মৌসুমী দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় রেল লাইনের নিরাপত্তা ও রেল চলাচলে স্বাভাবিক রাখা ও নাশকতা প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করছেন আনসার ভিডিপি সদস্যরা। উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ১৩টি পয়েন্টে ৫২ জন সদস্য পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধুমাত্র হাতে লাঠি ও বাঁশি নিয়ে রেল লাইনের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন আনসার সদস্যরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের সম্পদ ও জনগণের জান মালের রক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
উল্লেখ্য যে, গত (০১ নভেম্বর) বুধবার রাতে নন্দনগাছি রেল স্টেশন সংলগ্ন পূর্ব দিকে বাসুপাড়া রেললাইনে উপরে টায়ার জ্বালিয়ে এবং (০৪ নভেম্বর ২০২৩) সরদহ রেল স্টেশনের অদূরে পূর্ব দিকে রেললাইনের নিচে চেইন দিয়ে বেঁধে ট্রেন ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সরদহ রেল স্টেশনের কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীরা এসে বড় ধনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছিলো এই রেললাইন।
উপজেলার সরদহ রেল স্টেশন থেকে আড়ানী পর্যন্ত এরই মাঝে ১৩ টি পয়েন্ট রয়েছে বলে আনসার ভিডিপির অফিস সূত্রে জানা যায়। এই সব স্থানে প্রতি শিফটে ২ জন করে আনসার ভিডিপির সদস্যরা রেললাইন পাহারা দিচ্ছেন। এই বাহিনী পোশাক পরিধান করা আনসার ভিডিপি সদস্যের হাতে শুধুমাত্র লাঠি ও বাঁশি ছাড়া আর কোন কিছু নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা নাজমা বেগম বলেন, রাজশাহী-ঢাকা রেল লাইনের দুটি রেলস্টেশন সহ ১৩টি পয়েন্টে আনসার সদস্য ভাগ করা হয়েছে। প্রতি শিফটে ২ জন করে ৫২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা রেললাইন পাহারায় নিয়োজিত আছেন। উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিস থেকে প্রত্যেক সদস্যকে একটি করে টস লাইট দেওয়া হয়েছে। আর যতদিন হরতাল-অবরোধ থাকবে তারা নিরাপত্তার দায়িত্বে অব্যাহত থাকবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হরতাল-অবরোধ চলাকালীন সময়ে রেললাইন পাহারায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তবে আনসার সদস্যদের নিরাপত্তার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি নাশকতামূলক কোন তথ্য জানায় আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।