ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির অফিসে দুই শিক্ষকের মদ পান, পাহারাদার চাকুরীচ্যুত

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৮:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • ৮৫ জন পড়েছেন ।

আমির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির অফিস ঘরে দুই প্রাইমারী শিক্ষক মদ পান করার অভিযোগ উঠেছে। মদ পানে সহযোগীতা করায় বাজারের পাহারাদার আকরম আলী (৬০)কে চাকুরী চ্যুত করা হয়েছে।

বণিক সমিতির সদস্য ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানাযায়, শনিবার রাত ৮টায় বাজার বণিক সমিতির অফিস ঘরে বসে শাহেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্চয় কুমার দে ও চিকসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোপেশ দাস মদ পান করে। এমন সময় বাজার বণিক সমিতির সহ সভাপতি আশ্বাব উদ্দিন মদ পান করতে দেখে অফিস ঘরে তালা দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার গগণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুই শিক্ষককে ছেড়ে দেয়া হয়। এবং এ কাজে সহযোগীতা করার কারনে বাজারের পাহারাদার আকরম আলীকে চাকুরী থেকে বিদায় করা হয়।

এ বিষয়ে তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সহ সভাপতি আশ্বাব উদ্দিন বলেন, সঞ্জয় মাস্টার ও গোপেশ মাস্টার প্রায়শই বণিক সমিতির অফিস ঘরে বসে মদ পান করার অভিযোগ এসেছে। কিন্তু হাতেনাতে ধরতে পারিনি। গতকাল শনিবার এশার নামাজ পরে আসার সময় তাদের মদ পান করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের মদ পান করা অবস্থায় তালাবদ্ধ করি। পরে এলাকার গণ্যমান্য লোকদের অনুরোধ ছেড়ে দেয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে শাহেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্চয় কুমার দে বলেন, আমারা বণিক সমিতির অফিসে গেলে পাহারাদার আকরম আলী আমাদের কাছে পঞ্চাশ টাকা চায়। আমি থাকে পঞ্চাশ টাকা দেই। সে পঞ্চাশ টাকা নিয়ে চলে যায়। তখন অফিস ঘরে আমি ও গোপেশ মাস্টার বসে গল্প করি। কিছু সময় পরেই কে যেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাদের ভিতরে রেখে তালা দেয়। মদ পানের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা মদ পান করিনি। আমাদের মানহানি উদ্দেশ্যে অপপ্রচার মাত্র।

তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের মদ পানের বিষয়টি খুবই দঃজনক। দুই জনেই শিক্ষক সম্মানী মানুষ, তাদের সম্মানের কথা ভেবে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথা রাখতে তাদের ছেড়ে দেই। তবে দুই মাস্টারের মদ পানে সহযোগীতা করার অভিযোগে বাজারের পাহারাদার আকরম আলীকে রাতেই বিদায় করে দেই।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির অফিসে দুই শিক্ষকের মদ পান, পাহারাদার চাকুরীচ্যুত

পোস্ট করা হয়েছে : ০৮:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

আমির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির অফিস ঘরে দুই প্রাইমারী শিক্ষক মদ পান করার অভিযোগ উঠেছে। মদ পানে সহযোগীতা করায় বাজারের পাহারাদার আকরম আলী (৬০)কে চাকুরী চ্যুত করা হয়েছে।

বণিক সমিতির সদস্য ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানাযায়, শনিবার রাত ৮টায় বাজার বণিক সমিতির অফিস ঘরে বসে শাহেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্চয় কুমার দে ও চিকসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোপেশ দাস মদ পান করে। এমন সময় বাজার বণিক সমিতির সহ সভাপতি আশ্বাব উদ্দিন মদ পান করতে দেখে অফিস ঘরে তালা দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার গগণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুই শিক্ষককে ছেড়ে দেয়া হয়। এবং এ কাজে সহযোগীতা করার কারনে বাজারের পাহারাদার আকরম আলীকে চাকুরী থেকে বিদায় করা হয়।

এ বিষয়ে তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সহ সভাপতি আশ্বাব উদ্দিন বলেন, সঞ্জয় মাস্টার ও গোপেশ মাস্টার প্রায়শই বণিক সমিতির অফিস ঘরে বসে মদ পান করার অভিযোগ এসেছে। কিন্তু হাতেনাতে ধরতে পারিনি। গতকাল শনিবার এশার নামাজ পরে আসার সময় তাদের মদ পান করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের মদ পান করা অবস্থায় তালাবদ্ধ করি। পরে এলাকার গণ্যমান্য লোকদের অনুরোধ ছেড়ে দেয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে শাহেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্চয় কুমার দে বলেন, আমারা বণিক সমিতির অফিসে গেলে পাহারাদার আকরম আলী আমাদের কাছে পঞ্চাশ টাকা চায়। আমি থাকে পঞ্চাশ টাকা দেই। সে পঞ্চাশ টাকা নিয়ে চলে যায়। তখন অফিস ঘরে আমি ও গোপেশ মাস্টার বসে গল্প করি। কিছু সময় পরেই কে যেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাদের ভিতরে রেখে তালা দেয়। মদ পানের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা মদ পান করিনি। আমাদের মানহানি উদ্দেশ্যে অপপ্রচার মাত্র।

তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের মদ পানের বিষয়টি খুবই দঃজনক। দুই জনেই শিক্ষক সম্মানী মানুষ, তাদের সম্মানের কথা ভেবে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথা রাখতে তাদের ছেড়ে দেই। তবে দুই মাস্টারের মদ পানে সহযোগীতা করার অভিযোগে বাজারের পাহারাদার আকরম আলীকে রাতেই বিদায় করে দেই।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।