কয়রা প্রতিনিধি:
প্রতিবছরের মতো এবারও মধু সংগ্রহের জন্য ১ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনে যেতে পারবেন। তবে সেদিন পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলের মৌয়ালেরা অনুমতি পেলেও দাপ্তরিক জটিলতার কারণে কয়রার মৌয়ালেরা অনুমতি পাননি। অবশেষে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হওয়ার তিন দিন পর আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কয়রার মৌয়ালেরা সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কাশিয়াবাদ ফরেষ্ট স্টেশন থেকে এ বছর মধু আহরণের জন্য অনুমতিপত্র ৫০ টি নৌকার (পাস) দেওয়া হয়। পাস নিয়ে মৌয়ালরা চলে যাবেন সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে মধু সংগ্রহ করতে।
পাথরখালী গ্রামের মৌয়াল শফিকুল ইসলাম খোকন জানান, বর্তমানে সুন্দরবনে বনদস্যু না থাকায় নির্বিঘ্নে মধু আহরণ করা যাবে। ৪নং কয়রা গ্রামের মৌয়াল শাহাবুদ্দীন বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর মধু আহরণের জন্য অনুমতি পেয়েছি। ৬ জনের বহর নিয়ে ১৫ দিনের জন্য বাজার সদয় নিয়ে রওনা হচ্ছি আশাকরি গত বছরের তুলনায় এ বছর মধু বেশি হবে।
৬নং কয়রা গ্রামের মৌয়াল আমিরুল ইসলাম যানান, এলাকয় তেমন কোন কাজকর্ম না থাকায় মহাজনদের কাছ থেকে ধার দেনা করে মধু কাটতে যাচ্ছি। মধু না পেলে চালানে মার খাবো ঋনের বোঝা নিয়ে টানতে হবে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনে নির্বিঘ্নে মধু আহরণের জন্য বন বিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া এবার বন্যপ্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য মৌয়ালদের সাবধানে চলাফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এ বছর সুন্দরবনে তিন হাজার কুইন্টাল বা তিন লাখ কেজি মধু ও ৮০০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা রেঞ্জের লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার ৫০ কুইন্টাল মধু ও ২০০ কুইন্টাল মোম।