ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

বাগেরহাটে কমে যাচ্ছে নারকেলের গাছ ও ফলন

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:৩১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • ১০৭ জন পড়েছেন ।

ইলিয়াস সরদার আরিয়ান,বাগেরহাট:

বাগেরহাট জেলায় বিভিন্ন অঞ্চলে নারকেলের গাছ ও ফলন চরমভাবে কমে যাওয়ায় আকাশছোঁয়া মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে সর্বত্র। ফলে সর্ব সাধারনের মধ্যে নারকেলের চাহিদা থাকলেও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে তা ক্রয়-বিক্রয় হওয়ায় অনেকে তা খেতে পারছেনা। এ অবস্থায় নারকেল চাষে স্থানীয় চাষীদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা না হলে এঅঞ্চল হতে নারকেল গাছ ও ফল বিলুপ্ত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সারাদেশের মধ্যে বাগেরহাট জেলা নারকেলের জন্য বিভিন্ন জেলায় এর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তাছাড়া বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, মোড়লগঞ্জ,রামপাল, কচুয়া ও চিতলমারীসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আগের দিনে ব্যাপক পরিমানে নারকেল গাছ ছিল। সেই নারকেল গাছে বিপুল পরিমানে নারকেল ফলন ধরায় এলাকার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা রপ্তানী করা হতো। সেই জন্য এই অঞ্চলকে নারকেলের অঞ্চল হিসাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সুপরিচিতি অর্জন করে। কিন্তু কালের পরিবর্তনে নানা কারনে-অকারনে নারকেল গাছগুলি কেটে ফেলায় নারকেল গাছে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবেশগত দিক দিয়ে নারকেল গাছে ফলনও চরম ভাবে কমে গেছে। যে কারণে সর্বসাধারনের নারকেলের প্রতি চাহিদা থাকলেও তা ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় অনেকে নারকেল খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় নারকেল বাগান মালিক বা চাষিরা জানান, আগের তুলনায় এখন গাছে তেমন একটা ফলন পাওয়া যাচ্ছেনা। তাছাড়া কারনে-অকারনে অনেক গাছ কেটে ফেলা, মরে যাওয়া বা আগের মত ফলন না ধরায় নারকেল গাছের প্রতি তেমন একটা আগ্রহ থাকছে না। আবার কোন কোন স্থানে বিপুল পরিমানে নারকেল গাছ থাকলেও ফলন তেমন একটা না ধরায় তা কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ হতে নারকেল চাষিদের উৎসাহ জোগাতে যদি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হত তাহলে এঅঞ্চলে আবারও নারকেলের জন্য ব্যাপক সুপরিচিতি লাভ করতো।

বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাটি একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। রবিবার ও বৃহস্পতিবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। এই বাজারে খানপুর, রাখালগাছি ,বেতাগা, শুভদিয়া ,পিলজংগ, রুপসা, রামপাল ও মোংলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এখানে নারকেল ক্রয়-বিক্রয় করতে আসেন। এখানে সাপ্তাহিক হাটের দিনে প্রায় ১০/১২হাজার নারকেল ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। সেই নারকেল চলে যায়, রাজধানী ঢাকাসহ রাজশাহী চট্টগ্রাম সিলেট বা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বেশ কয়েকজন নারকেল ব্যবসায়ী এই নারকেলের ব্যবসা করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

স্থানীয় নারকেল ব্যবসায়ী-আশীষ , মোঃ ইয়াসিন, মোঃ হারুন, মোঃ তামিম রহমান,সুভাষ কর ও সাইফুল সহ একাধিক ব্যবসায়ীরা দৈনিক সমতটকে জানান, তারা দিনাজপুর নাটোর সহ বিভিন্ন জেলায় এখান থেকে নারকেল ক্রয় করে রপ্তানী করে থাকেন। আগে যে নারকেল ৫০/৬০টাকা জোড়া বিক্রয় করা হতো সেখানে এখন বিক্রয় করা হচ্ছে ১৬০/১৬৫ টাকা। নারকেল গাছ বিভিন্ন কারনে মরে যাওয়া বা ফলন না ধরায় এঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাগেরহাটের নারকেলের ঐতিহ্য ধরে রাখতে স্থানীয় চাষিদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বি করে গড়ে তুলতে পারলে আবারও এ অঞ্চলের ঐতিহ্য ফিরে আসতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

বাগেরহাটে কমে যাচ্ছে নারকেলের গাছ ও ফলন

পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:৩১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

ইলিয়াস সরদার আরিয়ান,বাগেরহাট:

বাগেরহাট জেলায় বিভিন্ন অঞ্চলে নারকেলের গাছ ও ফলন চরমভাবে কমে যাওয়ায় আকাশছোঁয়া মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে সর্বত্র। ফলে সর্ব সাধারনের মধ্যে নারকেলের চাহিদা থাকলেও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে তা ক্রয়-বিক্রয় হওয়ায় অনেকে তা খেতে পারছেনা। এ অবস্থায় নারকেল চাষে স্থানীয় চাষীদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা না হলে এঅঞ্চল হতে নারকেল গাছ ও ফল বিলুপ্ত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সারাদেশের মধ্যে বাগেরহাট জেলা নারকেলের জন্য বিভিন্ন জেলায় এর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তাছাড়া বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, মোড়লগঞ্জ,রামপাল, কচুয়া ও চিতলমারীসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আগের দিনে ব্যাপক পরিমানে নারকেল গাছ ছিল। সেই নারকেল গাছে বিপুল পরিমানে নারকেল ফলন ধরায় এলাকার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা রপ্তানী করা হতো। সেই জন্য এই অঞ্চলকে নারকেলের অঞ্চল হিসাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সুপরিচিতি অর্জন করে। কিন্তু কালের পরিবর্তনে নানা কারনে-অকারনে নারকেল গাছগুলি কেটে ফেলায় নারকেল গাছে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবেশগত দিক দিয়ে নারকেল গাছে ফলনও চরম ভাবে কমে গেছে। যে কারণে সর্বসাধারনের নারকেলের প্রতি চাহিদা থাকলেও তা ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় অনেকে নারকেল খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় নারকেল বাগান মালিক বা চাষিরা জানান, আগের তুলনায় এখন গাছে তেমন একটা ফলন পাওয়া যাচ্ছেনা। তাছাড়া কারনে-অকারনে অনেক গাছ কেটে ফেলা, মরে যাওয়া বা আগের মত ফলন না ধরায় নারকেল গাছের প্রতি তেমন একটা আগ্রহ থাকছে না। আবার কোন কোন স্থানে বিপুল পরিমানে নারকেল গাছ থাকলেও ফলন তেমন একটা না ধরায় তা কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ হতে নারকেল চাষিদের উৎসাহ জোগাতে যদি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হত তাহলে এঅঞ্চলে আবারও নারকেলের জন্য ব্যাপক সুপরিচিতি লাভ করতো।

বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাটি একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। রবিবার ও বৃহস্পতিবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। এই বাজারে খানপুর, রাখালগাছি ,বেতাগা, শুভদিয়া ,পিলজংগ, রুপসা, রামপাল ও মোংলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এখানে নারকেল ক্রয়-বিক্রয় করতে আসেন। এখানে সাপ্তাহিক হাটের দিনে প্রায় ১০/১২হাজার নারকেল ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। সেই নারকেল চলে যায়, রাজধানী ঢাকাসহ রাজশাহী চট্টগ্রাম সিলেট বা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বেশ কয়েকজন নারকেল ব্যবসায়ী এই নারকেলের ব্যবসা করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

স্থানীয় নারকেল ব্যবসায়ী-আশীষ , মোঃ ইয়াসিন, মোঃ হারুন, মোঃ তামিম রহমান,সুভাষ কর ও সাইফুল সহ একাধিক ব্যবসায়ীরা দৈনিক সমতটকে জানান, তারা দিনাজপুর নাটোর সহ বিভিন্ন জেলায় এখান থেকে নারকেল ক্রয় করে রপ্তানী করে থাকেন। আগে যে নারকেল ৫০/৬০টাকা জোড়া বিক্রয় করা হতো সেখানে এখন বিক্রয় করা হচ্ছে ১৬০/১৬৫ টাকা। নারকেল গাছ বিভিন্ন কারনে মরে যাওয়া বা ফলন না ধরায় এঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাগেরহাটের নারকেলের ঐতিহ্য ধরে রাখতে স্থানীয় চাষিদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বি করে গড়ে তুলতে পারলে আবারও এ অঞ্চলের ঐতিহ্য ফিরে আসতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।।