নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভোমরা স্থলবন্দরে অবস্থিত রাশিদা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে ৭ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেস্বর) বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গনস্বাক্ষরকৃত এক পত্রের ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ভোমরা কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের নিকট এ দাবি জানানো হয়। লিখিত এ দাবি আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে পূরণ না হলে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানা গেছে। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলাচলকারী সকল ছাত্র/ছাত্রী এবং সকল শ্রেণীর মানুষের সুবিধার্থে এই দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হল: (১) অতিরিক্ত ধুলাবালি জনজীবন অতিষ্ট হচ্ছে এবং এই ধুলাবালির কারণে হাফানি, এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, জনিত রোগে আক্রন্ত হচ্ছে। ভোমরা জিরো পয়েন্ট থেকে ভোমরা বিজিবি বাঁশকল পর্যন্ত প্রত্যেকদিন রাস্তা পরিষ্কার করতে হবে এবং রাস্তায় পানি দিতে হবে।
(২) ভোমরা বন্দর সর্বক্ষণ যানজটমুক্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৩) ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট ও ভোমরা কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা যৌথভাবে একটা ফোর্স টিম গঠন করতে হবে যারা সর্বক্ষণ ভোমরা কাস্টমস ও ভোমরা সরকারি পার্কিং ইয়ার্ড সহ স্থল বন্দরের কোন কাজ পরিচালনা করতে কেউ বাধাগ্রস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের জানানো মাত্রই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।
(৪) প্রত্যেক ভারতীয় লোড আনলোড গাড়ির ড্রাইভারদের স্থলবন্দরে সর্বক্ষণ গতি নিয়ন্ত্রণ করে চালানোর জন্য বাধ্য করতে হবে।
(৫) চেকপোস্ট থেকে ভোমরা পর্যন্ত সকল বাংলা গাড়ি চালকদের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করে সাবধানে চলাচল করার জন্য বাধ্য করতে হবে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন কোন গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য মাঝে মাঝে চেকিং পরিচালনা করতে হবে।
(৬) প্রত্যেক ভারতীয় পাথরের ট্রাকগুলো ওপরে কমপক্ষে ত্রিফল অথবা একটা করে নেট দিয়ে আমদানি করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে আমাদের রাস্তায় আর পাথর পড়ে থাকবে না এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কোন সমস্যা হবে না সেই সঙ্গে সঙ্গে পাথর আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হাত থেকে রক্ষা পাবে।
(৭) ভোমরা স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী আমদানি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী, গোডাউন ব্যবসায়ীরা সহ সকলে সবসময়ে অনেক নগদ অর্থ নিয়ে স্থলবন্দর এলাকায় চলাচল করে সেজন্য স্থলবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ভোমরা বিজিবি বাশকল থেকে ভোমরা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।