ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

কালিগঞ্জের গলঘেসিয়া নদীর চরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলপাতা

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৫:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ৭৫ জন পড়েছেন ।

আব্দুর রহিম, নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার গলঘেসিয়া নদীর চরে প্রায় চার বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে গোলপাতার বাগান। ঐ চরের বাসিন্দা মোঃ লুৎফর মোড়ল বাণিজ্যিকভাবে সুন্দরবনের গোলপাতা চাষ শুরু করেছে। বর্তমানে তিনি ঐ গোলপাতা বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছে। কর্দমাক্ত মাটিতে গড়ে ওঠা লূৎফর মোড়লের গোলপাতা বাগানটি দেখলেই প্রথমে মনে হবে এটি মিনি সুন্দরবন। পতিত জমিতে গড়ে ওঠা তার এই গোলপাতা বাগান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা গোলপাতা বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান। উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর চরে বিচ্ছিন্নভাবে গোলপাতা গাছ জন্ম নিলেও একমাত্র এই বাগানটিই বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা গলঘেসিয়া নদীর চর এ সুন্দরবনের গোলপাতার এই বাগানটি গড়ে উঠেছে। মনোরম পরিবেশ এবং সুন্দর দৃশ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। মূলত সুন্দরবন থেকে আহরণকৃত গোলপাতা এ অঞ্চলে সরবরাহ করে থাকে‌।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-অঞ্চলের শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, আশাশুনি, খুলনার পাইকগাছা,কয়রা এবং বরিশাল অঞ্চলের লোকরা ঘরের চালা তৈরিতে গোলপাতা ব্যবহার করে থাকেন। এ জন্য এ অঞ্চলের গোলপাতার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আহরণকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ৫ বছর বয়সী গোলপাতা গাছ থেকে বছরে একবার গোলপাতা কাটা যায়। শুকনো মৌসুমে সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে গোলপাতা কাটা হয়। গোলপাতা গাছের মাঝখানে কচিপাতা ও তার চারদিকে দুটি পাতা রেখে সব পাতা কেটে ফেলা হয়। গোলফল তালের শাঁসের মতো খাওয়া যায়। এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা চর্মরোগ নিরসনে সাহায্য করে। গোলপাতা বাগান দেখে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে সুন্দরবনের গোলপাতা চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান, স্থানীয় সাংবাদিক হাসেম আলী।

জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণে সুন্দরবনের গোলপাতা কম হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সুন্দরবনের গোলপাতা গাছ সংরক্ষণের জন্য উপকূল অঞ্চলের নদ-নদীর চরে সরকারিভাবে গোলপাতা বাগান গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা। এ অঞ্চলের খালে, বিলে, নদীর তীরে বিচ্ছিন্নভাবে গোলপাতা গাছ জন্মাতে দেখা যায়। পুরো দক্ষিণ অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার মাটি লবণাক্ত ও পলিযুক্ত হওয়ার কারণে এ এলাকায় গোলপাতা গাছ বেশি জন্ম নেয়। যদি সরকারিভাবে এই উদ্যোগটি হাতে নেওয়া হয় তাহলে এ অঞ্চলের চাষীদের ভাগ্য পরিবর্তনে দারুন সুযোগ তৈরি হবে। তা,না হলে কালের বিবর্তনে একদিন গোলপাতা চাষ জাদুঘরে ঠাই করে নিবে।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

কালিগঞ্জের গলঘেসিয়া নদীর চরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলপাতা

পোস্ট করা হয়েছে : ০৫:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

আব্দুর রহিম, নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার গলঘেসিয়া নদীর চরে প্রায় চার বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে গোলপাতার বাগান। ঐ চরের বাসিন্দা মোঃ লুৎফর মোড়ল বাণিজ্যিকভাবে সুন্দরবনের গোলপাতা চাষ শুরু করেছে। বর্তমানে তিনি ঐ গোলপাতা বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছে। কর্দমাক্ত মাটিতে গড়ে ওঠা লূৎফর মোড়লের গোলপাতা বাগানটি দেখলেই প্রথমে মনে হবে এটি মিনি সুন্দরবন। পতিত জমিতে গড়ে ওঠা তার এই গোলপাতা বাগান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা গোলপাতা বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান। উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর চরে বিচ্ছিন্নভাবে গোলপাতা গাছ জন্ম নিলেও একমাত্র এই বাগানটিই বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা গলঘেসিয়া নদীর চর এ সুন্দরবনের গোলপাতার এই বাগানটি গড়ে উঠেছে। মনোরম পরিবেশ এবং সুন্দর দৃশ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। মূলত সুন্দরবন থেকে আহরণকৃত গোলপাতা এ অঞ্চলে সরবরাহ করে থাকে‌।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-অঞ্চলের শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, আশাশুনি, খুলনার পাইকগাছা,কয়রা এবং বরিশাল অঞ্চলের লোকরা ঘরের চালা তৈরিতে গোলপাতা ব্যবহার করে থাকেন। এ জন্য এ অঞ্চলের গোলপাতার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আহরণকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ৫ বছর বয়সী গোলপাতা গাছ থেকে বছরে একবার গোলপাতা কাটা যায়। শুকনো মৌসুমে সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে গোলপাতা কাটা হয়। গোলপাতা গাছের মাঝখানে কচিপাতা ও তার চারদিকে দুটি পাতা রেখে সব পাতা কেটে ফেলা হয়। গোলফল তালের শাঁসের মতো খাওয়া যায়। এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা চর্মরোগ নিরসনে সাহায্য করে। গোলপাতা বাগান দেখে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে সুন্দরবনের গোলপাতা চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান, স্থানীয় সাংবাদিক হাসেম আলী।

জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণে সুন্দরবনের গোলপাতা কম হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সুন্দরবনের গোলপাতা গাছ সংরক্ষণের জন্য উপকূল অঞ্চলের নদ-নদীর চরে সরকারিভাবে গোলপাতা বাগান গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা। এ অঞ্চলের খালে, বিলে, নদীর তীরে বিচ্ছিন্নভাবে গোলপাতা গাছ জন্মাতে দেখা যায়। পুরো দক্ষিণ অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার মাটি লবণাক্ত ও পলিযুক্ত হওয়ার কারণে এ এলাকায় গোলপাতা গাছ বেশি জন্ম নেয়। যদি সরকারিভাবে এই উদ্যোগটি হাতে নেওয়া হয় তাহলে এ অঞ্চলের চাষীদের ভাগ্য পরিবর্তনে দারুন সুযোগ তৈরি হবে। তা,না হলে কালের বিবর্তনে একদিন গোলপাতা চাষ জাদুঘরে ঠাই করে নিবে।