ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

কেন্দ্রে ঢুকে দাখিল পরীক্ষার্থীর খাতায় কারসাজি, মাদরাসা সুপারকে অর্থদন্ড

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:৪৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • ৮৭ জন পড়েছেন ।

দেবহাটা প্রতিনিধি:

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কন্ট্রোলরুমে ঢুকে দাখিল পরীক্ষার্থীদের খাতায় কারসাজি করার সময় দেবহাটায় এনামুল কবির বাবু নামের এক মাদরাসা সুপারকে আটক সহ মোবাইলকোর্টে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত এনামুল কবির বাবু সদর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি পারুলিয়া আহছানিয়া মাদরাসার সুপার পদে দায়িত্বরত রয়েছেন। রোববার দেবহাটার সখিপুর আলিম মাদরাসায় নির্ধারিত দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষার্থীদের খাতায় কারসাজির সময় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। পরে মোবাইল কোর্টে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ১০ ধারায় তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, রোববার সখিপুর আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার নির্ধারিত কক্ষে ঢুকে পারুলিয়া আহছানিয়া মাদরাসার সুপার এনামুল কবির বাবুর বিরুদ্ধে নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের নকলে সহযোগিতার অভিযোগ আগে থেকেই পেয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সেজন্য সকাল থেকে প্রায় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। এতে করে নকলে সহযোগীতা না করতে পেরে বেকায়দায় পড়েছিলেন অভিযুক্ত সুপার। তার গতিবিধি ও আচরণ দেখে বিষয়টি বুঝতে পারলেও, তাকে হাতেনাতে ধরতে চাইছিলেন ইউএনও। পরীক্ষা শেষ হতেই অফিসে যাওয়ার কথা বলে ইউএনও পরীক্ষা কেন্দ্র ত্যাগ করেন। সাথে সাথেই সুপার এনামুল কবির বাবু কন্ট্রোল রুমে ঢুকে তার প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের খাতায় কারসাজি অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের দেয়া ভুল উত্তর গুলি কাটাকাটি ও সেখানে নতুন করে উত্তর বসাতে শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ইউএনও খালিদ হোসেন সিদ্দিকী আচমকা কেন্দ্রে ফিরে কন্ট্রোল রুমে ঢুকে পড়েন। সেসময় ইউএনও’র কাছ হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় আহছানিয়া মাদরাসার সুপার এনামুল কবির বাবু। পরে তাকে মোবাইল কোর্টে অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

কেন্দ্রে ঢুকে দাখিল পরীক্ষার্থীর খাতায় কারসাজি, মাদরাসা সুপারকে অর্থদন্ড

পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:৪৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

দেবহাটা প্রতিনিধি:

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কন্ট্রোলরুমে ঢুকে দাখিল পরীক্ষার্থীদের খাতায় কারসাজি করার সময় দেবহাটায় এনামুল কবির বাবু নামের এক মাদরাসা সুপারকে আটক সহ মোবাইলকোর্টে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত এনামুল কবির বাবু সদর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি পারুলিয়া আহছানিয়া মাদরাসার সুপার পদে দায়িত্বরত রয়েছেন। রোববার দেবহাটার সখিপুর আলিম মাদরাসায় নির্ধারিত দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষার্থীদের খাতায় কারসাজির সময় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। পরে মোবাইল কোর্টে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ১০ ধারায় তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, রোববার সখিপুর আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার নির্ধারিত কক্ষে ঢুকে পারুলিয়া আহছানিয়া মাদরাসার সুপার এনামুল কবির বাবুর বিরুদ্ধে নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের নকলে সহযোগিতার অভিযোগ আগে থেকেই পেয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সেজন্য সকাল থেকে প্রায় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। এতে করে নকলে সহযোগীতা না করতে পেরে বেকায়দায় পড়েছিলেন অভিযুক্ত সুপার। তার গতিবিধি ও আচরণ দেখে বিষয়টি বুঝতে পারলেও, তাকে হাতেনাতে ধরতে চাইছিলেন ইউএনও। পরীক্ষা শেষ হতেই অফিসে যাওয়ার কথা বলে ইউএনও পরীক্ষা কেন্দ্র ত্যাগ করেন। সাথে সাথেই সুপার এনামুল কবির বাবু কন্ট্রোল রুমে ঢুকে তার প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের খাতায় কারসাজি অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের দেয়া ভুল উত্তর গুলি কাটাকাটি ও সেখানে নতুন করে উত্তর বসাতে শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ইউএনও খালিদ হোসেন সিদ্দিকী আচমকা কেন্দ্রে ফিরে কন্ট্রোল রুমে ঢুকে পড়েন। সেসময় ইউএনও’র কাছ হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় আহছানিয়া মাদরাসার সুপার এনামুল কবির বাবু। পরে তাকে মোবাইল কোর্টে অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।