এর আগে গত ১৪ অক্টোবর এমনি একটা গুজোব উঠেছিলো ওই প্রভাবশালী মহিলা কমিশনারের প্রভাবে তৎকালীন তহাসিলদার আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে জমির ঘেরা কেটে দেয়া সম্পর্কে ।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার ১৭ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ভূমি মালিক হিমাদ্রি সরকার পুলিশি সহায়তা পাওয়ার জন্য ৯৯৯ নং এ ফোন করেও কোন প্রতিকার পায়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। মূলত এমন ধরনের নাটক করেই এই অপপ্রচারের লক্ষ্য। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় উক্ত জমিটির মালিক বিনিময় দিয়ে দীর্ঘ দিন ভোগ দখল করতো বর্তমানে সেই মালিক উক্ত জমি বিক্রয় করায় এখন আর এওয়োজ বা বিনিময় থাকছে না। কিন্তু ক্রয়কারী হিমাদ্রী সেটা পাওয়ার জন্য এমন নীল নকশা পেতেছে।
হিমাদ্রী সরকার যে অভিযোগ করেছে কালিগঞ্জ থানায় তার বিবরন এমন তেতুলিয়া গ্রামের গোবিন্দ ঘোষ, সাবেক ইউপি সদস্য বাবলু, সালাম, রহিম, গৌতম সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানায় উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মৃত বলাই চন্দ্র সরকারের ছেলে ভূমি মালিক হিমাদ্রি সরকার এর রেকর্ডীয় জমিতে শুক্রবার সকাল থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের বিষ্ণু সরকারের পুত্র সহদেব সরকারের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মহিলাদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে বেলা সাড়ে ১১টা হতে মঙ্গল সরকারের পুত্র কিরণ সরকার, বৃন্দাবনের পুত্র শ্রী কুমার সরকার, শ্রীরাম সরকারের পুত্র মোহন সরকার, নয়ন সরকার, গোকুলের স্ত্রী ময়না রানী সরকার, শ্রী কুমারের স্ত্রী গঙ্গা রানী সরকার, সহদেবের স্ত্রী রত্না রানী সরকার, শ্রীধর এর স্ত্রী রেখা রানী এবং ভদ্র সরকারের স্ত্রী তু রানী সরকার হাতে দা, শাবল, লাঠি সোটা নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী অতর্কিত জমির ঘেরা কাটা, মারপিট, লুটপাট শুরু করে। ওই সময় ভূমি মালিক হিমাদ্রি তার স্ত্রী ও ও কলেজ পড়ুয়া পুত্রকে নিয়ে বাধা দিতে আসলে তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এমন একটি অপপ্রচার শোনা যায়। কিন্তু অনেকে বলছে ঘটনাটি সম্পূর্ণ উল্ট হিমাদ্রি সরকারই ঘটনার হোতা। তিনি বিনিময় করা জমি নিজে দখলে রাখতে চায় বলে অপ্রচার চালাচ্ছে এবং সরকারি কর্মকর্তা ভূপালির ভাবমূর্তি নষ্ট হয় তাই তাকে জড়িয়ে গুজোব ছড়াচ্ছে।
হিমাদ্রী সাংবাদিকদের আরো জানান তেতুলিয়া মৌজার এস, এ সাবেক ১৭৪ আর, এস ৪৬১ ও সি, এস ১০০ নং খতিয়ানের ৩৫৩, ৩৫৪ দাগের অর্পিত ২৪ শতক সহ ১৬৫৭ নং খতিয়ানের ৩৫৩ দাগে ৩৯ শতক মিলে মোট ৬৩ শতক জমিতে ভূমি মালিক হিমাদ্রি সরকার শত বছরের আগে থেকে বংশানুক্রমে বসবাস করে আসছে। এরমধ্যে ২৪ শতক জমি ৬৭৭২৩ /২০২১-২২ সালে নামজারি কেসে ১/১খতিয়ান হতে আর, এস ৩৫৩ দাগের ৫শতক এবং ৩৫৪ দাগ ১৯শতক মোট ২২৬ খতিয়ানে মোট ২৪ শতক জমি রেকর্ড হয়। বাকি ৩৫৩ দাগ হতে ৩৯শতক জমি পৃথকভাবে ১৬৫৭ নং আর, এস খতিয়ানে ভূমি মালিক হিমাদ্রি আপোষ চিহ্নিত মতে ভোগ দখল, বসবাস করে আসছে। স্থানীয় মহল্লায় মন্দিরে যাওয়ার পৃথক পথ থাকলেও তাকে (হিমাদ্রিকে) শায়েস্তা করতে তেতুলিয়া গ্রামের নিমাই সরকারের কন্যা ভূপালী সরকার বর্তমানে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সি,এ সহকারি কমিশনার হিসাবে কর্মরত আছে তার প্রভাবে এমনটাই করছে বলে দাবী । ভূপালী সরকার প্রতিবেদককে জানায় সে এই বিষয়ের সাথে সংযুক্ত নয়। এলাকার কিছু মানুষ নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য তার নাম জড়িয়ে অপপ্রচার করে। আমাকে নিয়ে আরো ছড়িয়ে গত দুর্গাপূজায় ছুটিতে আমি নাকি বাড়িতে আসলে সহদেব সরকারকে ব্যবহার করে মন্দিরের পদ দাবি করে হিমাদ্রির এর নামজারি কেস বাতিল করে দেই। উক্ত নাম জারি কেস বাতিলের বিরুদ্ধে হিমাদ্রি সরকারকে দিয়ে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
বর্তমান আদালতের রায় এ নামজারি বহাল থাকলেও বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে সহদেব বাহিনী তান্ডব চালিয়ে বলে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে বিষয়ে কি হয়েছে আমি জানি না। বিষয়টি আদালাতে বিচারাধীন আদালত নিদ্ধারন করবে সঠিক জমির মালিককে। আর আমাকে নিয়ে যে অপপ্রচার চালিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করছে এটা দুঃখজনক।