ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
নওগাঁয় বিশাল কর্মযজ্ঞে মধ্যেদিয়ে স্বর্ণের মত দেখতে পিতলের গহনা হাতের চুড়ি বলা তৈরী হচ্ছে কালিগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে জামায়াতের উদ্যোগে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত নওগাঁ জেলা পুলিশের আয়োজনে বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে অচাষকৃত শাকের রান্না প্রতিযোগিতা শ্যামনগরে নকশীকাঁথার আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির সুনামগঞ্জ জেলা ডিএসবি ও হিসাব শাখা পরিদর্শন কালিগঞ্জে রায়পুর নিজদেবপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ শ্যামনগরে সাংবাদিকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ উপকূলীয় শ্যামনগরে ১২৬ প্রকারের অচাষকৃত উদ্ভিদ খোটা শাকের মেলা কালিগঞ্জে এইচপিভি ভ্যাকসিনের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

নিজেকে রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল, শাস্তির দাবি

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ১১:৩৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • ২৫৩ জন পড়েছেন ।

তুমি কে আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’- স্লোগান দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি গভীর অসম্মান প্রদর্শন। এ ধরনের স্লোগানধারীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন আজ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নিজেকে রাজাকার, রাজাকার- বলে স্লোগান দেয়া, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার হিসেবে কাজ করেছে- তাদের পক্ষে দাঁড়ানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। এই ধরনের কার্যকলাপ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। কারণ, এটি জাতির সংহতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানে।’
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং রাজাকারদের সমর্থনকারী কার্যকলাপ আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এ জন্য সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির উচিত এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং জাতীয় সংহতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।
নেত্রবৃন্দ বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি- বেশ কিছুদিন যাবত, কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে ’৭১-এর পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা গোষ্ঠী মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে নানা ভাবে অপমান-অপদস্থ করছে। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে, তিনিও এ বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন।’
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় থেকে রাতের আধারে পরিত্যক্ত ও প্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় কতিপয় বিভ্রান্ত শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বিরোধী বালখিল্য কর্মকা- এবং ‘রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এরা সময়ে অসময়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভক্ত করছে, ঐতিহাসিকভাবে মীমাংসিত বিষয়কে অমিমাংসিত করার চেষ্টা করছে। এখানে আমরা দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অবিলম্বে রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করে, এদের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি-বেসরকারি সকল চাকুরীতে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

নিখাদ/

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁয় বিশাল কর্মযজ্ঞে মধ্যেদিয়ে স্বর্ণের মত দেখতে পিতলের গহনা হাতের চুড়ি বলা তৈরী হচ্ছে

নিজেকে রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল, শাস্তির দাবি

পোস্ট করা হয়েছে : ১১:৩৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

তুমি কে আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’- স্লোগান দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি গভীর অসম্মান প্রদর্শন। এ ধরনের স্লোগানধারীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন আজ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নিজেকে রাজাকার, রাজাকার- বলে স্লোগান দেয়া, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার হিসেবে কাজ করেছে- তাদের পক্ষে দাঁড়ানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। এই ধরনের কার্যকলাপ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। কারণ, এটি জাতির সংহতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানে।’
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং রাজাকারদের সমর্থনকারী কার্যকলাপ আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এ জন্য সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির উচিত এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং জাতীয় সংহতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।
নেত্রবৃন্দ বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি- বেশ কিছুদিন যাবত, কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে ’৭১-এর পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা গোষ্ঠী মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে নানা ভাবে অপমান-অপদস্থ করছে। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে, তিনিও এ বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন।’
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় থেকে রাতের আধারে পরিত্যক্ত ও প্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় কতিপয় বিভ্রান্ত শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বিরোধী বালখিল্য কর্মকা- এবং ‘রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এরা সময়ে অসময়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভক্ত করছে, ঐতিহাসিকভাবে মীমাংসিত বিষয়কে অমিমাংসিত করার চেষ্টা করছে। এখানে আমরা দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অবিলম্বে রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করে, এদের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি-বেসরকারি সকল চাকুরীতে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

নিখাদ/