একদা একসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটা ভয়ংকর কুসংস্কার ছিল স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে জীবন্ত অবস্থায় আগুনে পোড়ানো হতো।
কালের সাক্ষী হিসাবে এই সতীদাহ মন্দির এখনো বাংলাদেশে বিদ্যমান রয়েছে।
এটি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিদ্যাকুটি গ্রামে অবস্থিত,এই সতীদাহ মন্দির তৈরী করেছিলেন দেওয়ানি রাম মানক,এই মন্দিরের মাঝেই হাজার হাজার নারীকে আজ থেকে প্রায় দুশো বছর আগে মৃত স্বামীর সঙ্গে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হতো, একবার ভাবতে পারেন কি বিভৎসতায় পরিপূর্ণ ছিলো সনাতন ধর্মের রীতি ! ভাবলেই গা শিরশির করে।
লর্ড বেন্টিঙ্কের কাছে রামমোহন রায়, সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য আবেদন করেন,লর্ড বেন্টিঙ্ক রামমোহনের যুক্তির সারবত্তা অনুভব করে আইনটি পাশে উদ্যোগী হন, ব্রিটিশ শাসনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তিনি ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে আইন পাস করেন।