ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

হাতিরঝিলের আদলে হচ্ছে বগুড়ার ফতেহ আলী সেতু

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:২১:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • ৭৬ জন পড়েছেন ।

মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টর

বগুড়া শহরে করতোয়া নদীর ওপরে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে ফতেহ আলী সেতুর পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ২০ কোটি টাকা। পুনর্নির্মাণে কাজ করবে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ।
গত ২২ মে বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এ কাজের উদ্বোধন করেন। নতুনভাবে নির্মিত হওয়া ফতেহ আলী সেতুতে থাকবে দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক স্থাপত্যের ছোঁয়া।
৬০ বছর আগে ১৯৬২ সালে করতোয়া নদীর ওপর ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২১৩ ফুট দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেতুর কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেতুটি পুনর্নির্মাণ হলে জেলা সদরের সঙ্গে গাবতলী, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা এ চার উপজেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। দীর্ঘদিন সংস্কার অভাবে প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে সেতুটিতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। নতুন সেতু হওয়ার পর বগুড়া শহরে প্রবেশে দূরত্ব কমবে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার।
করতোয়ার ওপর ফতেহ আলী সেতু দিয়ে প্রতিদিন বগুড়ার তিন উপজেলার লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। ২০১৮ সালে সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। ২০২১ সালে এটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুর নকশা ও অর্থ বরাদ্দ দেয়। বর্তমান সেতুটির দৈর্ঘ্য ২১৩ ফুট, প্রস্থ ২০ ফুট। তবে নতুন দৃষ্টিনন্দন সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ২২৬ ফুট ও প্রস্থ হবে ৪০ ফুট।
মানুষের চলাচলে জন্য দুইপাশে ৮ ফুট করে ফুটপাত ও মাঝের ২৪ ফুট দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে। প্রাথমিকভাবে সেতু নির্মাণে ২২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। এরপর ব্যয় কমে ১৯ কোটি ৮৩ লাখে নেমেছে। এক বছরের মধ্যে সেতুটির পুনর্নির্মাণে কাজ শেষ হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্ব বগুড়ার লাখো মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকরী হবে নতুন সেতুটি। গাবতলী, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার কৃষকরা ভোগান্তি ছাড়াই কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে পারবেন শহরের বাজারগুলোতে। এতে শহরমুখী সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন কৃষকরা। এছাড়া সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার যমুনা নদীর জেলেরা খুব সহজে ভারী যানবাহনে মাছ সরবরাহ করতে পারবেন।
বগুড়া শহরের ফতেহ আলী মাজার গেট থেকে চেলোপাড়া সিএনজি স্ট্যান্ড পর্যন্ত দিনব্যাপী যানজট লেগেই থাকে। এর কারণ ফতেহ আলী সেতুটি সরু। সেতুটি পুনর্নির্মাণ হলে সব রকমের যানবাহনের জটলা কমবে। পাশাপাশি যানবাহন চলাচলের জায়গা বৃদ্ধি পাবে।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ফতেহ আলী সেতু পুনর্নির্মাণে প্রায় একবছর সময় লাগবে। এসময়ে সাধারণ মানুষদের চলাচলে এরই মধ্যে বাঁশের সাঁকো নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বগুড়ার মানুষের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে ফতেহ আলী সেতুটি দৃষ্টিনন্দন করছেন। উন্নয়নের মহাসড়কে বগুড়াও পিছিয়ে নেই। এরই মধ্যে তিনি বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেললাইন নির্মাণ, ইপিজেড, দ্বিতীয় বিসিক শিল্পনগরী, শহীদ মিনার ও বগুড়া প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণে জন্য অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া বগুড়া পৌরসভার জন্য ১৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার কথাও তিনি বলেছেন।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ফতেহ আলী সেতু বগুড়ার মানুষের উন্নয়নের অন্যতম অংশ। সেতুটি হবে দৃষ্টিনন্দন। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি বিনোদনেরও জোগান দেবে এ সেতু। দ্রততম সময়ে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

হাতিরঝিলের আদলে হচ্ছে বগুড়ার ফতেহ আলী সেতু

পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:২১:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টর

বগুড়া শহরে করতোয়া নদীর ওপরে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে ফতেহ আলী সেতুর পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ২০ কোটি টাকা। পুনর্নির্মাণে কাজ করবে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ।
গত ২২ মে বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এ কাজের উদ্বোধন করেন। নতুনভাবে নির্মিত হওয়া ফতেহ আলী সেতুতে থাকবে দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক স্থাপত্যের ছোঁয়া।
৬০ বছর আগে ১৯৬২ সালে করতোয়া নদীর ওপর ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২১৩ ফুট দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেতুর কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেতুটি পুনর্নির্মাণ হলে জেলা সদরের সঙ্গে গাবতলী, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা এ চার উপজেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। দীর্ঘদিন সংস্কার অভাবে প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে সেতুটিতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। নতুন সেতু হওয়ার পর বগুড়া শহরে প্রবেশে দূরত্ব কমবে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার।
করতোয়ার ওপর ফতেহ আলী সেতু দিয়ে প্রতিদিন বগুড়ার তিন উপজেলার লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। ২০১৮ সালে সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। ২০২১ সালে এটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুর নকশা ও অর্থ বরাদ্দ দেয়। বর্তমান সেতুটির দৈর্ঘ্য ২১৩ ফুট, প্রস্থ ২০ ফুট। তবে নতুন দৃষ্টিনন্দন সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ২২৬ ফুট ও প্রস্থ হবে ৪০ ফুট।
মানুষের চলাচলে জন্য দুইপাশে ৮ ফুট করে ফুটপাত ও মাঝের ২৪ ফুট দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে। প্রাথমিকভাবে সেতু নির্মাণে ২২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। এরপর ব্যয় কমে ১৯ কোটি ৮৩ লাখে নেমেছে। এক বছরের মধ্যে সেতুটির পুনর্নির্মাণে কাজ শেষ হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্ব বগুড়ার লাখো মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকরী হবে নতুন সেতুটি। গাবতলী, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার কৃষকরা ভোগান্তি ছাড়াই কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে পারবেন শহরের বাজারগুলোতে। এতে শহরমুখী সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন কৃষকরা। এছাড়া সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার যমুনা নদীর জেলেরা খুব সহজে ভারী যানবাহনে মাছ সরবরাহ করতে পারবেন।
বগুড়া শহরের ফতেহ আলী মাজার গেট থেকে চেলোপাড়া সিএনজি স্ট্যান্ড পর্যন্ত দিনব্যাপী যানজট লেগেই থাকে। এর কারণ ফতেহ আলী সেতুটি সরু। সেতুটি পুনর্নির্মাণ হলে সব রকমের যানবাহনের জটলা কমবে। পাশাপাশি যানবাহন চলাচলের জায়গা বৃদ্ধি পাবে।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ফতেহ আলী সেতু পুনর্নির্মাণে প্রায় একবছর সময় লাগবে। এসময়ে সাধারণ মানুষদের চলাচলে এরই মধ্যে বাঁশের সাঁকো নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বগুড়ার মানুষের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে ফতেহ আলী সেতুটি দৃষ্টিনন্দন করছেন। উন্নয়নের মহাসড়কে বগুড়াও পিছিয়ে নেই। এরই মধ্যে তিনি বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেললাইন নির্মাণ, ইপিজেড, দ্বিতীয় বিসিক শিল্পনগরী, শহীদ মিনার ও বগুড়া প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণে জন্য অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া বগুড়া পৌরসভার জন্য ১৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার কথাও তিনি বলেছেন।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ফতেহ আলী সেতু বগুড়ার মানুষের উন্নয়নের অন্যতম অংশ। সেতুটি হবে দৃষ্টিনন্দন। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি বিনোদনেরও জোগান দেবে এ সেতু। দ্রততম সময়ে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে।