মহানুভবতার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী এডমন্ড হিলারি ও তানজিং নোরগে!
গতকাল ২৯ মে ছিলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট বিজয়ের ৭১ বছর। ১৯৫৩ সালের ২৯ মে সকাল সাড়ে এগারোটায় নিউজিল্যান্ডের পর্বত আরোহী এডমন্ড হিলারি ও নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে মানব ইতিহাসে সর্বপ্রথম পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছান। দীর্ঘদিন যাবত মানুষ তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও সাহস দিয়ে চেষ্টা করে আসছিলো এভারেস্ট বিজয়ের। এতে সর্বপ্রথম সফল হতে পেরেছিলেন এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে।
কে প্রথম এভারেস্টে সর্বোচ্চ চুড়ায় পৌঁছান এডমন্ড হিলারি না তেনজিং নোরগে? এটা নিয়ে বিতর্ক চলতেছে সেই ১৯৫৩ সাল থেকেই! মজার ব্যাপার হলো হিলারি ও তেনজিং কেউ কিন্তু বলে যাননি কে প্রথম এভারেস্টে সর্বোচ্চ চুড়ায় উঠেছিলো। বরং দুজনেই বলেছিলো ‘আমরা’। তেনজিং বলেছিলো, ‘আমরা এভারেস্ট জয় করেছিলাম’ আর হিলারি বলেছিলো, ‘আমরা এভারেস্টে পৌঁছেছিলাম’। অর্থাৎ কে আগে উঠেছে সেটা নিজেকে এককভাবে জাহির না করে বলেছিলো আমরা একসাথেই এভারেস্টে সর্বোচ্চ চুড়ায় উঠেছি।
আরো একটা মজার ব্যাপার নাকি ঘটেছিলো এভারেস্টে সর্বোচ্চ চুড়ায়! সেটা হলো তেনজিংয়ের ছেলে জামলিং তার ‘মাই ফাদারস সোল’ বইয়ে লিখেছেন, তেনজিংয়ের কাছে ক্যামেরা ছিলোনা কিন্তু হিলারির কাছে ক্যামেরা ছিলো। এভারেস্টে সর্বোচ্চ চুড়ায় উঠার পর তেনজিং বলেছিলো, ক্যামেরাটা দাও হিলারি অন্তত তোমার একটা ছবি তুলে দিই। হিলারি বলেছিলো, না তেনজিং আমাদের দুজনের একসাথে ছবি তোলার মতো যখন কেউ এখানে নাই তখন শুধু একজনের ছবি তুলে কি হবে! ভাবা যায় এমন মহানুভবতা!! মানব ইতিহাসে মহানুভবতার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী এডমন্ড হিলারি ও তানজিং নোরগে!
সেইজন্যই হয়তো তেনজিং তার স্মৃতিচারনায় লিখেছিলেন,
‘এভারেস্ট সবচেয়ে উঁচু পাহাড় কিন্তু তারচেয়ে উঁচু যেনো হয় মানুষের মন’