ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত 

দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো : প্রধান বিচারপতি

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৮:৪০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
  • ৮৬ জন পড়েছেন ।

একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম দিনে এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনার জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির এজলাস কক্ষে আজ তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতির জীবন তুলে ধরে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি চাইব বিচার বিভাগ ও বিচারালয়কে যেন কোনোভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়। এখানে বিচারক ও আইনজীবীদের সম্মিলিত ও মেধাপুষ্ট দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে। তবেই বিচার বিভাগের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের এ বিচার অঙ্গন পারস্পরিক সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও ভালোবাসায় আলোকিত হোক এটিই আমার প্রত্যাশা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি কথা অপ্রিয় হলেও বলতে চাই, কোনো বিষয়ে ভালোভাবে না জেনে যথেচ্ছভাবে বিচারক ও আদালত সম্পর্কে কটু মন্তব্য মোটেই সভ্যতার ইঙ্গিত বহন করে না। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের ভাষায় আমিও উচ্চারণ করতে চাই কোনো বিচারকই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। সভ্য জগতে ভব্য সমালোচনার একটা অবকাশ রয়েছে। বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাকস্বাধীনতার এক অংশ বলে আমি মনে করি। আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধি-নিষেধ সাপেক্ষে সংবিধানে এ বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশে যে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরাজ করছে, তার ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার জন্য যথেচ্ছ সমালোচনার পরিবর্তে জেনে-শুনে ওয়েল ইনফরমড হয়ে সমালোচনার প্রয়োজন। তবে কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে তা সংবাদমাধ্যমই হোক, আইনজীবীই হোক বা যে কেউ হোক তাকে শায়েস্তা করার জন্য আদালতের হাত যথেষ্টই লম্বা।
দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার প্রশাসনকে রাখতে হবে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, স্বাধীন ও সোশ্যাল জাস্টিস তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা দেশ ও জাতির জন্য গর্বের। দায়িত্ব পালনকালে আমার সতীর্থ বিচারকরা ও আইনজীবীদের সুচিন্তিত পথ ধরে একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। আমি আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে ও সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে একটি দীর্ঘ মেয়াদি জুডিসিয়াল প্ল্যান তৈরি করতে চাই। আমার উত্তরসূরিরা যেন এ প্ল্যান বা পরিকল্পনা ধরে আগামীতে এগিয়ে যেতে পারেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি। অবকাশ, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি শেষে দীর্ঘ ৩৫ দিন পর আজ সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম দিনে প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন এটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট বার। সংবর্ধনায় বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।  নিখাদ

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ

দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো : প্রধান বিচারপতি

পোস্ট করা হয়েছে : ০৮:৪০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম দিনে এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনার জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির এজলাস কক্ষে আজ তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতির জীবন তুলে ধরে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি চাইব বিচার বিভাগ ও বিচারালয়কে যেন কোনোভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়। এখানে বিচারক ও আইনজীবীদের সম্মিলিত ও মেধাপুষ্ট দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে। তবেই বিচার বিভাগের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের এ বিচার অঙ্গন পারস্পরিক সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও ভালোবাসায় আলোকিত হোক এটিই আমার প্রত্যাশা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি কথা অপ্রিয় হলেও বলতে চাই, কোনো বিষয়ে ভালোভাবে না জেনে যথেচ্ছভাবে বিচারক ও আদালত সম্পর্কে কটু মন্তব্য মোটেই সভ্যতার ইঙ্গিত বহন করে না। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের ভাষায় আমিও উচ্চারণ করতে চাই কোনো বিচারকই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। সভ্য জগতে ভব্য সমালোচনার একটা অবকাশ রয়েছে। বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাকস্বাধীনতার এক অংশ বলে আমি মনে করি। আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধি-নিষেধ সাপেক্ষে সংবিধানে এ বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশে যে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরাজ করছে, তার ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার জন্য যথেচ্ছ সমালোচনার পরিবর্তে জেনে-শুনে ওয়েল ইনফরমড হয়ে সমালোচনার প্রয়োজন। তবে কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে তা সংবাদমাধ্যমই হোক, আইনজীবীই হোক বা যে কেউ হোক তাকে শায়েস্তা করার জন্য আদালতের হাত যথেষ্টই লম্বা।
দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার প্রশাসনকে রাখতে হবে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, স্বাধীন ও সোশ্যাল জাস্টিস তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা দেশ ও জাতির জন্য গর্বের। দায়িত্ব পালনকালে আমার সতীর্থ বিচারকরা ও আইনজীবীদের সুচিন্তিত পথ ধরে একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। আমি আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে ও সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে একটি দীর্ঘ মেয়াদি জুডিসিয়াল প্ল্যান তৈরি করতে চাই। আমার উত্তরসূরিরা যেন এ প্ল্যান বা পরিকল্পনা ধরে আগামীতে এগিয়ে যেতে পারেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি। অবকাশ, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি শেষে দীর্ঘ ৩৫ দিন পর আজ সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম দিনে প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন এটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট বার। সংবর্ধনায় বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।  নিখাদ