তুহিন হোসেন কেশবপুর যশোর
কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল তাঁর ভিতরে অন্যতম বৃহৎ আমের হাট গড়ভাংঙ্গা। এই হাটে বর্তমানে গুটি, ভুতো বোম্বাই,ও বিভিন্ন প্রকার আটি বা , আম বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে বিভিন্ন পাকা আম ল্যাংড়া গোপালভোগ হিমসাগর, রাজশাহী ফজলি ইত্যাদি।
মৌসুমের প্রথম থেকে আম এ-র বাজার দর কম থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে চাষীরা।
আম চাষি নাজমুল হুসাইন বলেন গড়ভাংঙ্গা গ্রামের সফল চাষি হিসাবে ছিলেন আব্দুল বারী (আম) আমার পিতা, আমি ৩ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছি, আমার পিতা সফল আম চাষি হিসাবে নাম যশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, ১৯৮২ সালে ভূতো বোম্বাই নামে আম কলম বাজারে আনেন তিনি ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পুরস্কার পান। তিনি এখন গত হয়েছেন, রেখে গিয়েছেন স্মৃতি। গেল বছরও আমের বাম্পার ফলন হয়েছিল এবারও অনেক ভালো ফলন হয়েছে । ফলনে খরজ অনুযায়ী আম এর দাম পাচ্ছেন না চাষি। এবার আমের ফলন বেশি হলেও দাম কম হওয়ায় , লসের সম্ভাবনা রয়েছে ব্যাপক । বর্তমানে আমের যা দাম তা দিয়ে খরচ উঠানো সম্ভব না।
আমচাষী শেখ জেনায়েত আলী জানান, ‘কীটনাশক শ্রমিক খরচ, ইত্যাদি খরচ মিলে আমের দাম পাচ্ছি না। এতো কম দামে আম বিক্রি করলে চাষীরা বাঁচবে কিভাবে। সারা বছর খরচ করে যদি কম দাম পাই তাহলে কীভাবে চলবো? আমরা আমের সঠিক মূল্য চাই।’
গড়ভাংঙ্গা হাটের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন মৌসুমের শুরু থেকেই এবার হাট-বাজারে এখনও আমের সরবরাহ কম। মৌসুমের শুরু এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে সব ধরনের গুটি আম পাড়া শুরু হয়েছে। প্রথমে গুটি আম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে এখন সেই আম ৮০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।