ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়েকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে কারাগারে দৌলত হোসেন

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • ১০৩ জন পড়েছেন ।

এম রাসেল সরকার:

সাত বছরের কন্যাশিশু আদিবার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। তার প্লাটিলেট কমে গেছে। মেয়ের এমন অবস্থায় বাবা দৌলত হোসেন ও মা সাথী আকতার পাগলপ্রায়। তাই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান তারা। কিন্তু মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে এখন মুগদা থানাহাজতে দৌলত হোসেন। স্বামীকে ছাড়াতে শিশুটির মা থানায় ধরনা দিচ্ছেন।

শিশু আদিবার বাবা-মা অভিযোগ করেন, উত্তর মানিকনগর পুকুরপাড় এলাকার বাসা থেকে বুধবার সকাল ৬টায় মেয়েকে চিকিৎসা করাতে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তারা।হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. বনি আমিন কথা না বলে হাতের ইশারায় অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে দৌলত হোসেনকে চলে যেতে বলেন। তখন শিশু আদিবা অসুস্থতায় কাতরাচ্ছিল।

হাতের ইশারায় কী বলেছেন জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক উত্তেজিত হয়ে বলেন ‘তোকে না বলছি হাসপাতালে সিট নেই চলে যেতে’। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির মধ্যে দৌলত হোসেনকে চড় মারেন ওই চিকিৎসক। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে এক ওয়ার্ডবয় এসে দৌলত হোসেনকে জাপটে ধরেন আর ওই চিকিৎসক মারতে থাকেন। এ সময় স্ত্রী সাথী দৌলতকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করেন ওই চিকিৎসক ও ওয়ার্ডবয়। পরে দৌলত হোসেনকে মুগদা থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সাথী আকতার কান্নাকাটি করে বলেন, ‘অসুস্থ মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে এখন আমার স্বামী জেলে। আমার মেয়েকে চিকিৎসা না নিয়ে বাসায় রেখে স্বামীকে ছাড়াতে আসছি। বুকের দুধ খাওয়া দুই বছরের আরেক শিশুকে ঘরে রেখে এসেছি। এখন আমি মেয়েকে কোথায় চিকিৎসা করাতে যাব, কী করব?’

মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ বলেন, মুগদা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. বনি আমিনকে গালাগাল, মারধর ও দরজা ভাঙার অভিযোগে দৌলতকে আসামি করে তিনি বাদী হয়ে মুগদা থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দৌলতকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে মুগদা হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. নিয়াতুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে এসএমএস পাঠানো হলে ফিরতি এসএমএসে পরিচালক জানান, তিনি ডিজি অফিসের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কথা বলছেন। অনেক্ষণ অপেক্ষা করেও রাত ১০টায় এই লেখা পর্যন্ত পরিচালকের আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়েকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে কারাগারে দৌলত হোসেন

পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

এম রাসেল সরকার:

সাত বছরের কন্যাশিশু আদিবার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। তার প্লাটিলেট কমে গেছে। মেয়ের এমন অবস্থায় বাবা দৌলত হোসেন ও মা সাথী আকতার পাগলপ্রায়। তাই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান তারা। কিন্তু মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে এখন মুগদা থানাহাজতে দৌলত হোসেন। স্বামীকে ছাড়াতে শিশুটির মা থানায় ধরনা দিচ্ছেন।

শিশু আদিবার বাবা-মা অভিযোগ করেন, উত্তর মানিকনগর পুকুরপাড় এলাকার বাসা থেকে বুধবার সকাল ৬টায় মেয়েকে চিকিৎসা করাতে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তারা।হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. বনি আমিন কথা না বলে হাতের ইশারায় অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে দৌলত হোসেনকে চলে যেতে বলেন। তখন শিশু আদিবা অসুস্থতায় কাতরাচ্ছিল।

হাতের ইশারায় কী বলেছেন জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক উত্তেজিত হয়ে বলেন ‘তোকে না বলছি হাসপাতালে সিট নেই চলে যেতে’। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির মধ্যে দৌলত হোসেনকে চড় মারেন ওই চিকিৎসক। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে এক ওয়ার্ডবয় এসে দৌলত হোসেনকে জাপটে ধরেন আর ওই চিকিৎসক মারতে থাকেন। এ সময় স্ত্রী সাথী দৌলতকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করেন ওই চিকিৎসক ও ওয়ার্ডবয়। পরে দৌলত হোসেনকে মুগদা থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সাথী আকতার কান্নাকাটি করে বলেন, ‘অসুস্থ মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে এখন আমার স্বামী জেলে। আমার মেয়েকে চিকিৎসা না নিয়ে বাসায় রেখে স্বামীকে ছাড়াতে আসছি। বুকের দুধ খাওয়া দুই বছরের আরেক শিশুকে ঘরে রেখে এসেছি। এখন আমি মেয়েকে কোথায় চিকিৎসা করাতে যাব, কী করব?’

মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ বলেন, মুগদা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. বনি আমিনকে গালাগাল, মারধর ও দরজা ভাঙার অভিযোগে দৌলতকে আসামি করে তিনি বাদী হয়ে মুগদা থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দৌলতকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে মুগদা হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. নিয়াতুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে এসএমএস পাঠানো হলে ফিরতি এসএমএসে পরিচালক জানান, তিনি ডিজি অফিসের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কথা বলছেন। অনেক্ষণ অপেক্ষা করেও রাত ১০টায় এই লেখা পর্যন্ত পরিচালকের আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।