ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন খানের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের মত চলছে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি কালিগঞ্জের রঘুনাথপুরে মাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে ছেলে, থানায় অভিযোগ করলেন মা বিশ্বখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিমল ছাজেড়—এমডি’র ১৯তম জাতীয় সাওল হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার আগামী ৩১ মে সেরা শিশু শিল্পীর পুরস্কার পেলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সিফাত রিজওয়ান নাফি সাতক্ষীরায় নিরাপদ আম বাজারজাত করণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা ও আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডার নির্ধারণ প্রেমের টানে বাংলাদেশে চলে আসা ভারতীয় নারীকে দেশে ফেরত চারঘাটে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানির তীব্র সংকট প্রথম মুক্তি যোদ্ধা নারী হলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জন্মদিন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ

ঝিনাইদহে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ঝাপাং খেলা

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০২:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • ৪৩ জন পড়েছেন ।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-ইমন হাসান
ঝিনাইদহে একের পর এক হচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাপখেলার প্রতিযোগীতা যা ঝাপাং খেলা নামে পরিচিত।মানুষ সাপ দেখে ভয় পেলেও সেই সাপের খেলা দেখার জন্য ভীড় করছেন ও উচ্ছাসিত হচ্ছেন।
ভয়ও যেমন আগ্রহও তেমন এমনই এক আয়োজন ঝাপান।ঝিনাইদহের শহরস্থ ভুটিয়ার গাতি প্রাইমারী স্কুলের মাঠে বসে সেই ঝাপান বা সাপ খেলার প্রতিযোগীতা। সাপের খেলা, গ্রাম বাংলার এই খেলার হারানো যুগ ফেরাতে ও নতুন প্রযন্মের কাছে পরিচিত করতে ঝিনাইদহ পৌরসভার ০২ নং প্যানেল মেয়র মোঃ টিপু সুলতান এবছরও আয়োজন করেন।প্রতি বছরই তিনি এই আয়োজন করে থাকেন বলে এলাকায় তার সাংস্কৃতিমনা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সুনাম রয়েছে এছাড়াও তিনি সকলের নিকট খুবই জনপ্রিয়। নিয়মিত এ সাপ খেলার আয়োজন এখানকার মানুষের কাছে দিনকে দিন জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।
এবছর ঈদের পরদিন ভুটিয়ার গাতি প্রাইমারী স্কুলের মাঠে আয়োজিত এই প্রতিযোগীতায় মোট ছয়জন সাপুড়ে দিনব্যাপী এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।কারো কন্ঠে গান আবার কেউ নেচে গেয়ে আত্মহারা।প্রতিযোগীতা যেহেতু সেহেতু তার নিয়ম ও আছে।যে সাপের ফনা বেশী উপরে তুলতে পারবেন তিনিই বিজয়ী।২৪ ইঞ্চি ফনা তুলতে পেরে লিটন সাপুড়েই সেরা।প্রথম পুরষ্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার টাকা। আর দর্শকরাও ফিরেছেন এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে। খেলা শেষে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন এ প্যানেল মেয়র মোঃ টিপু সুলতান । এতে প্রথম পুরষ্কার ৪ হাজার,২য় ৩ হাজার ও বাকী সকলকে ২হাজার করে টাকা পুরষ্কার দেয়া হয়। এছাড়াও
জেলার হাটগোপালপুর,নিত্যানন্দপুর,গান্না,শৈলকুপা সহ সবকটি উপজেলাতেই নিয়মিত হচ্ছে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া এ খেলা।সচেতন মহল,যুবসম্প্রদায় কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসকল খেলার আয়োজন করায় হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে শুরু করেছে।গত ঈদ-উল ফিতর থেকে পহেলা বৈশাখকে উপলক্ষ করে প্রায় ১০০ টি খেলার আয়োজন এবছর।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন খানের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ঝাপাং খেলা

পোস্ট করা হয়েছে : ০২:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-ইমন হাসান
ঝিনাইদহে একের পর এক হচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাপখেলার প্রতিযোগীতা যা ঝাপাং খেলা নামে পরিচিত।মানুষ সাপ দেখে ভয় পেলেও সেই সাপের খেলা দেখার জন্য ভীড় করছেন ও উচ্ছাসিত হচ্ছেন।
ভয়ও যেমন আগ্রহও তেমন এমনই এক আয়োজন ঝাপান।ঝিনাইদহের শহরস্থ ভুটিয়ার গাতি প্রাইমারী স্কুলের মাঠে বসে সেই ঝাপান বা সাপ খেলার প্রতিযোগীতা। সাপের খেলা, গ্রাম বাংলার এই খেলার হারানো যুগ ফেরাতে ও নতুন প্রযন্মের কাছে পরিচিত করতে ঝিনাইদহ পৌরসভার ০২ নং প্যানেল মেয়র মোঃ টিপু সুলতান এবছরও আয়োজন করেন।প্রতি বছরই তিনি এই আয়োজন করে থাকেন বলে এলাকায় তার সাংস্কৃতিমনা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সুনাম রয়েছে এছাড়াও তিনি সকলের নিকট খুবই জনপ্রিয়। নিয়মিত এ সাপ খেলার আয়োজন এখানকার মানুষের কাছে দিনকে দিন জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।
এবছর ঈদের পরদিন ভুটিয়ার গাতি প্রাইমারী স্কুলের মাঠে আয়োজিত এই প্রতিযোগীতায় মোট ছয়জন সাপুড়ে দিনব্যাপী এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।কারো কন্ঠে গান আবার কেউ নেচে গেয়ে আত্মহারা।প্রতিযোগীতা যেহেতু সেহেতু তার নিয়ম ও আছে।যে সাপের ফনা বেশী উপরে তুলতে পারবেন তিনিই বিজয়ী।২৪ ইঞ্চি ফনা তুলতে পেরে লিটন সাপুড়েই সেরা।প্রথম পুরষ্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার টাকা। আর দর্শকরাও ফিরেছেন এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে। খেলা শেষে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন এ প্যানেল মেয়র মোঃ টিপু সুলতান । এতে প্রথম পুরষ্কার ৪ হাজার,২য় ৩ হাজার ও বাকী সকলকে ২হাজার করে টাকা পুরষ্কার দেয়া হয়। এছাড়াও
জেলার হাটগোপালপুর,নিত্যানন্দপুর,গান্না,শৈলকুপা সহ সবকটি উপজেলাতেই নিয়মিত হচ্ছে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া এ খেলা।সচেতন মহল,যুবসম্প্রদায় কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসকল খেলার আয়োজন করায় হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে শুরু করেছে।গত ঈদ-উল ফিতর থেকে পহেলা বৈশাখকে উপলক্ষ করে প্রায় ১০০ টি খেলার আয়োজন এবছর।