আব্দুর রহিম, নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলার প্রায় ২২ লাখ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি সম্পদ, মধু আহরণ, আমদানি-রপ্তানিতে (ভোমরা স্থলবন্দর), ব্যবসা-বাণিজ্যে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে সড়ক পথটি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমান সরকার বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরসহ সাতক্ষীরার উন্নয়নের কথা চিন্তা করে যশোরের শার্শার নাভারণ থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর-মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত ২০২৪ সালের মধ্যে-রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে।
১ হাজার ৬৬২কোটি টাকা প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। ফলে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্পে সাথে সৃষ্টি হবে নব দ্বিগন্তের। ভোমরা ও বেনাপোল শুল্কস্টেশন দিয়ে বাড়বে বাণিজ্য। উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্রের কথা ভেবেই সুন্দরবনের ১০কিলোমিটার দূরত্বের আগেই ট্রেন স্টেশন শেষ হবে। নাভারণ থেকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত থাকবে ৮টি স্টেশন। এগুলো হলো, নাভারণ, বাগআচড়া, কলারোয়া, সাতক্ষীরা, পারুলিয়া, কালীগঞ্জ, শ্যামনগর ও মুন্সীগঞ্জ। একই সাথে রেল পথের সেতু নির্মিত হবে বাঁকাল, লাবণ্যবতী, সাপমারা খাল ও কাকশিয়ালী নদীর ওপর।
ফলে বাঁচবে সময়ও খরচ-সহজ হবে যোগাযোগ-সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের, কমবে বেকারত্ব-খুশি হবে যাত্রীরা। সরকারের উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সর্বসাধারণ। স্থানীয় নারী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষেরা জানান, নতুন রেললাইন ও ট্রেন চললে স্টেশনগুলোতে বসবে দোকান। বাড়বে কর্মাসংস্থান। ঘুচবে বেকারত্ব। সৃষ্টি হবে নতুনত্ব। এমনটি আশায় বুক বেঁধে আছেন সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার নাগরিকেরা।
রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজামান সহিদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। ডোনার খোঁজা হচ্ছে। অচিরেই কাজ শুরুর আশা রেল সংশ্লিষ্টদের।
নতুন রেলপথ হলে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এলাকাগুলো হবে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী নতুন গতি পাবে যশোর সাতক্ষীরা। বিকাশ ঘটবে পর্যাটন শিল্পের-এমনটি আশা এলাকাবাসির।