ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভরা বর্ষা মৌসুমে নেই বড়াল নদীতে পানি

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০২:৪৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • ১৮৪ জন পড়েছেন ।

মৌসুমী দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভরা বর্ষা মৌসুমে নেই বড়াল নদীতে পানি। পানির প্রবাহ না থাকায় নদীপাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকা এখন হুমকির মুখে। এক সময় বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরে বা নৌকা বেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু বর্তমানে বড়াল নদীতে পানি না থাকায় জেলেরা অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এমনকি পেট চালানোর দায়ে বিকল্প পেশার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

বিগত বছরগুলোতে আষাঢ় মাসে বড়াল নদীতে বন্যার পানি প্রবেশ করলেও চলতি বর্ষা মৌসুমে বড়াল নদীতে কোন পানি আসে নি।ফলে নদীর বুকে ধু ধু বালুর চর এবং সবুজ ঘাসে ভরে আছে।

বড়াল নদীর বুকে মাইলের পর মাইল জেগে উঠেছে বিশাল বালুচর। নদীতে নেই কোনো পানি, নেই কোনো গভীরতা। রবিশস্য মৌসুমে এলাকার কৃষকরা জেগে ওঠা চরে ইরি-বোরো ধানের ফসল করছেন এবং নদীর দুইপাড়ে সরিষা, মসুর সহ রবিশস্য ফসল উৎপাদন করছে। এক সময় আষাঢ় মাসে নদীর তীরবর্তী জেলেরা নতুন পানিতে আসা রেনু পোনা মাছ বা বড় মাছ এগুলো ধরে বিক্রয় করে সারাবছরের খাবার ঘড়ে তুলতো কিন্তু বর্তমানে নদীতে পানি না আসায় কর্মহীন হয়ে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে।

নদীর বুকে এখন কৃষিজমি। চাষাবাদ হচ্ছে ধান, গম, ভুট্টা, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় হুমকীর মুখে পড়েছে জলজ প্রানীসহ জীব-বৈচিত্র্য।

নদী পাড়ের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদীর দু’কূল ছাপিয়ে পানির প্রবাহিত হলেও শুকনো মৌসুমে পানি অভাবে নানা সমস্যায় পড়ছেন নদী পাড়ের মানুষ।

ঝিকরা গ্রামের জেলে মদন কুমার বলেন, বর্তমান নদীর পানি না থাকায় আমরা খুব কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আল মামুন হাসান বলেন, বড়াল নদীর বুকে এবং দুইপাড়ে ইরি বোরো ধান সহ রবিশস্য ৩৫০ বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদন হয়। বড়াল নদীতে পানি না থাকায় এলাকাবাসী যেমন ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে অপর দিকে রবিশস্য মৌসুমে ফসল উৎপাদন করে কৃষকরা উপকৃতও হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালি উল্লা মোল্লা বলেন, বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি ঢোকার সাথে সাথে এলাকার জেলেরা রেনু পোনা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতো। বর্ষার পানিতে বিভিন্ন ধররেন ছোট থেকে বড় মাছ মেরে বাজারে বিক্রি করে তাদের সংসার চালতো।

নাটোর প্রানী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বড়াল নদী দীর্ঘদিন থেকেই বালীতে ভরাট হয়ে আসছে তাতে বড়াল নদীর মুসাখাঁ নদী ও নারদ নদী পানির প্রবাহ একে বারে বন্ধ হয়ে গেছে ফলে এই শাখা নদী দুটো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন পুনঃখননের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রকল্পের চাহিদা পাঠালেও ওখানে বরাদ্দ না থাকায় পুনঃখনন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চলতি অর্থ বছরে একটি প্রকল্প বরাদ্দের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি প্রকল্পটি পাওয়া যায় তাহলে চলতি অর্থ বছরে শুষ্ক মৌসুমে খনন করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

ভরা বর্ষা মৌসুমে নেই বড়াল নদীতে পানি

পোস্ট করা হয়েছে : ০২:৪৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

মৌসুমী দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভরা বর্ষা মৌসুমে নেই বড়াল নদীতে পানি। পানির প্রবাহ না থাকায় নদীপাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকা এখন হুমকির মুখে। এক সময় বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরে বা নৌকা বেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু বর্তমানে বড়াল নদীতে পানি না থাকায় জেলেরা অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এমনকি পেট চালানোর দায়ে বিকল্প পেশার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

বিগত বছরগুলোতে আষাঢ় মাসে বড়াল নদীতে বন্যার পানি প্রবেশ করলেও চলতি বর্ষা মৌসুমে বড়াল নদীতে কোন পানি আসে নি।ফলে নদীর বুকে ধু ধু বালুর চর এবং সবুজ ঘাসে ভরে আছে।

বড়াল নদীর বুকে মাইলের পর মাইল জেগে উঠেছে বিশাল বালুচর। নদীতে নেই কোনো পানি, নেই কোনো গভীরতা। রবিশস্য মৌসুমে এলাকার কৃষকরা জেগে ওঠা চরে ইরি-বোরো ধানের ফসল করছেন এবং নদীর দুইপাড়ে সরিষা, মসুর সহ রবিশস্য ফসল উৎপাদন করছে। এক সময় আষাঢ় মাসে নদীর তীরবর্তী জেলেরা নতুন পানিতে আসা রেনু পোনা মাছ বা বড় মাছ এগুলো ধরে বিক্রয় করে সারাবছরের খাবার ঘড়ে তুলতো কিন্তু বর্তমানে নদীতে পানি না আসায় কর্মহীন হয়ে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে।

নদীর বুকে এখন কৃষিজমি। চাষাবাদ হচ্ছে ধান, গম, ভুট্টা, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় হুমকীর মুখে পড়েছে জলজ প্রানীসহ জীব-বৈচিত্র্য।

নদী পাড়ের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদীর দু’কূল ছাপিয়ে পানির প্রবাহিত হলেও শুকনো মৌসুমে পানি অভাবে নানা সমস্যায় পড়ছেন নদী পাড়ের মানুষ।

ঝিকরা গ্রামের জেলে মদন কুমার বলেন, বর্তমান নদীর পানি না থাকায় আমরা খুব কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আল মামুন হাসান বলেন, বড়াল নদীর বুকে এবং দুইপাড়ে ইরি বোরো ধান সহ রবিশস্য ৩৫০ বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদন হয়। বড়াল নদীতে পানি না থাকায় এলাকাবাসী যেমন ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে অপর দিকে রবিশস্য মৌসুমে ফসল উৎপাদন করে কৃষকরা উপকৃতও হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালি উল্লা মোল্লা বলেন, বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি ঢোকার সাথে সাথে এলাকার জেলেরা রেনু পোনা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতো। বর্ষার পানিতে বিভিন্ন ধররেন ছোট থেকে বড় মাছ মেরে বাজারে বিক্রি করে তাদের সংসার চালতো।

নাটোর প্রানী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বড়াল নদী দীর্ঘদিন থেকেই বালীতে ভরাট হয়ে আসছে তাতে বড়াল নদীর মুসাখাঁ নদী ও নারদ নদী পানির প্রবাহ একে বারে বন্ধ হয়ে গেছে ফলে এই শাখা নদী দুটো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন পুনঃখননের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রকল্পের চাহিদা পাঠালেও ওখানে বরাদ্দ না থাকায় পুনঃখনন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চলতি অর্থ বছরে একটি প্রকল্প বরাদ্দের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি প্রকল্পটি পাওয়া যায় তাহলে চলতি অর্থ বছরে শুষ্ক মৌসুমে খনন করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।