নিজস্ব প্রতিনিধি :
উষ্ণতায় সবাই শিতল তরমুজ পচ্ছন্দ করে না এমন কেউ নেই।এটাকে পুঁজি করে পাইকারী ও খুচরা বিক্রতা সঙ্গবদ্ধ সিন্ডিকেটে বাড়াচ্ছে মূল্য। পবিত্র রমজান মাস সবাই তরমুজ খেতে চায় ইফতারীতে কিন্তু ক্রয় করতে গিয়ে ক্রেতা-বিত্রেতার মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছে এমন নজর চেখে পড়ে প্রতিদিন। বৃহস্পতিবার ৩০/০৩/২০২৩ তারিখ সকাল ১১ টায় কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা হাটখোলা একটি বৃহত্তর বাজারে সরেজমিনে তদন্ত করে উঠে আসলো ভয়াবহ চিত্র। খুচরা বিক্রেতা আর পাইকারী বিক্রেতার মধ্যে যেন লাভের প্রতিযোগিতা লিপ্ত। বলির পাঠার মত সাধারন ক্রেতা মেনে নিচ্ছে সব কিছু। যদি কিছু জানতে চায় বা শুনতে চায় তখনি বিক্রেতার ধমকানি খাচ্ছে “যান যান আমি আপনার কাছে তরমুজ বেচব না। আমি বেশি দামে কিনেছি তাই ২টাকা লাভ রেখে বিক্রয় করতিছি”। শুধু নলতা নয় দেশের সকল বাজারে চলছে মিষ্টি ও সুস্বাধু ফল তরমুজের রমরমা লোক ঠকানো ব্যবসা। মাঠ পর্যারে কৃষকের কাছে এক রকম মূল্য, আড়ৎদারের কাছে আর একরকম, আবার খুজরা বিক্রেতার কাছে আকাশ ছোঁয়া মূল্য।
আজ নলতা বাজারে ৬০ হাত পথের ব্যবধানে বড় তরমুজের কেজি প্রতি ব্যবধান ২০ টাকা বেশি দেখা জায় এমন দৃশ্য। খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো নলতা বাজারের আব্দুল্লাহ কাঁচা মালের আঁড়ৎ এর মালিক জানান মো: আব্দুল্লাহ জানান তার আঁড়ৎ এ পাইকারী তরমুজ বিক্রয় হচ্ছে বড় সাইজের তরমুজরগুলো প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে, মাঝারি তরমুজ কেজি প্রতি ১০ টাকা আর ছোট সাইজের গুলো বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ৭ টাকা ৭৫ পয়সা দরে। কিন্তু নলতায় পাইকারী আঁড়ৎ থেকে খুজরা বাজারের পথের ব্যবধান ৬০ হাত এর মধ্যে, সেখানে যেয়ে দেখা যায় অন্যরকম অবস্থা। সেখানে খুজরা তরমুজ বিক্রেতাদের কাছে অন্য রমক মূল্য,খুজরা বিক্রেতা জব্বার আলী জানান, তার কাছে বড় সাইজের তরমুজরগুলো বিক্রয় হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে, মাঝারি তরমুজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা আর ছোট সাইজের গুলো বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ১৫ টাকা দরে।
তাহলে বুঝলাম প্রতি কেজিতে সর্বচ্চ ২০ টাকা ব্যবধান। খোঁজ নিয়ে জানা গেল যে আড়ৎদার তার তরমুজ খেত মালিক বা কৃষকের নিকট থেকে কেজিতে নয় পার পিচ আকারে ক্রয় করে বিক্রয় করছে কেজিতে এর ফলে প্রতিটি বড় তরমুজ ওজন ৪-৫ কেজি দাম ৫০-৬০ টাকায় কিনে বিক্রয় করে ১৭৫ টাকা লাভ ১১৫ টাকা। আবস্থা দেখে মনে হচ্ছে হরি লুটের বাতাশা যে যা পারছে দাম হাকিয়ে নিচ্ছে। কোথা থেকে এই তরমুজ কিনে আনা হয় এমন প্রশ্নের উত্তর প্রথমে বরিশাল বললে আমতা আমতা করতে করতে সাতক্ষীরা বড় বাজার বললেও আসলে আসছে যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুর, রূপদীয়া, সাতক্ষীরার কলারোয়া, ঝাওডাঙ্গা থেকে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যথন বাজার মনিটারিংএ আসে তখন তারা কমদাম বলে এমন উত্তর দিলে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন পথচারি।
এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম রেডিও নলতার বাজারদর প্রযোজক শাহিন আলমের সাথে তিনি বলেন- আমাদের বাজার ব্যবস্থায় সঠিক নিয়ম কানুন ও পদ্ধতি না থাকলে তারা এমনটাই করবে এটা রোধকরা সম্ভব নয়। তাই যদি আড়ৎদার যার নিকট থেকে কিনছে ক্যাশ মেমোতে বিক্রেতা বা কৃষকের মোবাইল নাম্বর থাকে তাহলে আর এই পুকুর চুরি করতে পারবে না । খুচরা বিক্রতা কোন আড়ৎ থেকে আনছে তার মেমো থাকতে হবে তবে মূল্য বৃদ্ধি রোধ পাবে”।
বিষয়টি শুধু তরমুজে নয় প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাজারে বা ফুটপথে হকারদের নিজিস্ব সিন্ডিকেটে মূল্য বৃদ্ধি। সাধারন মানুষ এর থেকে পরিত্রান চায় যেখানে চাউল ডাউল কিনতে নাভিশ্বাস সেখানে শখের মৌসুমী ফল কেনা দুস্বপ্নে পরিনত হয়েছে।
ছবি : নলতা হাসপাতালের সামনে খুচরা তরমুজ বিক্রতা জব্বার আলী