এম এ মান্নান

দীর্ঘ চার বছর কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে প্রথমবার জনসম্মূখে আসলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক, সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব। বিকেলে পাটকেলঘাটা কুমিরা হাইস্কুল মাঠে দেয়া হয় এক গণসংবর্ধনা। প্রিয় নেতার আগমনের খবরে চুকনগর থেকে কুমিরা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কের দুই ধারে অবস্থান নেয় লাখো মানুষ। গেল ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। তার জনপ্রিয়তায় ইষান্বিত হয়ে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলার ফরমায়েশী রায়ে ৭০ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত এই বিএনপি নেতা।

এই গণসংবর্ধনায় জন¯্রােতে কুমিরা হাইস্কুল মাঠ ছাপিয়ে খুলনা-সাতক্ষীরা হাইওয়ে রোড, আশাপাশের পাকা ভবনের ছাদে সহ সমগ্র এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য।

সংবর্ধনা মঞ্চে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাবু মৃণাল কান্তি রায়ের সভাপত্বিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল খালেক,মোঃ আজিজুর রহমান,খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ড, কার্য নির্বাহী সদস্য সাবেক এমপি আলহাজ¦ কাজী আলাউদ্দীন,খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম তুহিন, সংবর্ধিত প্রধান অতিথির সহধর্মীনি এ্যাড. শাহানারা পারভীন বকুল,সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারিকুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেন ও উপজেলা যুব দলের আহবায়ক র্মীজা আতিয়ার রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে হাসিনা মুক্ত করায় আল্লাহ্’র কাছে শুক্রিয়া জানায়। এবার হাসিনা মুক্ত দেশের জন্য ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়েছে, তাদের সম্মান করতে হবে। আমি ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাইদ,মীর মুগ্ধ,আসিফসহ সকল শহিদের আতœার মাগফেরাত কামনা করি। আমার নেত্রীকে হত্যা করার জন্য চিকিৎসা নিতে দেয়নি। এখন কি শেখ হাসিনা চিকিৎসা কে করবে। এক হাজার মানুষকে মেরেছে গুলি করে হেলিকপ্টার দিয়ে, বিডিআর দিয়ে, পুলিশ দিয়ে কতগুলো কেস হবে, কেস শুরু হয়েছে। বিডিআর হত্যার বিচার হবে।

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় আমাকে ৭০ বছর কারাদন্ড দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমাকে দেশ ত্যাগের কথা বলেছিলেন সবাই কিন্তু আমি যায়নি। পরীক্ষা দিয়েছি, পাশ করে আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। আপনাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি, কেউ পারবে না। এবং তিনি তালা-কলারোয়ায় নজিরবিহীন উন্নয়ন ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি এমপি থাকাকালে কোন মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেননি ও কোন জনক্ষতির কর্মকান্ডে কখনও লিপ্ত ছিলেন না। তিনি ছাত্রদল নেতা আজহারুল ইসলাম ও প্রফেসর বিপ্লব হত্যার বিচার উপস্থিত জনগণ চান কিনা তাদের মতামত চান? এসময় স্মরণকালের উপস্থিত জনগণ দুই হাত উচু করে সমর্থন জানিয়ে বিচার দাবি করেন।