ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

রওশন জামিল জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:২৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • ১৩৯ জন পড়েছেন ।

আব্দুর রহিম, নিজস্ব প্রতিনিধি:

চলচ্চিত্র ও টিভি অভিনেত্রী। ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে তিনি টিভি অভিনয় দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করলেও চলচ্চিত্রেই তাকে বেশি দেখা গেছে। তার দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিনয় জীবনে প্রায় ২৫০ এর অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া তিনি দেশের একজন নামকরা নৃত্যশিল্পী। নৃত্যকলায় তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করেন।

রওশন জামিল ১৯৩১ সালের ৮ মে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার রোকনপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার লক্ষীবাজারের সেন্ট ফ্রান্সিস মিশনারী স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর পড়াশুনা করেন ইডেন কলেজে। শৈশব থেকেই তার নাচের প্রতি ঝোঁক ছিল। ম্যাট্রিক পাশ করার পর ভর্তি হন ঢাকার ওয়ারী শিল্পকলা ভবনে ও নাচের তালিম নেন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী গওহর জামিল এর কাছ থেকে।

রওশন জামিল বাংলাদেশ টেলিভিশনে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তার প্রথম অভিনীত নাটক রক্ত দিয়ে লেখা ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঢাকায় থাকি ও সকাল সন্ধ্যা ধারাবাহিক নাটক তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলে। তিনি ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন আরব্য রূপকথা আলিবাবা চল্লিশ চোর ছায়াছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান পরিচালিত জীবন থেকে নেয়া চলচ্চিত্রে আপা চরিত্র তাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে আসে। তাছাড়া আমজাদ হোসেনের রচনা ও পরিচালনায় নয়নমনি, আবু ইসহাকের উপন্যাস অবলম্বনে শেখ নিয়ামত আলী ও মসিহউদ্দিন শাকের পরিচালিত সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে।

১৯৫৯ সালে নৃত্যশিল্পী গওহর জামিল ও তিনি দুজনে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন নৃত্য প্রশিক্ষন কেন্দ্র জাগো আর্ট সেন্টার। ১৯৮০ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর তিনিই এই সংগঠনের দেখাশুনা করতেন।

ঢাকার ওয়ারী শিল্পকলা ভবনে নাচ শেখার সময় পরিচয় হয় প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী গওহর জামিলের সাথে এবং ১৯৫২ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে।

চলচ্চিত্রের তালিকা

আলিবাবা চল্লিশ চোর (১৯৬৭)
গোরী
গীত কাঁহি সঙ্গীত কাঁহি (উর্দু)
মনের মত বউ
বউ শাশুড়ি
টাকা আনা পাই (১৯৭০)[৩]
জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০)
দর্পচূর্ণ (১৯৭০)
ওরা ১১ জন (১৯৭২)[৪]
আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩)
তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩)[৫]
সুজন সখী (১৯৭৫)
সূর্য গ্রহণ (১৯৭৬)
নয়নমনি (১৯৭৬)
জননী (১৯৭৭)
গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮)
বধূ বিদায় (১৯৭৮)
সূর্য সংগ্রাম (১৯৭৯)
সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯)
মাটির ঘর
জীবন মৃত্যু
নদের চাঁদ
মাটির কোলে
বাঁধনহারা (১৯৮১)
মহানগর (১৯৮১)
দেবদাস (১৯৮২)
লাল কাজল (১৯৮২)
আশার আলো (১৯৮২)
পেনশন (১৯৮৪)
রামের সুমতি (১৯৮৫)
দহন (১৯৮৫)
মিস ললিতা (১৯৮৫)
বেদের মেয়ে জোসনা (১৯৮৯)
স্ত্রীর পাওনা (১৯৯১)
শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২)
অবুঝ সন্তান (১৯৯৩)
পোকা মাকড়ের ঘর বসতি (১৯৯৬)
চিত্রা নদীর পারে (১৯৯৯)
শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯)
লালসালু (২০০১)[৬]
একটি নদীর নাম (২০০২)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সম্পাদনা
আগামী
নাটক সম্পাদনা
রক্ত দিয়ে লেখা
ঢাকায় থাকি
সকাল সন্ধ্যা

পুরস্কার
একুশে পদক – ১৯৯৫ (নৃত্যে)
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – নয়নমনি (১৯৭৬)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯)

বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার
টেনাশিনাস পদক
সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড
তারকালোক পুরস্কার

রওশন জামিল ২০০২ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ঢাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (এফডিসি) প্রবেশদ্বারে ‘নয়ন সম্মুখে তুমি নাই’ শিরোনামের ফলকে প্রয়াত চলচ্চিত্রকারদের সাথে তার নাম খোদাই করা আছে।

রওশন জামিল। বাংলাদেশের শিল্প, সংস্কৃতি এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনে এই নামটি উচ্চারণই যথেষ্ট। যেমন নৃত্যে, নৃত্য শিক্ষকতায় তেমন চলচ্চিত্র অভিনয়ে, সব ক্ষেত্রেই বিরল প্রতিভায় ভাস্বর এই গুনি। বাংলাদেশ যখন মেয়েদের বাইরে বেরুনোতেই ছিলো নানান বিধিনিষেধ, সেই সময়ে রওশন জামিল, নিজেকে তৈরি করেন একজন নৃত্য শিল্পী হিসেবে। কালজয়ী বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তাঁর অনবদ্য অভিনয় বিশ্ব চলচ্চিত্রেও তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে অনাদিকাল। “জীবন থেকে নেয়া”, “তিতাস একটি নদীর নাম”, “সূর্য দীঘল বাড়ি”, এমন অনেক চলচ্চিত্রই রয়েছে, যাতে তাঁর চরিত্রটিতে রওশন জামিল ছাড়া অন্য কোন শিল্পীকে আজ অব্দি কল্পনাও করা যায়না। ২০০২ সালে মে মাসের ১৪ তারিখে উনি প্রয়াত হন। রওশন জামিলের জন্ম ১৯৩১ সালের ৮ মে, ঢাকার রোকনপুরে। নৃত্যশিল্পী, শিক্ষক, অভিনেত্রী রওশন জামিলের স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ছবিঃ (ডানে উপর থেকে নিচে) ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে রওশন জামিল ও রোজী, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ ছবির পোস্টার, ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবির পোস্টার.

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

রওশন জামিল জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা

পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:২৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

আব্দুর রহিম, নিজস্ব প্রতিনিধি:

চলচ্চিত্র ও টিভি অভিনেত্রী। ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে তিনি টিভি অভিনয় দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করলেও চলচ্চিত্রেই তাকে বেশি দেখা গেছে। তার দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিনয় জীবনে প্রায় ২৫০ এর অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া তিনি দেশের একজন নামকরা নৃত্যশিল্পী। নৃত্যকলায় তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করেন।

রওশন জামিল ১৯৩১ সালের ৮ মে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার রোকনপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার লক্ষীবাজারের সেন্ট ফ্রান্সিস মিশনারী স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর পড়াশুনা করেন ইডেন কলেজে। শৈশব থেকেই তার নাচের প্রতি ঝোঁক ছিল। ম্যাট্রিক পাশ করার পর ভর্তি হন ঢাকার ওয়ারী শিল্পকলা ভবনে ও নাচের তালিম নেন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী গওহর জামিল এর কাছ থেকে।

রওশন জামিল বাংলাদেশ টেলিভিশনে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তার প্রথম অভিনীত নাটক রক্ত দিয়ে লেখা ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঢাকায় থাকি ও সকাল সন্ধ্যা ধারাবাহিক নাটক তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলে। তিনি ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন আরব্য রূপকথা আলিবাবা চল্লিশ চোর ছায়াছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান পরিচালিত জীবন থেকে নেয়া চলচ্চিত্রে আপা চরিত্র তাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে আসে। তাছাড়া আমজাদ হোসেনের রচনা ও পরিচালনায় নয়নমনি, আবু ইসহাকের উপন্যাস অবলম্বনে শেখ নিয়ামত আলী ও মসিহউদ্দিন শাকের পরিচালিত সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে।

১৯৫৯ সালে নৃত্যশিল্পী গওহর জামিল ও তিনি দুজনে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন নৃত্য প্রশিক্ষন কেন্দ্র জাগো আর্ট সেন্টার। ১৯৮০ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর তিনিই এই সংগঠনের দেখাশুনা করতেন।

ঢাকার ওয়ারী শিল্পকলা ভবনে নাচ শেখার সময় পরিচয় হয় প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী গওহর জামিলের সাথে এবং ১৯৫২ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে।

চলচ্চিত্রের তালিকা

আলিবাবা চল্লিশ চোর (১৯৬৭)
গোরী
গীত কাঁহি সঙ্গীত কাঁহি (উর্দু)
মনের মত বউ
বউ শাশুড়ি
টাকা আনা পাই (১৯৭০)[৩]
জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০)
দর্পচূর্ণ (১৯৭০)
ওরা ১১ জন (১৯৭২)[৪]
আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩)
তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩)[৫]
সুজন সখী (১৯৭৫)
সূর্য গ্রহণ (১৯৭৬)
নয়নমনি (১৯৭৬)
জননী (১৯৭৭)
গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮)
বধূ বিদায় (১৯৭৮)
সূর্য সংগ্রাম (১৯৭৯)
সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯)
মাটির ঘর
জীবন মৃত্যু
নদের চাঁদ
মাটির কোলে
বাঁধনহারা (১৯৮১)
মহানগর (১৯৮১)
দেবদাস (১৯৮২)
লাল কাজল (১৯৮২)
আশার আলো (১৯৮২)
পেনশন (১৯৮৪)
রামের সুমতি (১৯৮৫)
দহন (১৯৮৫)
মিস ললিতা (১৯৮৫)
বেদের মেয়ে জোসনা (১৯৮৯)
স্ত্রীর পাওনা (১৯৯১)
শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২)
অবুঝ সন্তান (১৯৯৩)
পোকা মাকড়ের ঘর বসতি (১৯৯৬)
চিত্রা নদীর পারে (১৯৯৯)
শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯)
লালসালু (২০০১)[৬]
একটি নদীর নাম (২০০২)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সম্পাদনা
আগামী
নাটক সম্পাদনা
রক্ত দিয়ে লেখা
ঢাকায় থাকি
সকাল সন্ধ্যা

পুরস্কার
একুশে পদক – ১৯৯৫ (নৃত্যে)
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – নয়নমনি (১৯৭৬)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯)

বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার
টেনাশিনাস পদক
সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড
তারকালোক পুরস্কার

রওশন জামিল ২০০২ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ঢাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (এফডিসি) প্রবেশদ্বারে ‘নয়ন সম্মুখে তুমি নাই’ শিরোনামের ফলকে প্রয়াত চলচ্চিত্রকারদের সাথে তার নাম খোদাই করা আছে।

রওশন জামিল। বাংলাদেশের শিল্প, সংস্কৃতি এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনে এই নামটি উচ্চারণই যথেষ্ট। যেমন নৃত্যে, নৃত্য শিক্ষকতায় তেমন চলচ্চিত্র অভিনয়ে, সব ক্ষেত্রেই বিরল প্রতিভায় ভাস্বর এই গুনি। বাংলাদেশ যখন মেয়েদের বাইরে বেরুনোতেই ছিলো নানান বিধিনিষেধ, সেই সময়ে রওশন জামিল, নিজেকে তৈরি করেন একজন নৃত্য শিল্পী হিসেবে। কালজয়ী বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তাঁর অনবদ্য অভিনয় বিশ্ব চলচ্চিত্রেও তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে অনাদিকাল। “জীবন থেকে নেয়া”, “তিতাস একটি নদীর নাম”, “সূর্য দীঘল বাড়ি”, এমন অনেক চলচ্চিত্রই রয়েছে, যাতে তাঁর চরিত্রটিতে রওশন জামিল ছাড়া অন্য কোন শিল্পীকে আজ অব্দি কল্পনাও করা যায়না। ২০০২ সালে মে মাসের ১৪ তারিখে উনি প্রয়াত হন। রওশন জামিলের জন্ম ১৯৩১ সালের ৮ মে, ঢাকার রোকনপুরে। নৃত্যশিল্পী, শিক্ষক, অভিনেত্রী রওশন জামিলের স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ছবিঃ (ডানে উপর থেকে নিচে) ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে রওশন জামিল ও রোজী, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ ছবির পোস্টার, ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবির পোস্টার.