ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

খুলনার জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজিব আহমেদ কে অপসারণ ও অযোগ্য ঘোষনার দাবিতে তালায় মানববন্ধন 

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৪৫ জন পড়েছেন ।

এম এ মান্নান

তালায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষ থেকে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজিব আহমেদ কে অপসারণ ও উক্ত পদে অযোগ্য ঘোষনার দাবিতে মানববন্ধন ও  প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৮ই আগস্ট) দুপুর আনুমানিক ১ টার দিকে তালা ডাকবাংলোর সামনে মানববন্ধন করেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা। এসময় খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজিব আহমেদের বিরুদ্ধে  জমজমাট সেটেলমেন্ট এর কার্য্যক্রম পরিচালনা করে রেকর্ড সংশোধনের নামে কোটি কোটি টাকা আতœসাৎ করে অসহায় মানুষদের সর্বশান্ত গৃহহারা করছেন তিনি। তাকে ওই পদে অযোগ্য ঘোষনার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে তালাবাসী।

মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জানান,তালায় প্রিন্ট পর্চা বিতরণের পর জরিপের ৫৩৩ ধারাকে পুজি করে ক্ষমতার অপব্যবহার,দূর্নীতি,অনিয়ম সেচ্ছাচারিতায় মাধ্যমে ব্যক্তিগত লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজিব আহমেদ ও তার পেশকার বাবু নাথ এবং তাদের সহযোগী মহুরি নামধারী দেওয়ানী পাড়া গ্রামের আকবর আলী মাহমুদ, নলতা গ্রামের সাইদুর রহমান সরদার, মুহান্দি বাজারে আজিজুর রহমান আজিজ নামধারী দালালরা।  উক্ত দালালরা বর্তমান তালা উপজেলা ১৪ টি মৌজা গেজেট এ পাঠানোর আগে গ্রামে গ্রামে ঘুরে যে সমস্ত ব্যক্তিরা মাঠজরিপ থেকে শুরু করে ৩১ ধারা পর্যন্ত রেকর্ড পায়নি নিঃশর্^তবান  দখলবিহীন জালজালিয়াতি তঞ্চকী সৃষ্টি করিয়া  উক্ত অফিসারের সাথে চুক্তির মাধ্যমে প্রকৃত জমির মালিকদের শুনানীর নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। এবং উক্ত দালালদের সহিত জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের যোগসাজশে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রতিটি মামলায় প্রকৃতি জমির মালিকদের ক্ষত্রিগস্ত করছেন তিনি।

তালা সদর ইউনিয়নের ১২৪ নং ভায়ড়া মৌজার মিস কেস নং ৯৮৮/২৪ এর বিবাদী মো: ওসমান শেখ পুত্র কালাম শেখ জানান, সি এস রেকর্ড ৪৫৭ খতিয়ান তার দাদা মৃত.হবুল্লাহ শেখের নামে, এস এ রেকর্ড ৫০৭ মনিরুদ্দীন বিশ^াসের নামে প্রস্তুত হয়। মনিরুদ্দীনের মরণে তার ওয়ারেশ গণের নিকট থেকে রেজিঃ করিয়া উক্ত জমি তার পিতা ফেরত নেন। এবং ১৯৯০ সালে মাঠ জরিপে খতিয়ান প্রস্তুত হয়। যার ডিপি খতিয়ান নম্বর ২৯৬,বর্তমান দাগ নং-৫২১ দাগে বসতবাড়ি ১৯ শতক,৫২৩ কবরস্থান জমি ০.৬ শতক,৫২৪ পুকুর-৭ শতক, ৫২৬-ডাংগা ৩১ শতক মোট জমি-০.৬৩ শতক  ১৯৯০ সালে জরিপে আমার পিতা ওসমান শেখের নামে রেকর্ড প্রস্তুত হয়। প্রিন্ট পর্চা পাওয়ার পরে ৫৩৩ ধারাকে ব্যবহার করে ২১/০৫/৬৬ তারিখের এবং ৬৮/১৯৮১-৮২ নং ভূয়া তঞ্চকি দলিল ও ভূয়া তঞ্চকি মিউটিশান যে দলিল ও মিউটিশান ৩০ ধারায় তঞ্চকি দলিল এবং উক্ত দলিলে দাতার টিপসহ একই মৌজার অপর দলিলে স্বাক্ষর করা।  উক্ত ২৯৬ ডিপি খতিয়ানের ৬৩ শতক জমি থেকে  ৫২৪ দাগে পুকুর ৭ শতক,৫২৩ দাগে কবর স্থান ৬ শতক,৫২৬ দাগে ডাংগা ৩১ শতকের মধ্য ১৩ শতক মোট কর্তনকৃত জমির পরিমান ২৬ শতক অন্যায় ভাবে মোটা অংকের টাকার বিনিময় কর্তন করিয়া ভায়ড়া মৌজার ১০৯৭ নং খতিয়ানে রেকর্ড প্রদান করিয়াছেন।

তালা সদর ইউনিয়নের ভায়ড়া গ্রামের মৃত এরফান শেখ এর পুত্র  মোঃ মাসিয়াত শেখ জানান, খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মিসকেস নং ৮৪৩/২৪ মামলায় তালা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিস স্মারক-৮৯(২) তাং-৮/৪/২৪ জেএল ১২৪ নং ভায়ড়া মৌজায় ডিপি ৬৫৮৩ ও ৬৯৮ নং খতিয়ানে তদন্ত পূর্বক মতামত প্রদান করেন যে, উক্ত ডিপিতে নালিশী দাগে বাদী বিবাদী গণের নামে জরিপ বিধি অনুযায়ী সঠিক ভাবে এজমালিতে রেকর্ড প্রস্তুত হয়। সে মোতাবেক ৫৩৩ বিধিতে প্রতিকার দেওয়ার সুযোগ মর্মে মতামত প্রদান করেন। কিন্তু খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অীফসার ৬৫৮ ডিপির ১৫৮৭ ডাঙ্গা ৩৪ শতক জমি রাস্তা সংলগ্ন দামি সম্পর্ত্তি হওয়ায় উক্ত দলিল অনুযায়ী-০.৭ শতক পাবে কিন্তু উক্ত দাগ হতে তাকে ০.২৭ শতক সম্পত্তি মোটা অংকের টাকার বিনিময় কর্তন করিয়া দেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ।

তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে সুমজদিপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দীন সরদার  জানান, তার লক্ষণপুর মৌজার জেএল -১১৩,এসএ খতিয়ান ৩৭৫,দাগ ১২৫৮ ক্রয়কৃত সম্পর্ত্তি জমির পরিমাণ ২০ শতক ভোগদখলে আছেন। জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের মিস কেস ৬৭৮/২৪ মামলার মাধ্যমে আমার দলিল, মিউটিশান, খাজনা দাখিলা থাকার সত্বে  মোটা অংকের টাকার বিনিময় বাদী হোসেন আলী মাহমুদের নামে ২০ শতক জমি কর্তন করিয়া দেন।

আগোলঝাড়া গ্রামের রফিকুল হাওলাদার জানান, তার তালা সদর ইউনিয়নের ১২৪ নং ভায়ড়া মৌজার মিস কেস নং ৮৫৮/২৪ কেস এর নোটিশ প্রাপ্ত হন। নোটিশে ভায়ড়া মৌজার ৬৯,৭০,৭১ তিনটি ডিপির উপর মামলা নোটিশ প্রাপ্ত হইয়া জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে যান। জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ কোন শুনানী না করিয়া তিনটি ডিপির উপর লিখিত জবাব দাখিল করতে বলেন। এক্ষণে তিনি জানতে পারেন তিনিটি ডিপির উপর মামলা হলেও রায়ে দেখতে পান তিনটি ডিপি ছাড়াও আর ডিপি নং ৭২,৩৩৫,৩৩৮,৩৯২,৩৯৩,৩৯৪,৫৪৫,৮৭১ মোট ১১ টি ডিপি থেকে অন্যায় ভাবে মোটার অংকের টাকার বিনিময় আমার প্রতিপক্ষর নামে নতুন খতিয়ান খুলে জমি কর্তন করে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

এ ধরনের শতশত ব্যক্তি সর্বশান্ত হচ্ছে তার দ্বারা। এমন ভাবে উক্ত ১৪টি মৌজায় দালালদের মাধ্যমে মামলা গ্রহন করে পুর জরীপের জমজমাট কার্য্যক্রম চালিয়ে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ, পেশকার বাবু নাথ ও তার দালালচক্র।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ বেসামাল হয়ে জনণকে ক্ষতিসাধন করায় তার দ্বারা জনগণের ক্ষতিসাধনের হাত থেকে রক্ষা করতে তাৎক্ষণিক দাপ্তরিক ক্ষমতা স্থগিত করিয়া তদন্ত পূর্বক সত্যতা প্রমানে উক্ত পদ থেকে তাকে অপসরণ সহ অযোগ্য ঘোষনার দাবি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ এর কাছে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

খুলনার জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজিব আহমেদ কে অপসারণ ও অযোগ্য ঘোষনার দাবিতে তালায় মানববন্ধন 

পোস্ট করা হয়েছে : ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

এম এ মান্নান

তালায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষ থেকে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজিব আহমেদ কে অপসারণ ও উক্ত পদে অযোগ্য ঘোষনার দাবিতে মানববন্ধন ও  প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৮ই আগস্ট) দুপুর আনুমানিক ১ টার দিকে তালা ডাকবাংলোর সামনে মানববন্ধন করেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা। এসময় খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজিব আহমেদের বিরুদ্ধে  জমজমাট সেটেলমেন্ট এর কার্য্যক্রম পরিচালনা করে রেকর্ড সংশোধনের নামে কোটি কোটি টাকা আতœসাৎ করে অসহায় মানুষদের সর্বশান্ত গৃহহারা করছেন তিনি। তাকে ওই পদে অযোগ্য ঘোষনার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে তালাবাসী।

মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জানান,তালায় প্রিন্ট পর্চা বিতরণের পর জরিপের ৫৩৩ ধারাকে পুজি করে ক্ষমতার অপব্যবহার,দূর্নীতি,অনিয়ম সেচ্ছাচারিতায় মাধ্যমে ব্যক্তিগত লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজিব আহমেদ ও তার পেশকার বাবু নাথ এবং তাদের সহযোগী মহুরি নামধারী দেওয়ানী পাড়া গ্রামের আকবর আলী মাহমুদ, নলতা গ্রামের সাইদুর রহমান সরদার, মুহান্দি বাজারে আজিজুর রহমান আজিজ নামধারী দালালরা।  উক্ত দালালরা বর্তমান তালা উপজেলা ১৪ টি মৌজা গেজেট এ পাঠানোর আগে গ্রামে গ্রামে ঘুরে যে সমস্ত ব্যক্তিরা মাঠজরিপ থেকে শুরু করে ৩১ ধারা পর্যন্ত রেকর্ড পায়নি নিঃশর্^তবান  দখলবিহীন জালজালিয়াতি তঞ্চকী সৃষ্টি করিয়া  উক্ত অফিসারের সাথে চুক্তির মাধ্যমে প্রকৃত জমির মালিকদের শুনানীর নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। এবং উক্ত দালালদের সহিত জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের যোগসাজশে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রতিটি মামলায় প্রকৃতি জমির মালিকদের ক্ষত্রিগস্ত করছেন তিনি।

তালা সদর ইউনিয়নের ১২৪ নং ভায়ড়া মৌজার মিস কেস নং ৯৮৮/২৪ এর বিবাদী মো: ওসমান শেখ পুত্র কালাম শেখ জানান, সি এস রেকর্ড ৪৫৭ খতিয়ান তার দাদা মৃত.হবুল্লাহ শেখের নামে, এস এ রেকর্ড ৫০৭ মনিরুদ্দীন বিশ^াসের নামে প্রস্তুত হয়। মনিরুদ্দীনের মরণে তার ওয়ারেশ গণের নিকট থেকে রেজিঃ করিয়া উক্ত জমি তার পিতা ফেরত নেন। এবং ১৯৯০ সালে মাঠ জরিপে খতিয়ান প্রস্তুত হয়। যার ডিপি খতিয়ান নম্বর ২৯৬,বর্তমান দাগ নং-৫২১ দাগে বসতবাড়ি ১৯ শতক,৫২৩ কবরস্থান জমি ০.৬ শতক,৫২৪ পুকুর-৭ শতক, ৫২৬-ডাংগা ৩১ শতক মোট জমি-০.৬৩ শতক  ১৯৯০ সালে জরিপে আমার পিতা ওসমান শেখের নামে রেকর্ড প্রস্তুত হয়। প্রিন্ট পর্চা পাওয়ার পরে ৫৩৩ ধারাকে ব্যবহার করে ২১/০৫/৬৬ তারিখের এবং ৬৮/১৯৮১-৮২ নং ভূয়া তঞ্চকি দলিল ও ভূয়া তঞ্চকি মিউটিশান যে দলিল ও মিউটিশান ৩০ ধারায় তঞ্চকি দলিল এবং উক্ত দলিলে দাতার টিপসহ একই মৌজার অপর দলিলে স্বাক্ষর করা।  উক্ত ২৯৬ ডিপি খতিয়ানের ৬৩ শতক জমি থেকে  ৫২৪ দাগে পুকুর ৭ শতক,৫২৩ দাগে কবর স্থান ৬ শতক,৫২৬ দাগে ডাংগা ৩১ শতকের মধ্য ১৩ শতক মোট কর্তনকৃত জমির পরিমান ২৬ শতক অন্যায় ভাবে মোটা অংকের টাকার বিনিময় কর্তন করিয়া ভায়ড়া মৌজার ১০৯৭ নং খতিয়ানে রেকর্ড প্রদান করিয়াছেন।

তালা সদর ইউনিয়নের ভায়ড়া গ্রামের মৃত এরফান শেখ এর পুত্র  মোঃ মাসিয়াত শেখ জানান, খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মিসকেস নং ৮৪৩/২৪ মামলায় তালা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিস স্মারক-৮৯(২) তাং-৮/৪/২৪ জেএল ১২৪ নং ভায়ড়া মৌজায় ডিপি ৬৫৮৩ ও ৬৯৮ নং খতিয়ানে তদন্ত পূর্বক মতামত প্রদান করেন যে, উক্ত ডিপিতে নালিশী দাগে বাদী বিবাদী গণের নামে জরিপ বিধি অনুযায়ী সঠিক ভাবে এজমালিতে রেকর্ড প্রস্তুত হয়। সে মোতাবেক ৫৩৩ বিধিতে প্রতিকার দেওয়ার সুযোগ মর্মে মতামত প্রদান করেন। কিন্তু খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অীফসার ৬৫৮ ডিপির ১৫৮৭ ডাঙ্গা ৩৪ শতক জমি রাস্তা সংলগ্ন দামি সম্পর্ত্তি হওয়ায় উক্ত দলিল অনুযায়ী-০.৭ শতক পাবে কিন্তু উক্ত দাগ হতে তাকে ০.২৭ শতক সম্পত্তি মোটা অংকের টাকার বিনিময় কর্তন করিয়া দেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ।

তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে সুমজদিপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দীন সরদার  জানান, তার লক্ষণপুর মৌজার জেএল -১১৩,এসএ খতিয়ান ৩৭৫,দাগ ১২৫৮ ক্রয়কৃত সম্পর্ত্তি জমির পরিমাণ ২০ শতক ভোগদখলে আছেন। জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের মিস কেস ৬৭৮/২৪ মামলার মাধ্যমে আমার দলিল, মিউটিশান, খাজনা দাখিলা থাকার সত্বে  মোটা অংকের টাকার বিনিময় বাদী হোসেন আলী মাহমুদের নামে ২০ শতক জমি কর্তন করিয়া দেন।

আগোলঝাড়া গ্রামের রফিকুল হাওলাদার জানান, তার তালা সদর ইউনিয়নের ১২৪ নং ভায়ড়া মৌজার মিস কেস নং ৮৫৮/২৪ কেস এর নোটিশ প্রাপ্ত হন। নোটিশে ভায়ড়া মৌজার ৬৯,৭০,৭১ তিনটি ডিপির উপর মামলা নোটিশ প্রাপ্ত হইয়া জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে যান। জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ কোন শুনানী না করিয়া তিনটি ডিপির উপর লিখিত জবাব দাখিল করতে বলেন। এক্ষণে তিনি জানতে পারেন তিনিটি ডিপির উপর মামলা হলেও রায়ে দেখতে পান তিনটি ডিপি ছাড়াও আর ডিপি নং ৭২,৩৩৫,৩৩৮,৩৯২,৩৯৩,৩৯৪,৫৪৫,৮৭১ মোট ১১ টি ডিপি থেকে অন্যায় ভাবে মোটার অংকের টাকার বিনিময় আমার প্রতিপক্ষর নামে নতুন খতিয়ান খুলে জমি কর্তন করে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

এ ধরনের শতশত ব্যক্তি সর্বশান্ত হচ্ছে তার দ্বারা। এমন ভাবে উক্ত ১৪টি মৌজায় দালালদের মাধ্যমে মামলা গ্রহন করে পুর জরীপের জমজমাট কার্য্যক্রম চালিয়ে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ, পেশকার বাবু নাথ ও তার দালালচক্র।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ বেসামাল হয়ে জনণকে ক্ষতিসাধন করায় তার দ্বারা জনগণের ক্ষতিসাধনের হাত থেকে রক্ষা করতে তাৎক্ষণিক দাপ্তরিক ক্ষমতা স্থগিত করিয়া তদন্ত পূর্বক সত্যতা প্রমানে উক্ত পদ থেকে তাকে অপসরণ সহ অযোগ্য ঘোষনার দাবি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ এর কাছে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।