ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দেবহাটার বহেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষাকের প্রাইভেট বাণিজ্য

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:০৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • ৬২ জন পড়েছেন ।

দেবহাটা প্রতিনিধি:

দেবহাটা উপজেলার বহেরা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা। জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়টি উপজেলা ও জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে। কিন্তু অত্র বিদ্যালয়ের দুইজন সহকারী শিক্ষক মফিজুর রহমান এবং বিপ্লব কুমার ঘোষের প্রাইভেট বাণিজ্যে ছাত্রছাত্রী অভিভাবকদের অসহায় হয়ে পড়েছেন। একাধিক অভিভাবকের অভিযোগ ওই দুই শিক্ষক ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীকে জনপ্রতি মাসিক ১ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া বাড়িতে স্পেশাল পড়াতে গেলে জনপ্রতি দিতে হয় ৫ হাজার টাকা। অভিযোগ আছে বিদ্যালয় শুরু হওয়ার পূর্বে এবং ছুটিরপর চাকুরিরত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চালানো হয় এই প্রাইভেট বাণিজ্য। এ কাজের জন্য বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী বাড়ি ভাড়া নিয়ে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এ বাণিজ্যে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট এ পড়ানোর ফলে শ্রেণি কক্ষে নামমাত্র পাঠদান করেন ওই দুই শিক্ষক। যার কারণে বিষয় ভিত্তিক পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বহু সাধারণ শিক্ষার্থী। অপরদিকে এলাকার শিক্ষিত বেকাররা জানান, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নীতামালা অনুযায়ী কোচিং বা প্রাইভেট বাণিজ্য করা নিষেধ থাকলেও বিনাবাধায় এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু শিক্ষক। এতে করে আমরা শিক্ষিত বেকাররা বঞ্চিত হচ্ছি। সেই সাথে শিক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মফিজুর রহমান জানান, আমি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পাঠদান করি। কোচিং বা এক সাথে অনেকগুলো শিক্ষার্থীকে পড়ায় না।
অপর শিক্ষক বিপ্লব কুমার ঘোষের কাছে জানতে চাইলে জানান, অনেক স্কুলেল শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ায়। তাই আমিও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে স্কুলের পাশে একজনের বাসায় পড়ায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ শাহজাহান আলী জানান, এধরণের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানের সাথে কথা বলে বিষয়টি খোঁজ নিব।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

দেবহাটার বহেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষাকের প্রাইভেট বাণিজ্য

পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:০৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

দেবহাটা প্রতিনিধি:

দেবহাটা উপজেলার বহেরা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা। জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়টি উপজেলা ও জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে। কিন্তু অত্র বিদ্যালয়ের দুইজন সহকারী শিক্ষক মফিজুর রহমান এবং বিপ্লব কুমার ঘোষের প্রাইভেট বাণিজ্যে ছাত্রছাত্রী অভিভাবকদের অসহায় হয়ে পড়েছেন। একাধিক অভিভাবকের অভিযোগ ওই দুই শিক্ষক ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীকে জনপ্রতি মাসিক ১ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া বাড়িতে স্পেশাল পড়াতে গেলে জনপ্রতি দিতে হয় ৫ হাজার টাকা। অভিযোগ আছে বিদ্যালয় শুরু হওয়ার পূর্বে এবং ছুটিরপর চাকুরিরত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চালানো হয় এই প্রাইভেট বাণিজ্য। এ কাজের জন্য বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী বাড়ি ভাড়া নিয়ে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এ বাণিজ্যে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট এ পড়ানোর ফলে শ্রেণি কক্ষে নামমাত্র পাঠদান করেন ওই দুই শিক্ষক। যার কারণে বিষয় ভিত্তিক পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বহু সাধারণ শিক্ষার্থী। অপরদিকে এলাকার শিক্ষিত বেকাররা জানান, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নীতামালা অনুযায়ী কোচিং বা প্রাইভেট বাণিজ্য করা নিষেধ থাকলেও বিনাবাধায় এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু শিক্ষক। এতে করে আমরা শিক্ষিত বেকাররা বঞ্চিত হচ্ছি। সেই সাথে শিক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মফিজুর রহমান জানান, আমি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পাঠদান করি। কোচিং বা এক সাথে অনেকগুলো শিক্ষার্থীকে পড়ায় না।
অপর শিক্ষক বিপ্লব কুমার ঘোষের কাছে জানতে চাইলে জানান, অনেক স্কুলেল শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ায়। তাই আমিও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে স্কুলের পাশে একজনের বাসায় পড়ায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ শাহজাহান আলী জানান, এধরণের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানের সাথে কথা বলে বিষয়টি খোঁজ নিব।