ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দুরগোনন্দ ও আবর্জনায় বুজে যেতে চলেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ঐতিহাসিক বুড়ির খাল, প্রশাসন নির্বিকার

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:০০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৮৬ জন পড়েছেন ।

কে  মনোয়ার ইমাম

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত মগরাহাট পশ্চিমের উস্হি হতে কলকাতা পযন্ত যাতায়াতের একসময়ের ঐতিহাসিক বুড়ির খাল বুজতে চলেছে। এই খাল দিয়ে একসময় নৌকা ও বোর্ড করে বহু দূরদূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ব্রিটিশ আমালের উস্হি র হাটে বাজারে ক্রয়বিক্রয় করতে আসতেন। এই খাল ছিল গ্রামবাসীদের একমাত্র পথ। ডায়মন্ডহারবার মহাকুমার অন্তর্ভুক্ত শিঙ বেড়ে লক্ষীপুর এবং লক্ষীকান্তপুর এবং মগরাহাট পূর্বে র মানুষের ব্যাবসার রাস্তা ছিল এই খালপথ। এমনকি মগরাহাট পশ্চিমের রাজারহাট ও বিষ্ণুপুর থেকে চাল ও ডাল এবং ধান শাক সবজি এই খাল পথে আসত। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ ভাগীরথীর সাথে যুক্ত এই ঐতিহাসিক খাল আজ বুজতে চলেছে চোখের সামনে। নির্বিকার স্হানীয় প্রশাসন। কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে উস্তির হাটে র আবর্জনা ও খাল পাড়ে অবস্থিত কিছু মুরগির মাংস দোকানের মলমূত্র এবং আবর্জনা ফেলে দিয়ে যাচ্ছে খাল পাড়ে। সেই সঙ্গে চা ও সবজির আবর্জনা পরিষ্কার না করে ফেলতে থাকছে এই বুড়িগঙ্গার খালে। এর ফলে পরিবেশ নস্ট হয়ে যাচ্ছে এবং জল দুষিত হয়ে যাচ্ছে। এই খালের উপর নির্ভর করে বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহ। এবং এই খালের জলে চলে সেচ। কৃষি নির্ভর স্হানীয় মানুষের অভিযোগ এই ভাবে যদি ঐতিহাসিক বুড়ির খাল বুজতে থাকে তাহলে কৃষি র সাথে যুক্ত মগরাহাট পশ্চিমের কয়েক লক্ষ কৃষিজীবী মানুষের পেঠে মারা পড়বে। এবং পরিবেশ দুষনের প্রভাব ফেলবে কয়েক লক্ষ মানুষের উপর। সেই সঙ্গে সপ্তাহে দুই বার উস্তির হাটে বাজারে আসা মানুষের জন্য ঝুঁকি হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয় এই খালের কাছে অবস্থিত ঐতিহাসিক উস্তির কে সি পি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উস্তির ব্লক উন্নত বোর্ড, এবং কৃষি ও প্রাণী সম্পদ বিভাগ এবং উস্তি থানা এবং পশ্চিম বাংলা সরকারের বিভিন্ন দফতর অবস্থিত এই খালের পাশে। এই খালের সাথে যুক্ত করা হয়েছে ভাগীরথী নদীর । তবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের ব্লক উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়্যারম্যান শ্রী সব্যসাচী গায়েন বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ব্যাবস্থা নেবার জন্য প্রাশাসনিক মহলে হস্তক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মগরাহাট পশ্চিমের ব্লক যুব তৃনমূল দলের সভাপতি ইমরান হাসান মোল্লা বলেন যে যারা উস্তির হাটে বুড়ির খাল বুজতে চাইছেন এবং পরিবেশ নস্ট করতে চাইছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। সেই সাথে এই ঘটনার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ হতে এমন কথা বলেন মগরাহাট পশ্চিমের ব্লক উন্নয়ন বোর্ড এর সড়ক পরিবহন ও পি ডব্ল ডি বিভাগের প্রধান ও তৃনমূল দলের মাইনরিটি র চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ মোল্লা ওরফে বাচ্চু মোল্লা। এই ঘটনার খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন উস্তি গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান আইনজীবী ও তৃনমূল দলের নেতা মিকাইল মোল্লা।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

দুরগোনন্দ ও আবর্জনায় বুজে যেতে চলেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ঐতিহাসিক বুড়ির খাল, প্রশাসন নির্বিকার

পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:০০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কে  মনোয়ার ইমাম

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত মগরাহাট পশ্চিমের উস্হি হতে কলকাতা পযন্ত যাতায়াতের একসময়ের ঐতিহাসিক বুড়ির খাল বুজতে চলেছে। এই খাল দিয়ে একসময় নৌকা ও বোর্ড করে বহু দূরদূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ব্রিটিশ আমালের উস্হি র হাটে বাজারে ক্রয়বিক্রয় করতে আসতেন। এই খাল ছিল গ্রামবাসীদের একমাত্র পথ। ডায়মন্ডহারবার মহাকুমার অন্তর্ভুক্ত শিঙ বেড়ে লক্ষীপুর এবং লক্ষীকান্তপুর এবং মগরাহাট পূর্বে র মানুষের ব্যাবসার রাস্তা ছিল এই খালপথ। এমনকি মগরাহাট পশ্চিমের রাজারহাট ও বিষ্ণুপুর থেকে চাল ও ডাল এবং ধান শাক সবজি এই খাল পথে আসত। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ ভাগীরথীর সাথে যুক্ত এই ঐতিহাসিক খাল আজ বুজতে চলেছে চোখের সামনে। নির্বিকার স্হানীয় প্রশাসন। কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে উস্তির হাটে র আবর্জনা ও খাল পাড়ে অবস্থিত কিছু মুরগির মাংস দোকানের মলমূত্র এবং আবর্জনা ফেলে দিয়ে যাচ্ছে খাল পাড়ে। সেই সঙ্গে চা ও সবজির আবর্জনা পরিষ্কার না করে ফেলতে থাকছে এই বুড়িগঙ্গার খালে। এর ফলে পরিবেশ নস্ট হয়ে যাচ্ছে এবং জল দুষিত হয়ে যাচ্ছে। এই খালের উপর নির্ভর করে বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহ। এবং এই খালের জলে চলে সেচ। কৃষি নির্ভর স্হানীয় মানুষের অভিযোগ এই ভাবে যদি ঐতিহাসিক বুড়ির খাল বুজতে থাকে তাহলে কৃষি র সাথে যুক্ত মগরাহাট পশ্চিমের কয়েক লক্ষ কৃষিজীবী মানুষের পেঠে মারা পড়বে। এবং পরিবেশ দুষনের প্রভাব ফেলবে কয়েক লক্ষ মানুষের উপর। সেই সঙ্গে সপ্তাহে দুই বার উস্তির হাটে বাজারে আসা মানুষের জন্য ঝুঁকি হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয় এই খালের কাছে অবস্থিত ঐতিহাসিক উস্তির কে সি পি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উস্তির ব্লক উন্নত বোর্ড, এবং কৃষি ও প্রাণী সম্পদ বিভাগ এবং উস্তি থানা এবং পশ্চিম বাংলা সরকারের বিভিন্ন দফতর অবস্থিত এই খালের পাশে। এই খালের সাথে যুক্ত করা হয়েছে ভাগীরথী নদীর । তবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের ব্লক উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়্যারম্যান শ্রী সব্যসাচী গায়েন বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ব্যাবস্থা নেবার জন্য প্রাশাসনিক মহলে হস্তক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মগরাহাট পশ্চিমের ব্লক যুব তৃনমূল দলের সভাপতি ইমরান হাসান মোল্লা বলেন যে যারা উস্তির হাটে বুড়ির খাল বুজতে চাইছেন এবং পরিবেশ নস্ট করতে চাইছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। সেই সাথে এই ঘটনার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ হতে এমন কথা বলেন মগরাহাট পশ্চিমের ব্লক উন্নয়ন বোর্ড এর সড়ক পরিবহন ও পি ডব্ল ডি বিভাগের প্রধান ও তৃনমূল দলের মাইনরিটি র চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ মোল্লা ওরফে বাচ্চু মোল্লা। এই ঘটনার খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন উস্তি গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান আইনজীবী ও তৃনমূল দলের নেতা মিকাইল মোল্লা।