ঝিনাইদহ-ইমন হাসান
আসছে পহেলা বৈশাখ থেকে চালের বস্তার গায়ে উৎপাদনকারী জেলা -উপজেলার নাম, ধানের জাত, উৎপাদনের তারিখ, নীট ওজন মিল গেট মুল্য উল্লেখ থাকতে হবে।অন্যথায় আইন মোতাবেক জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আজ বুধবার ( ২৭ মার্চ) ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অবহিত করণ সভায় এ সব কথা বলেন জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের ২১ ফেব্রæয়ারি এ সংক্রান্তে একটি পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সেই মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের পরে মনিটরিং জোরদার করা হবে। চাল উৎপাদনকারী মিল গুলো পরিচালনা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক। রাইস মিল ( অটোমেটিক ও হাস্কিং) থেকে পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে সরবরাহকৃত চালের সুষ্ঠ ব্যবস্থপানা এবং উৎপাদন ও সরবরাহ মুল্য নিশ্চিত করতে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মান্নান আলী, অটো রাইস মিল সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন , সাধারণ সম্পাদক বিকাশ কুমার বিশ্বাস , জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান সহ সাধারণ চালকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরিফুল ইসমলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী। আলোচনা কালে উপস্থিত মিল মালিকগণ সরকারের জারি করা পরিপত্র বাস্থবায়ন করা নিয়ে নানা নেতিকবাচক বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
সরকারের জারি করা পরিপত্র মোতাবেক আগামী ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) থেকে এ্যাকশানে নামবে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাগণ। পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা অকস্যাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার পাইকারী বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করেন। এতে করে ভোক্তাগণ ন্যায্যমুল্যে পছন্দমত জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় চালের বাজার মুল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।