ঢাকা জেলা প্রতিনিধিঃ
এ মর্মে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন,
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচে বিশেষ করে ১৪ তম ব্যাচের থার্ড গ্রেড প্রাপ্তির মামলা, ২৬ তম ব্যাচের বিলুপ্ত সিলেকশন গ্রেড মামলা প্রভৃতি পরিচালনা নামে ক্যাডার সদস্যদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা সংগ্রহ করে প্রায় কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু এ সমস্ত টাকা ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
চাঁদা প্রদানকারী সদস্যবৃন্দ টাকার হিসাব চাইলে নয় ছয় করে তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় ।
তাদেরকে বলা হয় মামলায় আমরা জিততে যাচ্ছি। হয়তো প্রাথমিক রিপোর্ট দেখিয়ে আরো অধিক পরিমাণ চাঁদা সংগ্রহ করার পাঁয়তারা করা হয়।
অন্ধকারে থাকা প্রত্যন্ত এলাকার বিশেষ করে মফস্বল এলাকার সদস্যবৃন্দ চাঁদা দিয়ে বছরে পর বছর অপেক্ষা করতে থাকে। অনেকে ফল না পেয়ে মৃত্যুবরণ পর্যন্ত করে । কিন্তু কাঙ্খিত সেই প্রাপ্তি ধরা দেয় না।
সম্প্রতি নায়েম ক্যাম্পাসে একটি ব্যাচের টাকা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।এ ছাড়া আরেকটি ব্যাচের রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে ইফতার মাহফিলে কয়েক লক্ষ টাকা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।
যে সমস্ত মামলার পরিচালনার নামে বড় অংকের তহবিল সংগ্রহ করা হয় তার অধিকাংশই সরকারের বিপক্ষে। কিছু মামলায় হয়তো মেরিট বুঝে ফল আসে। কিন্তু অধিকাংশ মামলায় চরম দীর্ঘসূত্রীতা হয়।
উল্লেখ্য, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ব্যাচ ভিত্তিক এহন কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে । সংশ্লিষ্ট অধিকাংশদের দাবি, এ সমস্ত কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নীতির আওতায় আনতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ২৬ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা বলেন,” এ সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়া উচিত। পেশাগত দাবিদাওয়াগুলো মেইন স্ট্রিম সমিতির মাধ্যমে সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে।তাহলে দাবি আদায় আরো সহজ হবে।”