মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় মধ্যযুগীয় কায়দায় এক যুবককে পিটিয়েছে রেলের দুই কর্মচারী। পেটানোর পর তাকে উলঙ্গ করে গাছের সাথে বেধে রাখে তারা। শনিবার দুপুরে বগুড়া রেল স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷
ওই যুবকের নাম সাহিদুল ইসলাম। তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুরের নারিকেল বাড়ী এলাকার আবু বকর সিদ্দিকীর ছেলে।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল জোহা খানকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আটক জোহা বগুড়া ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী(কার্য) অফিসের রেস্ট হাউজ বেয়ারার। এ ঘটনায় জোহার সহযোগী ফিটার হেলপার আবিদ হাসান পিন্টু পলাতক রয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম।
নির্যাতনের শিকার সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কাজের জন্য বগুড়া রেল স্টেশন এলাকাতেই থাকতাম। একদিন জোহা আমাকে রেল স্টেশন একটা ব্যবসার কাজে যুক্ত হওয়ার কথা বলে৷ ঈদের পর তার কথা মত আমি রেল স্টেশনে শরবতের দোকান দিয়ে কাজ শুরু করি। এতে সকল কিছু জোহা আমাকে কিনে দেয়। কিন্তু ব্যবসা সেভাবে চলতো না এবং লোকসান হতো। পরে আমি একটি চায়ের দোকানে কাজ পাওয়ার কারণে শরবতের দোকানে আর কাজ করবো বলে জানাই এবং সকল সরঞ্জামাদি এবং পাওনা ৬০০ টাকা বুঝিয়ে দিই। পরে শনিবার দুপুরে রেল স্টেশন এলাকায় একটি পুকুরে গোসল করতে গেলে জোহা এবং পিন্টু আমাকে একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের পাশে ধরে নিয়ে যায় এবং ব্যবসায় লোকসানের কথা বলে দশ হাজার টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জোহা এবং পিন্টু দুজন মিলে বেধরক মারধর করে এবং পরে রশি দিয়ে গাছের সাথে উলঙ্গ করে বেধে রাখে।’
রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জোহাকে বিকালে আটক করা হয়েছে। তবে অপর সহযোগী পিন্টু পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হবে।’
রেলের লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ‘এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন মেসেজ পাইনি। মেসেজ পেলে প্রথমেই তাদের বরখাস্ত করা হবে৷ পরে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।