শাহিন হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের আবেদন জমার হিড়িক পরে যায় ইতি মধ্যে দলীয় নমিনেশন জমা যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থিদের তালিকা প্রকাশ শেষে সবাই এখন নির্বাচন মূখি। সারাদেশের মতো এ বিষয় পিছিয়ে নেই বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রার্থীরা। এরইমধ্যে সবাই নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে বিভিন্ন বিষয় দিক নির্দেশনা প্রদান ও বিভিন্ন প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন। উপজেলায় বিভিন্ন দলের ১৬ জন প্রার্থীর দুজন বাতিল সহ শেষ অবধি অনেকেই হয়তো নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার সম্ভবনা, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু নির্বাচন প্রশ্নে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমার্থকদের নিয়ে নমিনেশন ফরম জমা দিলেও ঋন খেলাপীর অভিযোগে বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তিতে হাইকোর্টে অপিল করলেও এখনো তার অংশ নেওয়ার বিষয় টি অনিশ্চিত থাকায় দলের একটা বিরাট অংশ গুমোট পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নীরবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে আছেন। বাকিদের মধ্যে এ আসনে নৌকা, লাঙ্গল ও মশাল রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে, জোটের বিষয় টি এখনো অনিশ্চিত থাকার কারণে বরাবরের মতো নৌকা প্রার্থী এখনো মাঠে সুবিধা করতে পারেনি। দলীয় নেতা-কর্মীদের নেই প্রার্থীর উপর আস্থা। এছাড়া কিছুটা আমলাতান্ত্রিক মানুষিকতার কারনে কাছে ভিড়তে পারছেনা সাধারণ মানুষ।
যে কারণে বরাবরের মতো নিরহংকারী সাদা মনের মানুষ নাসরীন জাহান রতনার লাঙ্গলেই ভীড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই উপচে পড়া নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের ভীড়। স্বাধীনতা পরবর্তী সর্বাধিক সময় হাওলাদার পরিবারের শাসন ও জন পরিচিতির কারনে সব রকমের পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তাদের জন সমার্থন এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। এছাড়া মশাল প্রার্থী মোহাম্মদ মোহসীন ও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলা জুড়ে, এরইমধ্যে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন জোড়ালো ভূমিকায়। মহাজোটের জোটের প্রশ্নে দল ছাড় দিলে বড় ধরনের চমকের অপেক্ষায় আছে বাকেরগঞ্জ বাসী। নতুবা নৌকা, লাঙ্গল ও মশালের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ে অংশ নিবেন বাকেরগঞ্জ বাসী। আর প্রার্থীতা ফিরে পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু ও থাকবেন এ লড়াইয়ের একজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্ধী।