১৬ই জুন ২০২৩ শুক্রবার সুন্দর একটি সন্ধ্যা কাটলো। খুলনা অার্ট একাডেমির শিশু শিল্পীদের ক্লাস ৬টার সময় শেষ হয় ।
খুলনা আর্ট একাডেমির আঙিনায় প্রবেশ করেন বরিশাল ঝালকাঠি থেকে আগত বাবু স্বপন কুমার বড়াল( বিএসসি, বিএড,এমএ ) । সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ও মাস্টার ট্রেইনার ,শিল্প ও সংস্কৃতি।তারাবুনিয়া রামবাদক মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভারতের উত্তরদিনাজপুর, শিলিগুড়ি থেকে আগত ডা: সঞ্জয় বাপ্পী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল ঝালকাঠি থেকে আগত লাকী বেপারী ( বি এ সম্মান, এমএ) এবং মাগুরা গোবিন্দপুর থেকে শুক্লা রায় (মাস্টার্স )। অতিথিদের খুলনা আর্ট একাডেমির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন– অতিথিদের দেবার মত কিছুই নেই। তখন অতিথিদের প্রতিষ্ঠান ঘুরিয়ে দেখালেন এবং হারিয়ে যাওয়া সংরক্ষিত লোকোসংস্কৃতি বিষয়গুলি ঢেঁকি,পোলো কাঠের দেখলা, হারিকেন,মাথাল,বইঠা,পিতলের বাঁশি,পিতলের হুক্কা, নারিকেলের হুক্কা, দোতারা, একতারা,খঞ্জরী, রেডিও,বিনবাঁশী, বাবুই পাখির বাসা, এবং কাঠের ও মাটির বিভিন্ন রকম শিল্পকর্ম অতিথিদের মাঝে প্রদর্শন করেন। অতিথিরা দেখে সবাই খুবই আনন্দিত হয়এবং সবাই তাদের মনের অনুভূতি জানায়। সবার অনুভূতি ভিডিও ধারণ করে Khulna Art Academy এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেন।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সহকারি পরিচালক শিলা বিশ্বাস, ছেলে সৌহার্দ্য বিশ্বাস এবং মেয়ে সম্প্রীতি বিশ্বাস। সবার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় এবং প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য অনেক কিছুই ঘুরে ঘুরে দেখে তারা আনন্দ উপভোগ করেন।অতিথিরা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস তার মনের কথা প্রকাশ করেন।শিশুদের ভালোবাসি তাদের সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করার স্বপ্ন দেখি। আমার নিজের প্রচেষ্টায় যতদূর সম্ভব তেমন করে পরিবেশ তৈরি করেছি। আমি ২০০৩ থেকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করি।প্রথমে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল নিশাত আর্ট কোচিং।খুলনার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয় হৃদয়ে। তাই নিশাত আর্ট কোচিং এর নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালে নতুন নাম করন করা হয় খুলনা আর্ট একাডেমি। ২০১০ সাল থেকে চারুকলা ভর্তি কোচিং পরিচালনা শুরু করি। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত এর সকল চারুকলায় আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছেন। বর্তমানে ১৩তম ব্যাচ পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে জাতীয় পুরস্কার সহ একাধিক শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরি করছেন। আমরা গর্বিত আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে।আমি খুলনায় থাকি তাই খুলনার সকল সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার সকল অনুষ্ঠানের কার্যক্রম তুলে ধরেন। কোনভাবে আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া আমাদের সকল অনুষ্ঠানগুলো প্রকাশ করে দেন। তাই বলবো সাংবাদিক ভাইয়েরা মহান পেশায় নিয়োজিত থাকেন। এমন করে আমাদের কার্যক্রম গণমাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।আমরা সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা নিয়ে খুলনা আর্ট একাডেমি আরও সুনামের সহিত পরিচালনা করতে চাই।সর্বশেষ অতিথিদের হালকা আপায়ন করান এবং শিল্প সংস্কৃতি বিষয় আলোচনা শেষ করে অতিথিদের সকলকে ধন্যবাদ জানায় চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি