ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়া এই ঘুগনি বিক্রেতাকে নিয়ে পি.এইচ.ডি করছেন ৫জন

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ১২:০৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • ১১০ জন পড়েছেন ।

আব্দুর রহিম, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ছোটবেলায় অকালে বাবাকে হারিয়ে ছেদ পড়েছিলো শিক্ষায়, যে স্কুলে পড়তেন সেখানেই করতেন রান্নার কাজ, পরবর্তী কালে খোলেন ঘুগনির দোকান; কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে তার পরিচয়, তিনি পদ্মশ্রী প্রাপক জনপ্রিয় কবি। হলধর নাগের (haladhar nag) জীবন কাহিনি আপনাকে অনুপ্রাণিত করবেই।

পড়নে সাদা ধুতি ও কুর্তা। পিঠ পর্যন্ত লম্বা তেলজবজবে চুল। পায়ে নেই জুতোও। এমন চেহারার ঘুগনি বিক্রেতা স্বাভাবিকভাবেই কারো নজর কাড়ে না৷ কিন্তু অনেকেই জানে না অত্যন্ত অনাড়ম্বর জীবন কাটানো এই মানুষটি একজন জনপ্রিয় কবি৷ তার ঝুলিতে রয়েছে পদ্মশ্রী সম্মানও।

হলধর নাগের গোটা জীবনটাই গড়িয়েছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। ১০ বছর বয়সে বাবা মারা যান, হলধর তখন তৃতীয় শ্রেনীতে অধ্যয়নরত। অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা শিকেয় ওঠে, মিষ্টির দোকানে বাসন ধোয়া থেকে রাস্তায় ঘুগনি বিক্রি জীবনে অনেক কাজই করতে হয়েছে হলধরকে। কিন্তু তার প্রতিভা কখনোই জীবনের কাছে হার মানে নি। যতবারই তিনি কলম ধরেছেন তার হাত থেকে ঝরে পড়েছে সাহিত্যের মণিমুক্তা।

ছোটবেলা থেকেই তিনি কোসলি ভাষায় ছোটগল্প লেখা শুরু করেন। কবিতা চর্চা শুরু করেন একটু বড় হয়ে। ১৯৯০ সালে প্রথম কবিতা ‘ধোদো বরগাছ’ অর্থাৎ বুড়ো বটগাছ স্থানীয় এক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়৷ তারপর তিনি আরো চারটি কবিতা পাঠান ঐ পত্রিকায়। সেগুলোও প্রকাশিত হয় একে একে।

এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি হলধরকে। একের পর এক লেখা প্রশংসা কুড়োয় সাধারণ মানুষ থেকে সাহিত্য সমালোচকদের। তাঁর সমস্ত কবিতা একত্রিত করে ‘হলধর গ্রন্থাবলী’ প্রকাশ করেছে সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়। চলছে এই বই এর দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতিও। এই মুহুর্তে তার লেখা নিয়ে গবেষণা করছেন ৫ জন।

২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেয় সাম্মানিক ডক্টরেট। তবু এখনো আগের মতই অনাড়ম্বর জীবন যাপনেই অভ্যস্ত ‘লোক কবি রত্ন’ হলধর নাগ।সূত্র :বাংলা হান্ট

 

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়া এই ঘুগনি বিক্রেতাকে নিয়ে পি.এইচ.ডি করছেন ৫জন

পোস্ট করা হয়েছে : ১২:০৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

আব্দুর রহিম, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ছোটবেলায় অকালে বাবাকে হারিয়ে ছেদ পড়েছিলো শিক্ষায়, যে স্কুলে পড়তেন সেখানেই করতেন রান্নার কাজ, পরবর্তী কালে খোলেন ঘুগনির দোকান; কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে তার পরিচয়, তিনি পদ্মশ্রী প্রাপক জনপ্রিয় কবি। হলধর নাগের (haladhar nag) জীবন কাহিনি আপনাকে অনুপ্রাণিত করবেই।

পড়নে সাদা ধুতি ও কুর্তা। পিঠ পর্যন্ত লম্বা তেলজবজবে চুল। পায়ে নেই জুতোও। এমন চেহারার ঘুগনি বিক্রেতা স্বাভাবিকভাবেই কারো নজর কাড়ে না৷ কিন্তু অনেকেই জানে না অত্যন্ত অনাড়ম্বর জীবন কাটানো এই মানুষটি একজন জনপ্রিয় কবি৷ তার ঝুলিতে রয়েছে পদ্মশ্রী সম্মানও।

হলধর নাগের গোটা জীবনটাই গড়িয়েছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। ১০ বছর বয়সে বাবা মারা যান, হলধর তখন তৃতীয় শ্রেনীতে অধ্যয়নরত। অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা শিকেয় ওঠে, মিষ্টির দোকানে বাসন ধোয়া থেকে রাস্তায় ঘুগনি বিক্রি জীবনে অনেক কাজই করতে হয়েছে হলধরকে। কিন্তু তার প্রতিভা কখনোই জীবনের কাছে হার মানে নি। যতবারই তিনি কলম ধরেছেন তার হাত থেকে ঝরে পড়েছে সাহিত্যের মণিমুক্তা।

ছোটবেলা থেকেই তিনি কোসলি ভাষায় ছোটগল্প লেখা শুরু করেন। কবিতা চর্চা শুরু করেন একটু বড় হয়ে। ১৯৯০ সালে প্রথম কবিতা ‘ধোদো বরগাছ’ অর্থাৎ বুড়ো বটগাছ স্থানীয় এক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়৷ তারপর তিনি আরো চারটি কবিতা পাঠান ঐ পত্রিকায়। সেগুলোও প্রকাশিত হয় একে একে।

এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি হলধরকে। একের পর এক লেখা প্রশংসা কুড়োয় সাধারণ মানুষ থেকে সাহিত্য সমালোচকদের। তাঁর সমস্ত কবিতা একত্রিত করে ‘হলধর গ্রন্থাবলী’ প্রকাশ করেছে সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়। চলছে এই বই এর দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতিও। এই মুহুর্তে তার লেখা নিয়ে গবেষণা করছেন ৫ জন।

২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেয় সাম্মানিক ডক্টরেট। তবু এখনো আগের মতই অনাড়ম্বর জীবন যাপনেই অভ্যস্ত ‘লোক কবি রত্ন’ হলধর নাগ।সূত্র :বাংলা হান্ট