ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

কোটি টাকা নিয়ে সমিতির সভাপতি উধাও

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:১৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • ৭৭ জন পড়েছেন ।

মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টর

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন বন্ধন বাণিজ্যিক সমিতির সভাপতি সহাদেব কর্মকার (৪২)। তিনি ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার জয়নগর শিমুলতলা মোড়ের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে দুই ও এক বছর মেয়াদী এ সমিতি গঠন করেন।

স্থানীয়রা জানান, সহাদেব কর্মকার উপজেলার মানিকনগর গ্রামের গুরুপদ কর্মকারের ছেলে ও শিমুলতলা মোড়ে গ্রামীণ জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী। সোনার ব্যবসার পাশাপাশি তিনি বন্ধন বাণিজ্যিক নামে সঞ্চয় সমিতি খুলেন। ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই শতাধিক সদস্য সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। এ সমিতিতে দুই বছরে এক কোটি টাকার বেশি সঞ্চয় হয়।

সমিতির সদস্য চয়ন খান বলেন, সমিতির সদস্যদের অনেকের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় লভ্যাংশসহ সঞ্চয়ের টাকার জন্য সহাদেবকে বলেছেন। তিনি ফেরত দেওয়ার নামে প্রায় এক মাস ধরে সময়ক্ষেপণ করছিলেন। ১৪ মে কিছু সদস্যের সঞ্চয়ের টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইল ফোন বন্ধ। বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন বলছে, তিনি কোথায় গেছেন কেউ জানে না।
সমিতির আরেক সদস্য মিন্টু সরকার বলেন, ৮২ হাজার টাকা সঞ্চয় রেখেছি। মেয়াদ পূর্ণ হলেও সঞ্চয় ও লভ্যাংশ টাকা একাধিকবার ফেরত চেয়েও পাইনি।
অপর সদস্য গ্রাম চিকিৎসক কমল সরকার বলেন, আমার দেড় লাখ টাকা জমা আছে। সব গ্রাহকের টাকা মিলে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

অভিযুক্ত সহাদেব কর্মকারের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোন বন্ধ। তবে সহাদেব কর্মকারের স্ত্রী মিতা রানী সরকার বলেন, সহাদেব বাড়িতে নেই। কোথায় গেছেন বলে যাননি।
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আসাদুল হক আশা বলেন, সমিতির টাকা আত্মসাৎ করে সহাদেবের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। টাকার পরিমাণ কতো তা সঠিক জানি না।
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সদস্যদের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবুও আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, বন্ধন বাণিজ্যিক সমিতি নামে কোনো সঞ্চয় সমিতির নিবন্ধন নেই। নিবন্ধন ছাড়াই অবৈধভাবে এ সমিতি গঠন করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

কোটি টাকা নিয়ে সমিতির সভাপতি উধাও

পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:১৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টর

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন বন্ধন বাণিজ্যিক সমিতির সভাপতি সহাদেব কর্মকার (৪২)। তিনি ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার জয়নগর শিমুলতলা মোড়ের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে দুই ও এক বছর মেয়াদী এ সমিতি গঠন করেন।

স্থানীয়রা জানান, সহাদেব কর্মকার উপজেলার মানিকনগর গ্রামের গুরুপদ কর্মকারের ছেলে ও শিমুলতলা মোড়ে গ্রামীণ জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী। সোনার ব্যবসার পাশাপাশি তিনি বন্ধন বাণিজ্যিক নামে সঞ্চয় সমিতি খুলেন। ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই শতাধিক সদস্য সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। এ সমিতিতে দুই বছরে এক কোটি টাকার বেশি সঞ্চয় হয়।

সমিতির সদস্য চয়ন খান বলেন, সমিতির সদস্যদের অনেকের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় লভ্যাংশসহ সঞ্চয়ের টাকার জন্য সহাদেবকে বলেছেন। তিনি ফেরত দেওয়ার নামে প্রায় এক মাস ধরে সময়ক্ষেপণ করছিলেন। ১৪ মে কিছু সদস্যের সঞ্চয়ের টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইল ফোন বন্ধ। বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন বলছে, তিনি কোথায় গেছেন কেউ জানে না।
সমিতির আরেক সদস্য মিন্টু সরকার বলেন, ৮২ হাজার টাকা সঞ্চয় রেখেছি। মেয়াদ পূর্ণ হলেও সঞ্চয় ও লভ্যাংশ টাকা একাধিকবার ফেরত চেয়েও পাইনি।
অপর সদস্য গ্রাম চিকিৎসক কমল সরকার বলেন, আমার দেড় লাখ টাকা জমা আছে। সব গ্রাহকের টাকা মিলে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

অভিযুক্ত সহাদেব কর্মকারের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোন বন্ধ। তবে সহাদেব কর্মকারের স্ত্রী মিতা রানী সরকার বলেন, সহাদেব বাড়িতে নেই। কোথায় গেছেন বলে যাননি।
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আসাদুল হক আশা বলেন, সমিতির টাকা আত্মসাৎ করে সহাদেবের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। টাকার পরিমাণ কতো তা সঠিক জানি না।
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সদস্যদের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবুও আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, বন্ধন বাণিজ্যিক সমিতি নামে কোনো সঞ্চয় সমিতির নিবন্ধন নেই। নিবন্ধন ছাড়াই অবৈধভাবে এ সমিতি গঠন করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।