ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভক্তবৃন্দের চোখের জল সিঁদুর মাখামাখি ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গা পূজার সমাপ্তি

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩২ জন পড়েছেন ।

রনজিৎ বর্মন নিজস্ব প্রতিনিধি

ভক্তবৃন্দের চোখের জল, মন্ডপে মন্ডপে সিঁদুর মাখামাখি ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রবিবার হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয়া দুর্গা পূজার সমাপ্তি ঘটল।

মন্ডপে মন্ডপে ঢাকের বাজনা, কাশির সুর, দুর্গা মায়ের কাছে ভক্তবৃন্দের কামনা বাসনা ও চোখের জলে বিদায় জানল দেবী দুর্গাকে।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতিবছর শরতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বর্গলোক কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। নিদিষ্ট তিথি পর্যন্ত কাটিয়ে আবার ফিরে যান কৈলাসে। এই পাঁচ দিন পৃথিবীতে অবস্থানকালে দেবী মায়ের ভক্তরা বন্দনা করে থাকেন। এ বছর নবমী ও দশমী একই দিনে পড়ায় অনেকে শনিবারও প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন। তবে অধিকাংশ প্রতিমা রবিবার বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় এবার ৬৫টি মন্ডপে মূর্তি পূজা ও ১টি মন্ডপে ঘট পূজা করা হয়। গত বারের তুলনায় এবার পূজা মন্ডপের সংখ্যা ছিল কম। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কৃষ্ণ পদ মন্ডল বলেন গতবার ৭০টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরে সবচেয়ে বেশী মন্ডপ ছিল শ্যামনগর, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ ,রমজাননগর ও আটুলিয়া ইউনিয়নে। সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণ ভাবে শারদীয়া দুর্গা পূজার সমাপ্তি হয়েছে বলে বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ সহ অন্যান্যরা জানান। তবে এবার মন্ডপে মন্ডপে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল কম। আড়পাঙ্গাশিয়া দুর্গা পূজা মন্ডপ কমিটির কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষক অনাঙ্গ মন্ডল, বড়কুপট দুর্গা পূজা মন্ডপ কমিটির কর্মকর্তা শিবু প্রসাদ বৈদ্য সহ অন্যান্যরা বলেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুব ভাল। তবে দর্শনার্থী কম ছিল।

উপজেলায় দুর্গা পূজার বিজয়া দশমীতে হাজারো মানুষ প্রতিমা বিসর্জন দেখতে জড়ো হয় দ্বিতীয় টাকি নামে খ্যাত নওয়াবেঁকী,কুপট ও দুর্গাবাটি সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীতে। শতাধিক নৌকা বাদ্য বাজনা ও মাইক সহকারে হাজির হয় এই নদীতে। দুর্গা বাটি, ঝাঁপা, কুপট সহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানের প্রতিমা নিয়ে খোলপেটুয়া নদীতে গত কয়েক বছর যাবত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। অনেকে চোখের জলে দুর্গা মাকে বিদায় জানান। আবার অনেকে ক্ষণটিকে সুন্দর করে কাটাতে নেচে গেয়ে উদযাপন করেন।

খোলপেটুয়া নদীতে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুর্গাবাটি সাইকোন শেল্টার নামক স্থানে খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে একটি মঞ্চ স্থাপন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা.সঞ্জীব দাশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ, শ্যামনগর থানা পুলিশ, বুড়িগোয়ালিনী ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ প্রমুখ। নদীতে টহল প্রদান করেন নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ,ফায়ার সার্ভিসটিম সহ অন্যান্যরা।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

ভক্তবৃন্দের চোখের জল সিঁদুর মাখামাখি ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গা পূজার সমাপ্তি

পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

রনজিৎ বর্মন নিজস্ব প্রতিনিধি

ভক্তবৃন্দের চোখের জল, মন্ডপে মন্ডপে সিঁদুর মাখামাখি ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রবিবার হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয়া দুর্গা পূজার সমাপ্তি ঘটল।

মন্ডপে মন্ডপে ঢাকের বাজনা, কাশির সুর, দুর্গা মায়ের কাছে ভক্তবৃন্দের কামনা বাসনা ও চোখের জলে বিদায় জানল দেবী দুর্গাকে।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতিবছর শরতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বর্গলোক কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। নিদিষ্ট তিথি পর্যন্ত কাটিয়ে আবার ফিরে যান কৈলাসে। এই পাঁচ দিন পৃথিবীতে অবস্থানকালে দেবী মায়ের ভক্তরা বন্দনা করে থাকেন। এ বছর নবমী ও দশমী একই দিনে পড়ায় অনেকে শনিবারও প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন। তবে অধিকাংশ প্রতিমা রবিবার বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় এবার ৬৫টি মন্ডপে মূর্তি পূজা ও ১টি মন্ডপে ঘট পূজা করা হয়। গত বারের তুলনায় এবার পূজা মন্ডপের সংখ্যা ছিল কম। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কৃষ্ণ পদ মন্ডল বলেন গতবার ৭০টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরে সবচেয়ে বেশী মন্ডপ ছিল শ্যামনগর, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ ,রমজাননগর ও আটুলিয়া ইউনিয়নে। সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণ ভাবে শারদীয়া দুর্গা পূজার সমাপ্তি হয়েছে বলে বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ সহ অন্যান্যরা জানান। তবে এবার মন্ডপে মন্ডপে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল কম। আড়পাঙ্গাশিয়া দুর্গা পূজা মন্ডপ কমিটির কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষক অনাঙ্গ মন্ডল, বড়কুপট দুর্গা পূজা মন্ডপ কমিটির কর্মকর্তা শিবু প্রসাদ বৈদ্য সহ অন্যান্যরা বলেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুব ভাল। তবে দর্শনার্থী কম ছিল।

উপজেলায় দুর্গা পূজার বিজয়া দশমীতে হাজারো মানুষ প্রতিমা বিসর্জন দেখতে জড়ো হয় দ্বিতীয় টাকি নামে খ্যাত নওয়াবেঁকী,কুপট ও দুর্গাবাটি সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীতে। শতাধিক নৌকা বাদ্য বাজনা ও মাইক সহকারে হাজির হয় এই নদীতে। দুর্গা বাটি, ঝাঁপা, কুপট সহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানের প্রতিমা নিয়ে খোলপেটুয়া নদীতে গত কয়েক বছর যাবত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। অনেকে চোখের জলে দুর্গা মাকে বিদায় জানান। আবার অনেকে ক্ষণটিকে সুন্দর করে কাটাতে নেচে গেয়ে উদযাপন করেন।

খোলপেটুয়া নদীতে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুর্গাবাটি সাইকোন শেল্টার নামক স্থানে খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে একটি মঞ্চ স্থাপন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা.সঞ্জীব দাশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ, শ্যামনগর থানা পুলিশ, বুড়িগোয়ালিনী ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ প্রমুখ। নদীতে টহল প্রদান করেন নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ,ফায়ার সার্ভিসটিম সহ অন্যান্যরা।