ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দুঃসময়ে অনিশ্চয়তার ভার মাথায় নিয়ে ঝিনাইদহের মাঠজুড়ে গ্রীষ্মকালীন সীম,মুনাফা হারাতে পারেন কৃষক

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:৩২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • ৯৬ জন পড়েছেন ।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-ইমন হাসান।

ঝিনাইদহের বিস্তিৃত মাঠ জুড়ে এখন শুধুই সবুজের সমারোহ।নানান মৌসুমী ফসলের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন সবজী এখন এ মাঠকে করেছে সমাদৃত।সীম শীতকালীন সবজী হলেও তা এখন গ্রীষ্মকালেও চাষ হচ্ছে।বাজারে অসময়ে এ সবজী পেয়ে ক্রেতারা আগ্রহের সাথেই বেশি দামে কিনছেন।তাই কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে বাজারে।এছাড়াও এ চাষ পদ্ধতি সহজ হলেও পরিচর্যা খরচ সামান্য বেশি তাও এই সীম চাষ করে লাভের আশায় জেলার সবকটি উপজেলার কৃষকরাই।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সহ শৈলকুপা, হরিনাকুন্ডু, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরে হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন এ সীমের চাষ।মৌসুমি সবজীর থেকে গ্রীষ্মকালীন সবজীর দাম তুলনামূলক ভাবে বেশী পাওয়ায় এ সীম চাষে ঝুকছেন কৃষকরা আবার এদিকে মাঠ থেকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সরাসরি কৃষকদেরকে দিচ্ছেন পরামর্শ।

তবে ফলন ভালো হওয়া সত্বেও কৃষকদের চিন্তার কারণ জানা গেল, সাম্প্রতিক দেশের উপরদিয়ে বয়ে চলা চরম উত্তেজনা,হানাহানিতে বাজারে এ গ্রীষ্মকালীন সবজি রপ্তানিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।ঝিনাইদহের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি করা হয়ে থাকে এ সীম তবে বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় আবার কি পরিবেশ চলছে বর্তমানে তা বিবেচনা করে পরিবহন খরচ বাড়িয়েছে পরিবহন মালিকরা।এতে করে কৃষক সরাসরি বাজারে রপ্তানি করতে আগ্রহ হারাচ্ছে। এমন কি সময়মত ট্রিপ না পাওয়ায় পাইকাররা আগ্রহ কম দেখাচ্ছে রপ্তানিতে।
কাজেই কমদামে সীম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষীরা।

এছাড়াও সেচ খরচ,সার,কীটনাশক এর মূল্যবৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ। তাছাড়া বাজারে অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন সবজী মুলা,পালং,কপি বাজারে রাজত্ব চালাচ্ছে।স্থানীয় কৃষকরা জানায় দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে যথা সময়ে এ সীম বাজারে পাঠানো যাবে এবং কৃষকরা ন্যায্য মুনাফা পাবে।

বাজারে সবজীর সংকট ও মূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে কৃষি বিভাগ গ্রীষ্মকালীন সবজীর চাষ বৃদ্ধিতে দিচ্ছেন পরার্মশ সহ নানান সহায়তা।জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলায় ৩৯৪ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সীমের চাষ হয়েছে।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

দুঃসময়ে অনিশ্চয়তার ভার মাথায় নিয়ে ঝিনাইদহের মাঠজুড়ে গ্রীষ্মকালীন সীম,মুনাফা হারাতে পারেন কৃষক

পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:৩২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-ইমন হাসান।

ঝিনাইদহের বিস্তিৃত মাঠ জুড়ে এখন শুধুই সবুজের সমারোহ।নানান মৌসুমী ফসলের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন সবজী এখন এ মাঠকে করেছে সমাদৃত।সীম শীতকালীন সবজী হলেও তা এখন গ্রীষ্মকালেও চাষ হচ্ছে।বাজারে অসময়ে এ সবজী পেয়ে ক্রেতারা আগ্রহের সাথেই বেশি দামে কিনছেন।তাই কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে বাজারে।এছাড়াও এ চাষ পদ্ধতি সহজ হলেও পরিচর্যা খরচ সামান্য বেশি তাও এই সীম চাষ করে লাভের আশায় জেলার সবকটি উপজেলার কৃষকরাই।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সহ শৈলকুপা, হরিনাকুন্ডু, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরে হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন এ সীমের চাষ।মৌসুমি সবজীর থেকে গ্রীষ্মকালীন সবজীর দাম তুলনামূলক ভাবে বেশী পাওয়ায় এ সীম চাষে ঝুকছেন কৃষকরা আবার এদিকে মাঠ থেকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সরাসরি কৃষকদেরকে দিচ্ছেন পরামর্শ।

তবে ফলন ভালো হওয়া সত্বেও কৃষকদের চিন্তার কারণ জানা গেল, সাম্প্রতিক দেশের উপরদিয়ে বয়ে চলা চরম উত্তেজনা,হানাহানিতে বাজারে এ গ্রীষ্মকালীন সবজি রপ্তানিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।ঝিনাইদহের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি করা হয়ে থাকে এ সীম তবে বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় আবার কি পরিবেশ চলছে বর্তমানে তা বিবেচনা করে পরিবহন খরচ বাড়িয়েছে পরিবহন মালিকরা।এতে করে কৃষক সরাসরি বাজারে রপ্তানি করতে আগ্রহ হারাচ্ছে। এমন কি সময়মত ট্রিপ না পাওয়ায় পাইকাররা আগ্রহ কম দেখাচ্ছে রপ্তানিতে।
কাজেই কমদামে সীম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষীরা।

এছাড়াও সেচ খরচ,সার,কীটনাশক এর মূল্যবৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ। তাছাড়া বাজারে অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন সবজী মুলা,পালং,কপি বাজারে রাজত্ব চালাচ্ছে।স্থানীয় কৃষকরা জানায় দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে যথা সময়ে এ সীম বাজারে পাঠানো যাবে এবং কৃষকরা ন্যায্য মুনাফা পাবে।

বাজারে সবজীর সংকট ও মূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে কৃষি বিভাগ গ্রীষ্মকালীন সবজীর চাষ বৃদ্ধিতে দিচ্ছেন পরার্মশ সহ নানান সহায়তা।জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলায় ৩৯৪ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সীমের চাষ হয়েছে।