১৩৮ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
কারাগারের ডেপুটি জেলার আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে রুহুল কবির রিজভীর কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কারা ফটকে রিজভীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম। এ সময় বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘গোটা দেশই এখন কারাগার। ছোট কারাগার থেকে এখন বৃহত্তর কারাগারে প্রবেশ করেছি। বর্তমানে মানুষের কোনো অধিকার নেই। ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। গণতন্ত্রের মুক্তি মিললেই সব অধিকার ফিরে আসবে।’
রিজভী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে রুহুল কবির রিজভীকে আটক করা হয়। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ কোথায় হবে, এ নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার মধ্যেই ৭ ডিসেম্বর বিকেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নয়াপল্টন। সংঘর্ষে মকবুল আহমেদ নামের একজন নিহত ও বিএনপির অর্ধশত নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হন।
বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নয়াপল্টনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এই অভিযানে ৩০০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকেও পুলিশ আটক করে। এক মাসের বেশি সময় কারাভোগের পর গত ৯ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাস জামিনে মুক্তি পান। প্রায় পাঁচ মাস পর ৫০ মামলায় জামিনে মুক্তি পেলেন রুহুল কবির রিজভী।