ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত 

রূপসায় ৩ টি খালে ৪৯ লাখ টাকা পলি অপসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ১০:০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
  • ৮৬ জন পড়েছেন ।

আজিজুল ইসলাম, খুলনা।

খুলনার রূপসায় জাবুসা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির আওতায় জাবুসা বিল উপ-প্রকল্পের ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের অধীনে সেচ ও নিষ্কাশন কার্যক্রমে শুকুরমারী খাল, হরিঘোষ খাল ও নোয়াশিয়া খালের পলি অপসারণসহ রেফারেন্স লাইন সেকশন নির্মাণ কাজে সমিতি’র সভাপতি- সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাদের প্রত্যাক্ষ সহযোগিতায় দায়সারাভাবে করা হয়েছে পলি মাটি অপসারণ কাজ। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পলি মাটি কেটে খালপাড় সংলগ্ন সরকারি একমাত্র সড়কের উপর স্তুপআকারে রেখে দেওয়ায় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে। যার কারনে তাদের এমন কাজে জনগনের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঘটতে পারে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ইতোমধ্যে খালের মধ্যে গড়িয়ে পড়েছে অনেকেই বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। অপরদিকে মাটি বিক্রি করার নিয়ম না থাকলেও পার্শ্ববর্তী সাবরিনা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এন্ড গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, রূপসার জাবুসা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি তফসীল অনুযায়ি রূপসা উপজেলাধীন জাবুসা বিল উপ-প্রকল্পের ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের অধীনে সেচ ও নিষ্কাশন কার্যক্রমের আওতায় শুকুরমারী খাল, হরিঘোষ খাল ও নোয়াশিয়া খালের পলি অপসারণসহ রেফারেন্স লাইন সেকশন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তিনটি খালের পলি অপসারণ কাজে প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ লাখ ১৩ হাজার ৫২৫ টাকা। কার্যাদেশ অনুযায়ী তিনটি খালের মোট ২৫০০মিটার অর্থাৎ আড়াই কিলোমিটার পলি ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২০২৩ সালের ১২ মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। যা সাবরিনা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এন্ড গার্লস হাই স্কুলের সাইনবোর্ড থেকে হরিঘোষ খালের শেষ গেট পর্যন্ত খালের পলি অপসারণ করে স্তুপাকারে রাখা হয়েছে। একমাত্র জনসাধারণ ও যানবহন চলাচলের ব্যস্ততম সড়কের উপর।
ভূক্তভোগি, রূপসা উপজেলার ইলাইপুর গ্রামের বাসিন্দা পথচারী মোঃ আবুল হোসেন বলেন, ‘হরিঘোষ খালের পলি অপসারণ করতে গিয়ে খালের মাটি কেটে দীর্ঘদিন ধরে খালপাড়ে রাস্তার উপর ফেলে রাখা হয়েছে। এতে এলাকাবাসী ও জনসাধারণ চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সরকারি সড়কের উপর মাটি স্তুপাকারে রাখায় মোটরসাইকেল চালিয়ে যেতে না পেরে পায়ে হেটে যেতে হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জনসাধারণ চলাচলের রাস্তা মাটি দিয়ে আটকে রাখা এটা খুবই দুঃখজনক।’
ভূক্তভোগি জাবুসা গ্রামের বাসিন্দা ভ্যান চালক মোঃ কামাল শেখ বলেন, ‘খালের পলি অপসারণ করতে যেয়ে মাটি কেটে খালপাড়ে মেইন রাস্তার উপর রাখা হয়েছে। একমাস ধরে এলাকার মানুষ খুব সমস্যায় রয়েছে। মাটি কেটে দীর্ঘদিন রাস্তার উপর রেখে দেওয়ায় ভ্যান নিয়ে যাওয়া-আসা করতে পারছেন না তিনি। এমনকি মোটরসাইকেল, ডাম্পার গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদের মুসাল্লিদের যাওয়া-আসা করতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।’
অপর ভূক্তভোগি রূপসার জাবুসা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দায়সারাভাবে হরিঘোষ খালের পলিমাটি কেটে অপসারণ করা হচ্ছে। খালের পলি কেটে মাসখানেক ধরে খালপাড়ে সরকারি সড়কের উপর রাখা হয়েছে। এতে জনসাধারণের চলাচলে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পলিমাটি কেটে সাবরিনা মেমোরিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। রাস্তার উপর পলিমাটি রেখে দেওয়ায় ভ্যান, সাইকেল যেতে পাটছে না। হাই স্কুল, প্রাইমারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছেলে-মেয়েদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাইমারী স্কুলের কোমলমতি ছেলে-মেয়েরা খালে পড়ে যাওয়ার ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে চাচ্ছে না। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিয়ে বিষন্নতায় থাকতে হয় অভিভাবক মহলের। তিনি বলেন, কেউ অসুস্থ হলে ভ্যানযোগে নিয়ে যাওয়া যায় না। খুবই দুঃখজনক ও আইনবিরোধী কাজ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিধায় দ্রুততার সাথে রাস্তার উপরে স্তুপকরে রাখা পলি অপসারণের প্রয়োজন।’ আরেক ভূক্তভোগি জাবুসা উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভ্যান চালক আব্দুল জলিল শরীফ বলেন, ‘হরিঘোষ খালপাড়ে সরকারি রাস্তার উপর খালের পলি কেটে রাখা হয়েছে। তিনি ভ্যান নিয়ে বাড়ি যাওয়া-আসা করতে পারছেন না। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকেই পা পিছলে খালে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এমনও মন্তব্য করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিছুজ্জামান বলেন, ‘খালের পলি মাটি বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে যদি কোনো সামাজিক প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এমনি বিবেচনা করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।’ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘খালের পলি অপসারণের পর পলি রাখার তেমন জায়গা না থাকায় খাল পাড়ে সড়কের উপর রাখা হয়েছে। মাটি দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে।’ রূপসা উপজেলার জাবুসা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহাজান শেখ বলেন, ‘সরকারি রাস্তার উপর খালের পলি মাটি রাখা এবং যদি মাটি বিক্রি করে থাকে তাহলে সেটা সঠিক হয়নি। এছাড়া রাস্তার উপর মাটি রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা ঠিক হয়নি। আমি অসুস্থ থাকার কারণে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন। রূপসার জাবুসা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘পলি মাটি কেটে সরকারি রাস্তার উপর রাখা এটা নিয়ম বহির্ভূত কাজ। যা করা আমাদের ঠিক হয়নি।তিনি এ জনদুর্ভোগের বিষয়ের কথা শিকার করে বলেন, খালের পলি মাটি অপসারণের খালপাড়ে রাখার নিয়ম থাকলেও জায়গা না থাকায় রাস্তার উপর রাখা হয়েছে। এতে জনসাধারণ চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ফলে খুব শিগগির পলি সরিয়ে ফেলে রাস্তা ক্লিয়ার করা হবে।’
সাবরিনা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এন্ড গার্লস স্কুলের সহকারী সমন্বয়কারি মোঃ মোসলেম ফকির বলেন, ‘খাল

ব্যাপারে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সাথে কথা হয়েছিলো। এমনকি স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে কিছু টাকাও দিতে চেয়েছিলো। মাটি পরিবহন খরচ বেশি হওয়ার কারণে এখনো সরানো সম্ভব হয়নি।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ

রূপসায় ৩ টি খালে ৪৯ লাখ টাকা পলি অপসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

পোস্ট করা হয়েছে : ১০:০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

আজিজুল ইসলাম, খুলনা।

খুলনার রূপসায় জাবুসা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির আওতায় জাবুসা বিল উপ-প্রকল্পের ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের অধীনে সেচ ও নিষ্কাশন কার্যক্রমে শুকুরমারী খাল, হরিঘোষ খাল ও নোয়াশিয়া খালের পলি অপসারণসহ রেফারেন্স লাইন সেকশন নির্মাণ কাজে সমিতি’র সভাপতি- সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাদের প্রত্যাক্ষ সহযোগিতায় দায়সারাভাবে করা হয়েছে পলি মাটি অপসারণ কাজ। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পলি মাটি কেটে খালপাড় সংলগ্ন সরকারি একমাত্র সড়কের উপর স্তুপআকারে রেখে দেওয়ায় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে। যার কারনে তাদের এমন কাজে জনগনের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঘটতে পারে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ইতোমধ্যে খালের মধ্যে গড়িয়ে পড়েছে অনেকেই বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। অপরদিকে মাটি বিক্রি করার নিয়ম না থাকলেও পার্শ্ববর্তী সাবরিনা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এন্ড গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, রূপসার জাবুসা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি তফসীল অনুযায়ি রূপসা উপজেলাধীন জাবুসা বিল উপ-প্রকল্পের ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের অধীনে সেচ ও নিষ্কাশন কার্যক্রমের আওতায় শুকুরমারী খাল, হরিঘোষ খাল ও নোয়াশিয়া খালের পলি অপসারণসহ রেফারেন্স লাইন সেকশন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তিনটি খালের পলি অপসারণ কাজে প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ লাখ ১৩ হাজার ৫২৫ টাকা। কার্যাদেশ অনুযায়ী তিনটি খালের মোট ২৫০০মিটার অর্থাৎ আড়াই কিলোমিটার পলি ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২০২৩ সালের ১২ মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। যা সাবরিনা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এন্ড গার্লস হাই স্কুলের সাইনবোর্ড থেকে হরিঘোষ খালের শেষ গেট পর্যন্ত খালের পলি অপসারণ করে স্তুপাকারে রাখা হয়েছে। একমাত্র জনসাধারণ ও যানবহন চলাচলের ব্যস্ততম সড়কের উপর।
ভূক্তভোগি, রূপসা উপজেলার ইলাইপুর গ্রামের বাসিন্দা পথচারী মোঃ আবুল হোসেন বলেন, ‘হরিঘোষ খালের পলি অপসারণ করতে গিয়ে খালের মাটি কেটে দীর্ঘদিন ধরে খালপাড়ে রাস্তার উপর ফেলে রাখা হয়েছে। এতে এলাকাবাসী ও জনসাধারণ চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সরকারি সড়কের উপর মাটি স্তুপাকারে রাখায় মোটরসাইকেল চালিয়ে যেতে না পেরে পায়ে হেটে যেতে হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জনসাধারণ চলাচলের রাস্তা মাটি দিয়ে আটকে রাখা এটা খুবই দুঃখজনক।’
ভূক্তভোগি জাবুসা গ্রামের বাসিন্দা ভ্যান চালক মোঃ কামাল শেখ বলেন, ‘খালের পলি অপসারণ করতে যেয়ে মাটি কেটে খালপাড়ে মেইন রাস্তার উপর রাখা হয়েছে। একমাস ধরে এলাকার মানুষ খুব সমস্যায় রয়েছে। মাটি কেটে দীর্ঘদিন রাস্তার উপর রেখে দেওয়ায় ভ্যান নিয়ে যাওয়া-আসা করতে পারছেন না তিনি। এমনকি মোটরসাইকেল, ডাম্পার গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদের মুসাল্লিদের যাওয়া-আসা করতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।’
অপর ভূক্তভোগি রূপসার জাবুসা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দায়সারাভাবে হরিঘোষ খালের পলিমাটি কেটে অপসারণ করা হচ্ছে। খালের পলি কেটে মাসখানেক ধরে খালপাড়ে সরকারি সড়কের উপর রাখা হয়েছে। এতে জনসাধারণের চলাচলে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পলিমাটি কেটে সাবরিনা মেমোরিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। রাস্তার উপর পলিমাটি রেখে দেওয়ায় ভ্যান, সাইকেল যেতে পাটছে না। হাই স্কুল, প্রাইমারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছেলে-মেয়েদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাইমারী স্কুলের কোমলমতি ছেলে-মেয়েরা খালে পড়ে যাওয়ার ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে চাচ্ছে না। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিয়ে বিষন্নতায় থাকতে হয় অভিভাবক মহলের। তিনি বলেন, কেউ অসুস্থ হলে ভ্যানযোগে নিয়ে যাওয়া যায় না। খুবই দুঃখজনক ও আইনবিরোধী কাজ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিধায় দ্রুততার সাথে রাস্তার উপরে স্তুপকরে রাখা পলি অপসারণের প্রয়োজন।’ আরেক ভূক্তভোগি জাবুসা উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভ্যান চালক আব্দুল জলিল শরীফ বলেন, ‘হরিঘোষ খালপাড়ে সরকারি রাস্তার উপর খালের পলি কেটে রাখা হয়েছে। তিনি ভ্যান নিয়ে বাড়ি যাওয়া-আসা করতে পারছেন না। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকেই পা পিছলে খালে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এমনও মন্তব্য করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিছুজ্জামান বলেন, ‘খালের পলি মাটি বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে যদি কোনো সামাজিক প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এমনি বিবেচনা করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।’ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘খালের পলি অপসারণের পর পলি রাখার তেমন জায়গা না থাকায় খাল পাড়ে সড়কের উপর রাখা হয়েছে। মাটি দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে।’ রূপসা উপজেলার জাবুসা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহাজান শেখ বলেন, ‘সরকারি রাস্তার উপর খালের পলি মাটি রাখা এবং যদি মাটি বিক্রি করে থাকে তাহলে সেটা সঠিক হয়নি। এছাড়া রাস্তার উপর মাটি রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা ঠিক হয়নি। আমি অসুস্থ থাকার কারণে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন। রূপসার জাবুসা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘পলি মাটি কেটে সরকারি রাস্তার উপর রাখা এটা নিয়ম বহির্ভূত কাজ। যা করা আমাদের ঠিক হয়নি।তিনি এ জনদুর্ভোগের বিষয়ের কথা শিকার করে বলেন, খালের পলি মাটি অপসারণের খালপাড়ে রাখার নিয়ম থাকলেও জায়গা না থাকায় রাস্তার উপর রাখা হয়েছে। এতে জনসাধারণ চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ফলে খুব শিগগির পলি সরিয়ে ফেলে রাস্তা ক্লিয়ার করা হবে।’
সাবরিনা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এন্ড গার্লস স্কুলের সহকারী সমন্বয়কারি মোঃ মোসলেম ফকির বলেন, ‘খাল

ব্যাপারে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সাথে কথা হয়েছিলো। এমনকি স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে কিছু টাকাও দিতে চেয়েছিলো। মাটি পরিবহন খরচ বেশি হওয়ার কারণে এখনো সরানো সম্ভব হয়নি।