ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত 

বিট কর্মকর্তাকে টাকা দিলে গড়ে উঠে অবৈধ স্হাপনা, বৈধতা মিলে পাহাড় কাটার

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৪:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৯১ জন পড়েছেন ।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের পালংখালী মোছারখোলা বনবিটের আওতাধীন বনভূমিতে অবৈধ স্হাপনা, বনভূমি দখল করে বিক্রি, পাহাড় কেটে মাটি পাচারের বৈধতা দেন বিট কর্মকর্তা বেলাল হোসেন।এসব অপরাধ করতে বিট কর্মকর্তার চাহিদামত টাকা দিলে বৈধতা দিয়ে থাকে।টাকার বিনিময়ে সরকারি বনাঞ্চলে অবৈধ স্থাপনা নির্মান সহ নানান অপরাধে সহযোগিতা করলেও উর্ধবতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।

অনুসন্ধানে উঠে আসে,মোছারখোলা বনবিটের চিহ্নিত ভুমিদস্যু, গাছ খেকো,বনভূমি ও দখলকারীদের সাথে বিট কর্মকর্তা বেলাল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের সাথে আতাঁত করে সরকারি সম্পদ ধ্বংস করে নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।মোছারখোলা বিটের জামবনিয়া,মোছারখোলা,ছোয়ানখালী সহ বিভিন্ন স্হানে বনভূমিতে স্থাপনা নির্মান,পাহাড় কেটে মাটি পাচারে সহযোগিতা করে সরকারি বনভুমিকে বিরানভুমিতে পরিনত করে আসছে।

অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে,সামাজিক বনায়ন ও সুফল প্রকল্পের বাগানে চারা রোপন করতে পাশ্ববর্তী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শ্রমিক এনে বাগানের কাজ করা হয়।বাগানের জঙ্গল কাটা ও পরিচর্যা এই রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে করানো হয়।বাগানে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর ফলে স্হানীয় লোকজন বঞ্চিত হচ্ছে বলে দাবি করেন সচেতন মহল।

সরজমিনে গিয়ে বনভূমি দখল করা বাড়ি নির্মাণকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,আমরা বিট অফিসারকে টাকা দিয়ে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করেছি। এখানে আমাদেরকে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। যেহেতু বন বিভাগের সাথে আমাদের ঠিকঠাক আছে।বনবিভাগকে টাকা দিলে আর কোন সমস্যা হয়না।অন্যদিকে পাহাড় খেকোরাও একই কথা জানান,বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আমরা মাটি পাচার করছি।তাকে ম্যানেজ না করলে তো এভাবে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করতে পারতাম না।

সরেজমিনে গিয়ে আরও জানা যায়, মোছারখোলা বিটের আওতাধীন হাতির অভয়ারণ্যে বিশাল আকারে বনভূমি বিভিন্ন লোকজন দখল করে রেখে মাছ চাষ,নিজস্ব বাগান সহ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খন্ড খন্ড করে বনভূমি বিক্রি করছে।এসব করার জন্য তাদের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বিট কর্মকর্তা বেলাল।

এবিষয়ে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাজী মো:শফিউল আলম বলেন,আমরা তদন্ত করে খুব শীগ্রই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ

বিট কর্মকর্তাকে টাকা দিলে গড়ে উঠে অবৈধ স্হাপনা, বৈধতা মিলে পাহাড় কাটার

পোস্ট করা হয়েছে : ০৪:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের পালংখালী মোছারখোলা বনবিটের আওতাধীন বনভূমিতে অবৈধ স্হাপনা, বনভূমি দখল করে বিক্রি, পাহাড় কেটে মাটি পাচারের বৈধতা দেন বিট কর্মকর্তা বেলাল হোসেন।এসব অপরাধ করতে বিট কর্মকর্তার চাহিদামত টাকা দিলে বৈধতা দিয়ে থাকে।টাকার বিনিময়ে সরকারি বনাঞ্চলে অবৈধ স্থাপনা নির্মান সহ নানান অপরাধে সহযোগিতা করলেও উর্ধবতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।

অনুসন্ধানে উঠে আসে,মোছারখোলা বনবিটের চিহ্নিত ভুমিদস্যু, গাছ খেকো,বনভূমি ও দখলকারীদের সাথে বিট কর্মকর্তা বেলাল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের সাথে আতাঁত করে সরকারি সম্পদ ধ্বংস করে নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।মোছারখোলা বিটের জামবনিয়া,মোছারখোলা,ছোয়ানখালী সহ বিভিন্ন স্হানে বনভূমিতে স্থাপনা নির্মান,পাহাড় কেটে মাটি পাচারে সহযোগিতা করে সরকারি বনভুমিকে বিরানভুমিতে পরিনত করে আসছে।

অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে,সামাজিক বনায়ন ও সুফল প্রকল্পের বাগানে চারা রোপন করতে পাশ্ববর্তী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শ্রমিক এনে বাগানের কাজ করা হয়।বাগানের জঙ্গল কাটা ও পরিচর্যা এই রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে করানো হয়।বাগানে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর ফলে স্হানীয় লোকজন বঞ্চিত হচ্ছে বলে দাবি করেন সচেতন মহল।

সরজমিনে গিয়ে বনভূমি দখল করা বাড়ি নির্মাণকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,আমরা বিট অফিসারকে টাকা দিয়ে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করেছি। এখানে আমাদেরকে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। যেহেতু বন বিভাগের সাথে আমাদের ঠিকঠাক আছে।বনবিভাগকে টাকা দিলে আর কোন সমস্যা হয়না।অন্যদিকে পাহাড় খেকোরাও একই কথা জানান,বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আমরা মাটি পাচার করছি।তাকে ম্যানেজ না করলে তো এভাবে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করতে পারতাম না।

সরেজমিনে গিয়ে আরও জানা যায়, মোছারখোলা বিটের আওতাধীন হাতির অভয়ারণ্যে বিশাল আকারে বনভূমি বিভিন্ন লোকজন দখল করে রেখে মাছ চাষ,নিজস্ব বাগান সহ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খন্ড খন্ড করে বনভূমি বিক্রি করছে।এসব করার জন্য তাদের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বিট কর্মকর্তা বেলাল।

এবিষয়ে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাজী মো:শফিউল আলম বলেন,আমরা তদন্ত করে খুব শীগ্রই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।