ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-ইমন হাসান
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মানব পাচার মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।তদপুরি ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারদন্ড দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ রায় প্রদান করেন ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল ১০টার সময় আসামী রওশনারা বেগম,আসামী মোঃ সানোয়ার হোসেন এবং আসামী বাপিপ’দের নিকট সাক্ষীগণের মোকাবিলায় তুলে দেন এর পর তারা ভুক্তভোগীকে মহেশপুর থেকে ঝিনাইদহে নিয়ে আসেন।তারপর থেকে প্রায় তিন মাস ধরে এজাহারকারীর সাথে ভুক্তভোগীর যোগাযোগ ছিলো তবে তারপর থেকে অধ্যাবদি সকলপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এক পর্যায়ে এজাহারকারী অভিযুক্তদের কাছে তাদের কন্যাকে ফেরত চাইলে তারা তালবাহানা শুরু করলে এজাহারকারীরা গত ১৩/০৫/২০১২ সালে আসামীদের কাছে সাক্ষী সমেত উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করলে গত ৩১-০৫-২০১২ তারিখে এজাহারকারী ঝিনাইদহ সদর থানায় এসে আনুমানিক দুপুর আড়াইটার দিকে আসামীদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও দমন আইন ২০১২ এর ৭ ধারায় অভিযোগ দায়ের করনে।
এজাহারকারী মন্তব্য করেন তার মেয়েকে ফুসলিয়ে ও যোগসাজসে তাকে যৌনকর্মের উদ্যেশে দেশে অথবা বিদেশে পাচার করেছেন।মামলার বিবরণ অনুযায়ী আরো জানা যায়,আসামীরা হলেন এজাহারকারীর স্থানীয় ধর্ম আত্মীয় সেই সুবাদে তাদের বড়িতে যাতায়াত ছিলো।আসামীরা এজাহারকারীকে বলেন তাদের কন্যাকে শহরে নিয়ে গিয়ে ব্রাকে ভালো বেতনে সেলাইমেশিনের কাজ পাইয়ে দিবে।
তারপর গত ২৮/১২/২০১১ তারিখে তারা সরল বিশ্বাসে তাদের কন্যাকে ( মোছাঃ লাবনী খাতুনকে ) আসামীদের হাতে তুলেদেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মামলা প্রমাণিত হওয়ায় পলাতক এ আসমীদের বিরুদ্ধে আদালত এ রায় প্রদান করে ।