শফিকুল ইসলাম,কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা)
কৃষ্ণের বাঁশির সুরে বিমোহিত হয়ে রাধা পড়েছিলেন তার প্রেমে। জার্মানির হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালার গল্প কে না জানে। বিখ্যাত গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরের ‘সখি কারে ডাকে ঐ বাঁশি নাম ধরিয়া তুই দে না বলিয়া।’ বাঁশি নিয়ে এমন হাজারো কবিতা, গান, প্রেম উপাখ্যান, গল্প ও কবিতা লিখেছেন বিশ্বের নামীদামী লেখকরা। আসলে সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায় বাঁশির সুরের মূর্ছনায়। বাঁশির সুর মানুষকে যে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এমনই এক বাঁশিওয়ালা মিন্টু সরকার।বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার ভাড়াশিমলা নামক গ্রামে।বাঁশির সুরের মূর্ছনা বাজিয়ে মানুষকে আনন্দ দেন । তাহার মন মাতানো বাঁশির সুরের টানে অনেকেই তার সামনে গিয়ে জড়ো হন। একের পর এক বাংলা ,হিন্দী গানের সুর তুলে দর্শকদের আনন্দ দেন। তাকে কখনো দেখা যায় নদীর পাড়ে কখনো কোনো লোকালয় গ্রামে বা পার্কে।এলাকায় কয়েকটি ইউটিউব বা ফেসবুক চ্যানেল এ তাহার ভিডিও বর্তমানে পোস্ট হওয়ার পর থেকে তাহার সুনাম আরও ছড়িয়ে পড়েছে। আর কেনোই বা পড়বে না বর্তমান সময়ে এসে যেখানে বাঁশির সুর গ্রামগঞ্জে আগের দিনের মতো কোথাও আর শুনা যায় না। এই
আধুনিক সময়ে এসেও তিনি প্রতিনিয়ত বাঁশি বাজিয়ে চলেছেন।তাহার এই বাঁশির সুরে সকল বয়সি মানুষেরা মুগ্ধ হন । তিনি যুবকদের উৎসাহিত করতে বলেন তাহার কাছ থেকে কেউ যদি বাঁশির সুরকরা শিখতে চান তবে তিনি তাদের অবশ্যই শিখাবেন।