ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

স্কুলের বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি আগুনে পুড়লো জনমনে নানা প্রশ্ন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৪:০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
  • ৮৭ জন পড়েছেন ।

মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়

৮ বছর আগে পাওয়া বিজ্ঞানাগারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি এতদিন ছিল প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর সেগুলো এনে রাখা হয় স্কুলের অফিস কক্ষের পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে। আর ওই পরিত্যক্ত ঘরে রহস্যজনক আগুন লাগে সোমবার রাতে। ওই আগুনে বিজ্ঞানাগারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি পুড়ে সম্পুর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে।

শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের ধারণা বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পড়ে থেকে এখন তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খোয়া গেছে মূল্যবান অনেক যন্ত্রপাতি। কয়েকটি গণমাধ্যমে“ বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি ৮ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর সেগুলো স্কুলের অফিস কক্ষের পাশের একটি রুমে এনে রাখার পরই ঘটল আগুনের ঘটনা। রহস্যজনক এই আগুন প্রধান শিক্ষককেরই কারসাজি বলে দাবি তাদের।
ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, সোমবার রাতে তারাবি নামাজের সময় লোকজন চিৎকার করতে থাকে কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আগুন লেগেছে। এসময় পাশের মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তোমকিন আলম মুকুল। বাইরে চিৎকার শুনে তিনি মুসল্লিদের নিয়ে স্কুলে গিয়ে দেখেন স্কুলের অফিস কক্ষের পাশের বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতিগুলো যে কক্ষে রাখা হয়েছে সে কক্ষে আগুন জ্বলছে। ঘটনাটি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে শুধুমাত্র কক্ষে রাখা বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়েছে। ঘরের সিলিং ও টিনের চালা রয়েছে অক্ষত। প্লাস্টিকের সিলিংটি লাঠি বা কিছু দিয়ে গুতো দিয়ে সেগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে। আগুনের কিছু অংশ ঢুকেছে পাশের অফিস কক্ষে। তবে সেখানে তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এ নিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তোমকিন আলম মুকুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সোমবার রাতে তারাবির নামাজের সময় স্কুলে আগুন লাগলে আমি এলাকার লোকজন নিয়ে স্কুলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এনে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনে শুধু বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে ঘরের কোন ক্ষতি হয়নি বিষয়টি রহস্যজনক প্রশ্ন করা হলে প্রধান শিক্ষক বলেন বিষয়টি সত্যি রহস্যজনক। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করবো।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ব্যবস্থাপক তুষার কান্তি রায় জানান, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু এলাকাবাসি এর আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, আগুনের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমরা মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, আগুনের খবর পেয়েছি। বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সদর উপজেলা মধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেই। তিনি ইতোমধ্যে আমাকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদনটি সব কিছু ফুটে না ওঠায় ঈদের পর আমি নিজেই স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞানাগারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। স্কুলে বিজ্ঞানাগার না থাকার অজুহাত দেখিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসব জিনিসপত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে তালাবন্ধ করে রাখেন। তারপর পেরিয়ে গেছে প্রায় ৮ বছর। এসময়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা না পেয়েছে কোন কিছু শিখতে না পেরেছে জিনিসগুলো দেখতে। কোনদিন তা বিদ্যালয়ে এনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বিদ্যালয় প্রধানের এমন দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এরই মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একটি দায়সারা প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রদান করেছেন। সেখানে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নেয়া লিখিত বক্তব্যটিই হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে স্কুলে জায়গা না থাকায় প্রধান শিক্ষক বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি তার বাসায় রেখেছিলেন। এখন সেগুলো স্কুলের একটি কক্ষে এনে রাখা হয়েছে। গত সোমবার রাতে স্কুলে আগুন লেগে বিজ্ঞানাগারের সকল যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

স্কুলের বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি আগুনে পুড়লো জনমনে নানা প্রশ্ন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি

পোস্ট করা হয়েছে : ০৪:০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়

৮ বছর আগে পাওয়া বিজ্ঞানাগারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি এতদিন ছিল প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর সেগুলো এনে রাখা হয় স্কুলের অফিস কক্ষের পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে। আর ওই পরিত্যক্ত ঘরে রহস্যজনক আগুন লাগে সোমবার রাতে। ওই আগুনে বিজ্ঞানাগারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি পুড়ে সম্পুর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে।

শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের ধারণা বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পড়ে থেকে এখন তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খোয়া গেছে মূল্যবান অনেক যন্ত্রপাতি। কয়েকটি গণমাধ্যমে“ বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি ৮ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর সেগুলো স্কুলের অফিস কক্ষের পাশের একটি রুমে এনে রাখার পরই ঘটল আগুনের ঘটনা। রহস্যজনক এই আগুন প্রধান শিক্ষককেরই কারসাজি বলে দাবি তাদের।
ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, সোমবার রাতে তারাবি নামাজের সময় লোকজন চিৎকার করতে থাকে কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আগুন লেগেছে। এসময় পাশের মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তোমকিন আলম মুকুল। বাইরে চিৎকার শুনে তিনি মুসল্লিদের নিয়ে স্কুলে গিয়ে দেখেন স্কুলের অফিস কক্ষের পাশের বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতিগুলো যে কক্ষে রাখা হয়েছে সে কক্ষে আগুন জ্বলছে। ঘটনাটি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে শুধুমাত্র কক্ষে রাখা বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়েছে। ঘরের সিলিং ও টিনের চালা রয়েছে অক্ষত। প্লাস্টিকের সিলিংটি লাঠি বা কিছু দিয়ে গুতো দিয়ে সেগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে। আগুনের কিছু অংশ ঢুকেছে পাশের অফিস কক্ষে। তবে সেখানে তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এ নিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তোমকিন আলম মুকুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সোমবার রাতে তারাবির নামাজের সময় স্কুলে আগুন লাগলে আমি এলাকার লোকজন নিয়ে স্কুলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এনে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনে শুধু বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে ঘরের কোন ক্ষতি হয়নি বিষয়টি রহস্যজনক প্রশ্ন করা হলে প্রধান শিক্ষক বলেন বিষয়টি সত্যি রহস্যজনক। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করবো।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ব্যবস্থাপক তুষার কান্তি রায় জানান, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু এলাকাবাসি এর আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, আগুনের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমরা মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, আগুনের খবর পেয়েছি। বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সদর উপজেলা মধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেই। তিনি ইতোমধ্যে আমাকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদনটি সব কিছু ফুটে না ওঠায় ঈদের পর আমি নিজেই স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞানাগারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। স্কুলে বিজ্ঞানাগার না থাকার অজুহাত দেখিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসব জিনিসপত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে তালাবন্ধ করে রাখেন। তারপর পেরিয়ে গেছে প্রায় ৮ বছর। এসময়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা না পেয়েছে কোন কিছু শিখতে না পেরেছে জিনিসগুলো দেখতে। কোনদিন তা বিদ্যালয়ে এনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বিদ্যালয় প্রধানের এমন দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এরই মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একটি দায়সারা প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রদান করেছেন। সেখানে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নেয়া লিখিত বক্তব্যটিই হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে স্কুলে জায়গা না থাকায় প্রধান শিক্ষক বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি তার বাসায় রেখেছিলেন। এখন সেগুলো স্কুলের একটি কক্ষে এনে রাখা হয়েছে। গত সোমবার রাতে স্কুলে আগুন লেগে বিজ্ঞানাগারের সকল যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।