নাম আরাফাত মাহফুজ, বয়স ১৮। তার বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়ন এর দেয়া গ্রামে । তার পিতা শেখ গোলাম মোস্তফা ও মাতা রওশনারা পারভীন। এলাকার সবার কাছে পরিচিত একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। কিন্তু অনলাইন জগতে তার আরেক পরিচয় একজন সফল ফ্রিল্যান্সার কিংবা এ বিষয়ে একজন দক্ষ মানুষ হিসেবে।পড়াশুনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে প্রায় লক্ষ টাকা আয় করেন । এখন তিনি অন্যদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অনলাইনে কাজ করে উপার্জন করার জন্য। তরুণ এই টগবগে যুবকের হাত ধরে বাংলাদেশ এ আরও বাড়ছে ফ্রিল্যান্সার।তরুণ এই সফল যোদ্ধা আরাফাত মাহফুজ প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন বিষয় হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনলাইনে প্রচুর কাজ রয়েছে। এখান থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তাই চাকরির পেছনে না ঘুরে একটা কোর্স করে অনলাইনে কাজ করেও স্বাবলম্বী হওয়া যায়। এক সময় আরাফাত মাহফুজ পকেটেও ১০ টাকা ছিল না।
প্রয়োজনের সময় হাত পাততে হতো পরিবারের কাছে বিষয়টা মেনে নিতে অনেকটা কষ্ট হতো আরাফাতের । নিজে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার তাগিদে কষ্ট করে সফল হওয়ার গল্প নিজেই জানালেন তিনি।আরাফাত মাহফুজ জানান, কৌতুহলবসত অনলাইনে আর্নিং বিষয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি ফ্রিল্যান্সিং পেশার প্রতি। পরবর্তীতে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ নিয়ে কাজ করতে শুরু করি। প্রথমদিকে অনেক প্রতারণা ও বিড়ম্বনার শিকার হলেও অদম্য চেষ্টায় আমি এখন একজন সফল উদ্যোক্তা।ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে যুক্ত আছেন তিন বছরের বেশি সময় ধরে। আরাফাত মাহফুজ এই প্লাটফর্ম থেকে মাসিক প্রায় ১ লাখ টাকা। অনলাইনে আর্নিং কাজে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাঁধা হতে পারে না। যেকোন বয়সী, যেকোন পেশার মানুষ যুক্ত হতে পারেন এর সাথে। তিনি জানান তার বয়স ১৮ বছর হয়েও আজ সে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার।একাধিক প্লাটফর্মে দেশি-বিদেশি বায়ারদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করেন পাশাপাশি তিনি আছেন ‘এইটিও’ নামে একটি অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সেন্টারে।
ফ্রিল্যান্সার আরাফাত মাহফুজ সমাজের শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকরি খোঁজার পাশাপাশি অনলাইনে উপার্জনের বিভিন্ন কোর্স করে আয় করার আহ্বান জানান। অনলাইনে কাজের অভাব নেই। দক্ষ কাজের লোকের অভাব।আরাফাত মাহফুজ সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন জানিয়ে বলেন, সরকার যদি ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মীদের নিয়ে ভাবে দেশে বেকার অনেকটাই দূর করা সম্ভব।
ডেক্স: আতিকুর রহমান