ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত 

লবণাক্ত পানির ঘেরের কারণে নষ্ট হচ্ছে কৃষকদের ফসলি জমি

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৪:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • ১০৬ জন পড়েছেন ।

মোঃ নুরউল্লাহ হোসেন আটুলিয়া প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা জেলা শ্যামনগর উপজেলার ১০নং আটুলিয়া ইউনিয়নে ৮নং ওয়াডের সোয়ালিয়া গ্রামের প্রভাবশালী ঘের মালিকরা লবণাক্ত পানি উত্তোলন করে কৃষিদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। ঘের মালিকরা লবণাক্ত পানির জন্য আউট ড্রেন না রেখে মৎস্য ঘেরে পানি প্রবেশ করচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, গ্রামের অল্প কিছু মৎস্য ঘেরের জন্য এই লোনা পানির কারণে আবাদি ফসলি জমি আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থ সামাজিক উন্নয়ন টেকসই করতে ঘেরের আউট ড্রেন নির্মাণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। আউট ড্রেন না রেখে গ্রামীণ রাস্তাকে ঘেরের বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করায় তা দ্রুত ভেঙে চলে যাচ্ছে।
ঘের মালিকরা হলেন

(১)মোঃ ইব্রাহিম গাজী ছেলে মোঃ মজিবর রহমান
(২)আব্দুর রাজ্জাক গাজীর ছেলে মোঃ রাজু আহমেদ
(৩) মোঃ আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে মোঃ হান্নান গাজী
(৪) মোঃ মূত আইজুদ্দি সরদার ছেলে মোঃ রইছ উদ্দিন সরকার
কৃষক বলেন, আমাদের এলাকার গরিব কৃষকরা তাদের বারবার বলার পরেও কোন মৎস্য আইন এর নিয়ম না মেনে  নোনা পানি উত্তোলন করে মাছের ঘের করছে।  কিছু বলতে গিলে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি দেখায়। বর্তমানে আমাদের বোরো মৌসুম হওয়ার সত্ত্বেও প্রভাবশালী ঘের মালিকদের কারণে ধান করা সম্ভব হয়নি । আউট ড্রেন না থাকার কারনে বাঁধের মধ্যে দিয়ে পানি বাইরে ফসলের জমিতে প্রবেশ করে জমির মধ্যে লবণাক্ততা সৃষ্টি হয়ে গেছে। এত হাজার হাজার বিঘা ধানের ফসল জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।এভাবেই চলতে থাকলে বিগত ১/২ বছরের মধ্যে আমরা আর জমিতে কোন ফসলের আবাদ করতে পারবে না।কৃষক আরো বলেন, আমরা জনসাধারণ কৃষকরা নিরুপায় হইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করছি। যাতে আমরা কৃষি চাষ করতে পারি। আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সালেহ (বাবু) এ বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে ওই এলাকার যে সমস্ত ঘের মালিকেরা আছে। তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যাতে লবণাক্ত পানি কৃষি জমিতে না যায়। তারই প্রেক্ষাপটে আউট দেওয়া লাগবে কৃষকরা দাবি জানান।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ

লবণাক্ত পানির ঘেরের কারণে নষ্ট হচ্ছে কৃষকদের ফসলি জমি

পোস্ট করা হয়েছে : ০৪:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

মোঃ নুরউল্লাহ হোসেন আটুলিয়া প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা জেলা শ্যামনগর উপজেলার ১০নং আটুলিয়া ইউনিয়নে ৮নং ওয়াডের সোয়ালিয়া গ্রামের প্রভাবশালী ঘের মালিকরা লবণাক্ত পানি উত্তোলন করে কৃষিদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। ঘের মালিকরা লবণাক্ত পানির জন্য আউট ড্রেন না রেখে মৎস্য ঘেরে পানি প্রবেশ করচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, গ্রামের অল্প কিছু মৎস্য ঘেরের জন্য এই লোনা পানির কারণে আবাদি ফসলি জমি আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থ সামাজিক উন্নয়ন টেকসই করতে ঘেরের আউট ড্রেন নির্মাণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। আউট ড্রেন না রেখে গ্রামীণ রাস্তাকে ঘেরের বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করায় তা দ্রুত ভেঙে চলে যাচ্ছে।
ঘের মালিকরা হলেন

(১)মোঃ ইব্রাহিম গাজী ছেলে মোঃ মজিবর রহমান
(২)আব্দুর রাজ্জাক গাজীর ছেলে মোঃ রাজু আহমেদ
(৩) মোঃ আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে মোঃ হান্নান গাজী
(৪) মোঃ মূত আইজুদ্দি সরদার ছেলে মোঃ রইছ উদ্দিন সরকার
কৃষক বলেন, আমাদের এলাকার গরিব কৃষকরা তাদের বারবার বলার পরেও কোন মৎস্য আইন এর নিয়ম না মেনে  নোনা পানি উত্তোলন করে মাছের ঘের করছে।  কিছু বলতে গিলে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি দেখায়। বর্তমানে আমাদের বোরো মৌসুম হওয়ার সত্ত্বেও প্রভাবশালী ঘের মালিকদের কারণে ধান করা সম্ভব হয়নি । আউট ড্রেন না থাকার কারনে বাঁধের মধ্যে দিয়ে পানি বাইরে ফসলের জমিতে প্রবেশ করে জমির মধ্যে লবণাক্ততা সৃষ্টি হয়ে গেছে। এত হাজার হাজার বিঘা ধানের ফসল জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।এভাবেই চলতে থাকলে বিগত ১/২ বছরের মধ্যে আমরা আর জমিতে কোন ফসলের আবাদ করতে পারবে না।কৃষক আরো বলেন, আমরা জনসাধারণ কৃষকরা নিরুপায় হইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করছি। যাতে আমরা কৃষি চাষ করতে পারি। আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সালেহ (বাবু) এ বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে ওই এলাকার যে সমস্ত ঘের মালিকেরা আছে। তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যাতে লবণাক্ত পানি কৃষি জমিতে না যায়। তারই প্রেক্ষাপটে আউট দেওয়া লাগবে কৃষকরা দাবি জানান।