ধতিতে একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ণ করা।

আমরা আশাবাদি যে, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে সড়ক শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আমরা আরও আশা করি সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহের পাশাপাশি রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ- এর সম্মিলিত উদ্যোগ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে এবং দুর্ঘটনা জনিত অর্থনৈতিক ক্ষতি কমানোর পথ সুগম হবে। যা বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এসডিজির ধারা ৩.৬ এবং ১১.২ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে।

আজ ১৭ এপ্রিল রোজ সোমবার রাজধানীর গুলশান-১ ট্রাফিক সিগনালে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- এর ছুটির সময় “নিরাপদে রাস্তায় চলাচল বিষয়ে মাসব্যাপী জনসচেতনতা অভিযান” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব জনাব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান জনাব নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জনাব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী তার বক্তব্যে বলেন সড়কে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরী। এটা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।

বিশেষ অতিথি বিআরটিএর চেয়ারম্যান জনাব নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন আমাদের সকলের সড়ক পরিবহন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, অন্যথায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবেনা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব: ইলিয়াস কাঞ্চন, চেয়ারম্যান, নিরাপদ সড়ক চাই।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্যরা হলেন: জনাব, শরিফুল আলম, কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর, গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) জনাব, এম খালিদ মাহমুদ, পোগ্রাম্র ম্যানেজার, সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ব্র্যাক জনাব, ডা: মাহফুজুর রহমান ভূঁঞা, প্রকল্প পরিচালক (রোড সেইফটি), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট জনাব, কাজী বোরহান উদ্দিন, ম্যানেজার, রোড সেইফটি প্রকল্প, আরটিআই প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিট, সিআইপিআরবি জনাব, ইমাম জাফর সিকদার, পরিচালক, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনাব, হীরেন পন্ডিত, প্রকল্প সমন্বয়কারী ও রিসার্চ ফেলো, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) জনাব, এস এম সোহেল মাহমুদ, সহযোগী অধ্যাপক, এআরআই, বুয়েট জনাব, শারমিন রহমান, প্রকল্প সমন্বয়কারী, হেলথ সেক্টর, ঢাকা আহসানিয়া মিশন জনাব, খন্দকার হাসিবুজ্জামান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইমপ্রেসিভ কমিউনিকেশন লিমিটেড (আইসিএল) ও বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সদস্য সহ কোয়ালিশনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রেস  বিজ্ঞপ্তি

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ

রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে মাসব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক অভিযান

পোস্ট করা হয়েছে : ১০:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- এর সময় নিরাপদে রাস্তায় চলাচল বিষয়ে রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে মাসব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক অভিযান।

আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, সড়ক দুর্ঘটনা বিশ^ব্যাপী মানুষের মৃত্যু ও দীর্ঘমেয়াদী পঙ্গুত্বের অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেইফটি ২০১৮’- এর তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় (রোড ক্রাশ) প্রায় ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও ২০-৫০ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয় বা পঙ্গুত্বের শিকার হয়। সড়ক দুর্ঘটনা (রোড ক্রাশ) ৫-২৯ বছর এবং আরও কমবয়সী শিশুদের জন্য মৃত্যুর ১ নম্বর কারণ এবং সকল বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে ৮ম প্রধান কারণ। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, বিশ্বব্যাপী শতকরা ৯০ ভাগ সড়ক দুর্ঘটনা (রোড ক্রাশ) ঘটে নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশসমূহে যার সংখ্যা উন্নত দেশসমূহের তুলনায় তিনগুণ বেশী। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যেও সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের চিত্র অনেকটা একই রকম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় (রোড ক্রাশ) প্রায় ২৫ হাজার মানুষ নিহত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যমতে ২০২২ সালে দেশে ৫২০০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৩৮ জন নিহত হয়েছে।

আমরা জানি যে দেশে প্রতিদিনই কম-বেশি সড়ক দুর্ঘটনা (রোড ক্রাশ) ঘটে থাকে। এছাড়াও প্রতিবছর ঈদকে কেন্দ্র করে রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের চলাচল বেড়ে যায়। সঙ্গত কারণেই বেড়ে যায় সড়ক দুর্ঘটনা (রোড ক্রাশ) যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে (প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ইত্যাদি) প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। মূলত সড়ক ব্যবহারকারীগণের অসচেতনতা ও অবহেলাই এসকল সড়ক দুর্ঘটনার (রোড ক্রাশ) অন্যতম কারণ।

সড়ক ব্যবহারকারীগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনাকে (রোড ক্রাশ) সহনীয় মাত্রায় রাখার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ- নানামুখী সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যার মাধ্যমে সাধারণ পথচারী, যাত্রী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানসমূহকে (বিআরটিএ, মহানগর পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, পরিবহন মালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক সমিতি) সাথে নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো হবে। সড়ক ব্যবহারকারীগণের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সড়ককে অধিকতর নিরাপদ করার লক্ষ্যে রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নি¤েœাক্ত বিষয়সমূহ কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি:

সড়ক নিরাপত্তা (রোড সেইফটি) সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ের সমন্বয়ে বর্তমান আইনে একটি পৃথক অধ্যায় সংযোজন করা; অথবা

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পাঁচটি পিলার বা “সেইফ সিস্টেমস এপ্রোচ” (নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ মোটরযান, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী, এবং রোড ক্রাশ পরবর্তী কার্যকর ব্যবস্থাপনা) পদ্ধতিতে একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ণ করা।

আমরা আশাবাদি যে, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে সড়ক শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আমরা আরও আশা করি সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহের পাশাপাশি রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ- এর সম্মিলিত উদ্যোগ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে এবং দুর্ঘটনা জনিত অর্থনৈতিক ক্ষতি কমানোর পথ সুগম হবে। যা বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এসডিজির ধারা ৩.৬ এবং ১১.২ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে।

আজ ১৭ এপ্রিল রোজ সোমবার রাজধানীর গুলশান-১ ট্রাফিক সিগনালে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- এর ছুটির সময় “নিরাপদে রাস্তায় চলাচল বিষয়ে মাসব্যাপী জনসচেতনতা অভিযান” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব জনাব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান জনাব নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জনাব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী তার বক্তব্যে বলেন সড়কে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরী। এটা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।

বিশেষ অতিথি বিআরটিএর চেয়ারম্যান জনাব নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন আমাদের সকলের সড়ক পরিবহন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, অন্যথায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবেনা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব: ইলিয়াস কাঞ্চন, চেয়ারম্যান, নিরাপদ সড়ক চাই।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্যরা হলেন: জনাব, শরিফুল আলম, কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর, গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) জনাব, এম খালিদ মাহমুদ, পোগ্রাম্র ম্যানেজার, সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ব্র্যাক জনাব, ডা: মাহফুজুর রহমান ভূঁঞা, প্রকল্প পরিচালক (রোড সেইফটি), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট জনাব, কাজী বোরহান উদ্দিন, ম্যানেজার, রোড সেইফটি প্রকল্প, আরটিআই প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিট, সিআইপিআরবি জনাব, ইমাম জাফর সিকদার, পরিচালক, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনাব, হীরেন পন্ডিত, প্রকল্প সমন্বয়কারী ও রিসার্চ ফেলো, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) জনাব, এস এম সোহেল মাহমুদ, সহযোগী অধ্যাপক, এআরআই, বুয়েট জনাব, শারমিন রহমান, প্রকল্প সমন্বয়কারী, হেলথ সেক্টর, ঢাকা আহসানিয়া মিশন জনাব, খন্দকার হাসিবুজ্জামান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইমপ্রেসিভ কমিউনিকেশন লিমিটেড (আইসিএল) ও বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সদস্য সহ কোয়ালিশনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রেস  বিজ্ঞপ্তি