ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

জিনহুয়াং আম চাষে সুরতআলীর বাজিমাৎ

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:২৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • ১০১ জন পড়েছেন ।

ঝিনাইদহ থেকে ইমন হাসান

ড্রাগনের পর কৃষি উদ্যোক্তা সুরত আলী এবার আম চাষে চমক দেখাচ্ছেন। তার আম বাগানে জিনহুয়াং নামের একটি বিদেশী জাতের আমগাছে সিজেনে ও অফসিজনে আম ধরছে কয়েক বার। এবার সিজনের মুকুল রেখে দিলেও তিনি মূলত অফসিজনে আম উৎপাদন করতে চান। সাইজে বড় ও ভালো স্বাদের এই আম অফসিজনে কাঙ্খিত দামে বিক্রয় করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শিবনগর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা সুরত আলী জানান, ৪ বছর আগে ভিয়েতনাম থেকে জিনহুয়াং নামের আমের এ জাতটি সংগ্রহ করে দিয়েছেন তার ভাগ্নে ডক্টর রুস্তম আলী। এরপর তিনি ওই গাছের সায়ন দিয়ে চারা তৈরী করে ৪বিঘা জমিতে ৫০০ টি চারা রোপন করেন। গাছ থেকে গাছ ৮ ফিট ও লাইন থেকে লাইন ১২ ফিট দূরত্ব বজায় রেখে আমের চারা লাগানো হয়েছে। তার লাগানো এই চারা গুলোর বয়স প্রায় ৩ বছর।

তিনি আরো জানান, দুই বছর বয়সেই গাছে আমের মুকুল আসে। প্রথমবার মুকুল ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। এবার সিজনের মুকুল রেখে দিয়েছেন। গ্রীষ্মকাল জুড়েই গাছে মুকুল আসতে থাকবে। ফলে সিজেনের আমতো পাবেনই, এছাড়া অফ সিজনেও কয়েকবার আম হারভেস্ট করতে পারবেন। এজাতের আম বেশ বড় সাইজের ও সুস্বাদু বলে তিনি জানান।
আম গাছের পরিচর্যা ও রোগবালাই দমন করা নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমগাছে তেমন কোনো রোগবালাই হয় না। এছাড়া পোঁকামাকড়ের আক্রমনও খুব একটা বেশি হয় না। তারপরও রোগবালাই ও পোঁকামাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে মাঝে মধ্যে ছত্রাকনাশক ও কিটনাশক স্প্রে করা হয়। এছাড়া গাছে মুকুল আসার আগে ও আমের গুঁটি মটর দানার মতো হলে কার্বান্ডাজিম ও সাইপারম্যাথিন গ্রুপের ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। ফুল-ফলের সময় নিয়মিত সেচ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে কথা হয় কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনির সাথে। তিনি বলেন, “আমাদের কৃষি উদ্যোক্তরা বিভিন্ন সোর্স থেকে আমের বিভিন্ন জাত সংগ্রহ করছেন। তবে বাংলাদেশে বারি উদ্ভাবিত আমের বিভিন্ন ভালো মানের জাত আছে। এছাড়া কাটিমন, ল্যাংরা ও হিমসাগর আমও যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং চাষকরে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। তবে রঙ, লেইট ভ্যারাটি ও বছরে কয়েক বার হারভেস্ট করা যায় এমন কিছু বিদেশি ভ্যারাইটির প্রতি আমাদের কৃষকরা ঝুঁকছেন।
তিনি আরো বলেন, আমের সুন্দর রঙ ও অসময়ে উৎপাদিত আমের বাজার দর ভালো পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে বারি উদ্ভাবিত লেইট ভ্যারাইটি বারি-৪ যথেষ্ট ভালো একটি ভ্যারাইটি।” এছাড়া বছরে দুই/তিনবার মুকুল আসাজাত বারি-১১ চাষে কৃষকরা বেশ সফলতা পাচ্ছেন তিনি দাবী করেন।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর

জিনহুয়াং আম চাষে সুরতআলীর বাজিমাৎ

পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:২৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

ঝিনাইদহ থেকে ইমন হাসান

ড্রাগনের পর কৃষি উদ্যোক্তা সুরত আলী এবার আম চাষে চমক দেখাচ্ছেন। তার আম বাগানে জিনহুয়াং নামের একটি বিদেশী জাতের আমগাছে সিজেনে ও অফসিজনে আম ধরছে কয়েক বার। এবার সিজনের মুকুল রেখে দিলেও তিনি মূলত অফসিজনে আম উৎপাদন করতে চান। সাইজে বড় ও ভালো স্বাদের এই আম অফসিজনে কাঙ্খিত দামে বিক্রয় করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শিবনগর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা সুরত আলী জানান, ৪ বছর আগে ভিয়েতনাম থেকে জিনহুয়াং নামের আমের এ জাতটি সংগ্রহ করে দিয়েছেন তার ভাগ্নে ডক্টর রুস্তম আলী। এরপর তিনি ওই গাছের সায়ন দিয়ে চারা তৈরী করে ৪বিঘা জমিতে ৫০০ টি চারা রোপন করেন। গাছ থেকে গাছ ৮ ফিট ও লাইন থেকে লাইন ১২ ফিট দূরত্ব বজায় রেখে আমের চারা লাগানো হয়েছে। তার লাগানো এই চারা গুলোর বয়স প্রায় ৩ বছর।

তিনি আরো জানান, দুই বছর বয়সেই গাছে আমের মুকুল আসে। প্রথমবার মুকুল ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। এবার সিজনের মুকুল রেখে দিয়েছেন। গ্রীষ্মকাল জুড়েই গাছে মুকুল আসতে থাকবে। ফলে সিজেনের আমতো পাবেনই, এছাড়া অফ সিজনেও কয়েকবার আম হারভেস্ট করতে পারবেন। এজাতের আম বেশ বড় সাইজের ও সুস্বাদু বলে তিনি জানান।
আম গাছের পরিচর্যা ও রোগবালাই দমন করা নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমগাছে তেমন কোনো রোগবালাই হয় না। এছাড়া পোঁকামাকড়ের আক্রমনও খুব একটা বেশি হয় না। তারপরও রোগবালাই ও পোঁকামাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে মাঝে মধ্যে ছত্রাকনাশক ও কিটনাশক স্প্রে করা হয়। এছাড়া গাছে মুকুল আসার আগে ও আমের গুঁটি মটর দানার মতো হলে কার্বান্ডাজিম ও সাইপারম্যাথিন গ্রুপের ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। ফুল-ফলের সময় নিয়মিত সেচ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে কথা হয় কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনির সাথে। তিনি বলেন, “আমাদের কৃষি উদ্যোক্তরা বিভিন্ন সোর্স থেকে আমের বিভিন্ন জাত সংগ্রহ করছেন। তবে বাংলাদেশে বারি উদ্ভাবিত আমের বিভিন্ন ভালো মানের জাত আছে। এছাড়া কাটিমন, ল্যাংরা ও হিমসাগর আমও যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং চাষকরে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। তবে রঙ, লেইট ভ্যারাটি ও বছরে কয়েক বার হারভেস্ট করা যায় এমন কিছু বিদেশি ভ্যারাইটির প্রতি আমাদের কৃষকরা ঝুঁকছেন।
তিনি আরো বলেন, আমের সুন্দর রঙ ও অসময়ে উৎপাদিত আমের বাজার দর ভালো পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে বারি উদ্ভাবিত লেইট ভ্যারাইটি বারি-৪ যথেষ্ট ভালো একটি ভ্যারাইটি।” এছাড়া বছরে দুই/তিনবার মুকুল আসাজাত বারি-১১ চাষে কৃষকরা বেশ সফলতা পাচ্ছেন তিনি দাবী করেন।