ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

তাহিরপুর ঘুমন্ত কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • ২১০ জন পড়েছেন ।

আমির হোসেন, সুনামগঞ্জ :

সুনামগঞ্জ তাহিরপুর পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাতের আধারে ঘুমের মধ্যে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত কিশোরের নাম মনির হোসেন (১৫)। সে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের মৃত মোছাব্বির মিয়ার ছেলে। শুক্রবার (২২ মার্চ) শেষ রাতে আহত কিশোরের নিজ ঘরের বারান্দা রুমের মধ্যে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর আহত কিশোর বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুশর্য্যায় রয়েছে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় গ্রামে এখন আতংক বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের সামনের একটি চায়ের দোকানে মৃত মোসাব্বির মিয়ার বড় ছেলে তোফায়েল এবং পাশ্ববর্তী জয়পুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল আমিনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে গ্রামের মুরব্বিরা বসে তাৎক্ষণিক দুইজনকে মিলিয়ে মিমাংসা করে দেন। গত শুক্রবার তোফায়েলের ছোট ভাই মনির হোসেন রাতের খাবার খেয়ে নিজ বাড়ির ঘরের বারান্দার রুমে একা ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ গভীর রাতে তার চিৎকার চেচামেচি শুনে ঘর থেকে লোকজন বেরিয়ে এসে দেখেন সে বিছানার মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে চটপট করছে। তখন পরিবারের লোকজন জানতে চাইলে সে জানায় জয়পুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল আমিন সহ কয়েকজন বারান্দার রুমে ডুকে তার মুখ চেপে ধরে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত বের হয়ে গেছে। তখন ঘটনাটি থানায় জানালে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে এসে আহত মনিরকে উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্হ্য নিয়ে ভর্তি করে। এখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তার অবস্থা বেগতিক দেখে ভোর রাতে তাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে গত দুইদিন ধরে গুরুতর আহত কিশোর মনির হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুশয্যায় রয়েছে।

গুরুতর আহত কিশোরের বড় ভাই তোফায়েল জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে দোকানে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। এর জের ধরেই আমার বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার ছোট ভাইকে রাতে ঘুমের মধ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছে আলামিন গংরা। তিনি প্রশাসনের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, আহত রুগিটির অবস্থা আশংকাজনক। তার পেটে এবং উড়ুতে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা ক্রিটিকাল হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তক। পুলিশ সংবাদ পাওয়া মাত্রই আহত কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় তাহিরপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

তাহিরপুর ঘুমন্ত কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা

পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

আমির হোসেন, সুনামগঞ্জ :

সুনামগঞ্জ তাহিরপুর পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাতের আধারে ঘুমের মধ্যে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত কিশোরের নাম মনির হোসেন (১৫)। সে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের মৃত মোছাব্বির মিয়ার ছেলে। শুক্রবার (২২ মার্চ) শেষ রাতে আহত কিশোরের নিজ ঘরের বারান্দা রুমের মধ্যে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর আহত কিশোর বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুশর্য্যায় রয়েছে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় গ্রামে এখন আতংক বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের সামনের একটি চায়ের দোকানে মৃত মোসাব্বির মিয়ার বড় ছেলে তোফায়েল এবং পাশ্ববর্তী জয়পুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল আমিনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে গ্রামের মুরব্বিরা বসে তাৎক্ষণিক দুইজনকে মিলিয়ে মিমাংসা করে দেন। গত শুক্রবার তোফায়েলের ছোট ভাই মনির হোসেন রাতের খাবার খেয়ে নিজ বাড়ির ঘরের বারান্দার রুমে একা ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ গভীর রাতে তার চিৎকার চেচামেচি শুনে ঘর থেকে লোকজন বেরিয়ে এসে দেখেন সে বিছানার মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে চটপট করছে। তখন পরিবারের লোকজন জানতে চাইলে সে জানায় জয়পুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল আমিন সহ কয়েকজন বারান্দার রুমে ডুকে তার মুখ চেপে ধরে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত বের হয়ে গেছে। তখন ঘটনাটি থানায় জানালে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে এসে আহত মনিরকে উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্হ্য নিয়ে ভর্তি করে। এখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তার অবস্থা বেগতিক দেখে ভোর রাতে তাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে গত দুইদিন ধরে গুরুতর আহত কিশোর মনির হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুশয্যায় রয়েছে।

গুরুতর আহত কিশোরের বড় ভাই তোফায়েল জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে দোকানে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। এর জের ধরেই আমার বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার ছোট ভাইকে রাতে ঘুমের মধ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছে আলামিন গংরা। তিনি প্রশাসনের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, আহত রুগিটির অবস্থা আশংকাজনক। তার পেটে এবং উড়ুতে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা ক্রিটিকাল হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তক। পুলিশ সংবাদ পাওয়া মাত্রই আহত কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় তাহিরপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।