ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত 

শত্রুতার জেরে ঘেরে বিষ প্রয়োগে মরে গেছে ১ লক্ষের অধিক টাকার মাছ

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০১:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
  • ৮৬ জন পড়েছেন ।

আবুল কালাম বিন আকবার, কালীগঞ্জ;

কালীগঞ্জের নলতায় একটি মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার নলতা এলাকার মোঃ ফজলুর রহমানের এক বিঘা আয়তনের ঘেরে এ বিষ প্রয়োগ করা হয়। বিষক্রিয়ায় ঘেরে চাষ করা বিপুল পরিমাণ গলদা চিংড়ি মাছ মরে পানির উপরে ভেসে ওঠে।

ঘেরের কর্মচারী মোঃ মনি সাংবাদিকদের বলেন, রাত ৮টার দিকে ঘের থেকে পার্শ্ববর্তী একটি বাজারে ছিলাম। ঠিক তখনই দুর্বৃত্তরা ঘেরে রিপকর্ড বিষ প্রয়োগ করেছে। ঘেরের পাশেই পড়েছিল বোতলগুলো আমি দেখেছি।

তারাবির নামাজের কিছু পরে টের পেলাম মাছ লাফাচ্ছে। লাইট মেরে দেখি প্রচুর মাছ লাফাচ্ছে।

বুঝতে পারলাম মাছের কোনো সমস্যা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মালিককে বিষয়টি জানাই। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মাছের লাফালাফি বন্ধ হয়ে যায় এবং সব মাছ মারা যায়। সকাল থেকেই মরা মাছ ভেসে উঠতে থাকে।

প্রতিবেশীরা বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ মাছ চাষ করে। অনেক টাকা বিনিয়োগ এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় মাছ বিক্রি করতে। কিন্তু দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব মাছ মরে গেল ফজলুর রহমানের ঘেরে। এভাবে চললে মাছ চাষ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
ঘের মালিক মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, “আমার ঘেরের পাশে জায়গা কিনে বাড়ি বানিয়েছে রোজিনা খাতুন, স্বামী সদরউদ্দি। এক বছর আগে রোজিনা খাতুনের ছাগল আমার চাষাবাদ ক্ষতি করলে আমার সহকারি মনিরের সাথে তার বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মহিলা বিরূপ আচরণ ও মনি কে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। মনি তার নামে একটি মামলা করে, মামলাটি চলমান রয়েছে।

সেই মামলার জেরে রোজিনা খাতুন ও তার ছোট ছেলে রাইসুল্লা এবং একই ওয়ার্ডের সাইদুল ইসলাম, পিতা নজির, শিবপুর। তারা আমার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে। আমার ঘেরে গলদা চিংড়ির চাষ ছিল। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চিংড়ি মরে ঘের ফাঁকা হয়ে গিয়েছে ‌। আমি সরকারের কাছে এর সুস্থ তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি ফজলুর রহমান আরো বলেন, সারা বছর তারা আমার চাষাবাদ ও ঘেরে ছাগল-গরু দিয়ে ক্ষতি করে আসছে। কিছু বললেই মহিলাটি আমাদের গালিগালাজ ও মারতে আশে। রাতে বিষ প্রয়োগে আমার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার গলদা চিংড়ি মেরে ফেলেছে। আমার এতো কষ্টের ফসল যারা নষ্ট করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ

শত্রুতার জেরে ঘেরে বিষ প্রয়োগে মরে গেছে ১ লক্ষের অধিক টাকার মাছ

পোস্ট করা হয়েছে : ০১:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

আবুল কালাম বিন আকবার, কালীগঞ্জ;

কালীগঞ্জের নলতায় একটি মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার নলতা এলাকার মোঃ ফজলুর রহমানের এক বিঘা আয়তনের ঘেরে এ বিষ প্রয়োগ করা হয়। বিষক্রিয়ায় ঘেরে চাষ করা বিপুল পরিমাণ গলদা চিংড়ি মাছ মরে পানির উপরে ভেসে ওঠে।

ঘেরের কর্মচারী মোঃ মনি সাংবাদিকদের বলেন, রাত ৮টার দিকে ঘের থেকে পার্শ্ববর্তী একটি বাজারে ছিলাম। ঠিক তখনই দুর্বৃত্তরা ঘেরে রিপকর্ড বিষ প্রয়োগ করেছে। ঘেরের পাশেই পড়েছিল বোতলগুলো আমি দেখেছি।

তারাবির নামাজের কিছু পরে টের পেলাম মাছ লাফাচ্ছে। লাইট মেরে দেখি প্রচুর মাছ লাফাচ্ছে।

বুঝতে পারলাম মাছের কোনো সমস্যা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মালিককে বিষয়টি জানাই। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মাছের লাফালাফি বন্ধ হয়ে যায় এবং সব মাছ মারা যায়। সকাল থেকেই মরা মাছ ভেসে উঠতে থাকে।

প্রতিবেশীরা বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ মাছ চাষ করে। অনেক টাকা বিনিয়োগ এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় মাছ বিক্রি করতে। কিন্তু দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব মাছ মরে গেল ফজলুর রহমানের ঘেরে। এভাবে চললে মাছ চাষ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
ঘের মালিক মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, “আমার ঘেরের পাশে জায়গা কিনে বাড়ি বানিয়েছে রোজিনা খাতুন, স্বামী সদরউদ্দি। এক বছর আগে রোজিনা খাতুনের ছাগল আমার চাষাবাদ ক্ষতি করলে আমার সহকারি মনিরের সাথে তার বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মহিলা বিরূপ আচরণ ও মনি কে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। মনি তার নামে একটি মামলা করে, মামলাটি চলমান রয়েছে।

সেই মামলার জেরে রোজিনা খাতুন ও তার ছোট ছেলে রাইসুল্লা এবং একই ওয়ার্ডের সাইদুল ইসলাম, পিতা নজির, শিবপুর। তারা আমার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে। আমার ঘেরে গলদা চিংড়ির চাষ ছিল। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চিংড়ি মরে ঘের ফাঁকা হয়ে গিয়েছে ‌। আমি সরকারের কাছে এর সুস্থ তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি ফজলুর রহমান আরো বলেন, সারা বছর তারা আমার চাষাবাদ ও ঘেরে ছাগল-গরু দিয়ে ক্ষতি করে আসছে। কিছু বললেই মহিলাটি আমাদের গালিগালাজ ও মারতে আশে। রাতে বিষ প্রয়োগে আমার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার গলদা চিংড়ি মেরে ফেলেছে। আমার এতো কষ্টের ফসল যারা নষ্ট করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।