আবু ছালেক:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ছোটখাট সকল বিচার নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।ফলে খুশি হচ্ছে সকল জনগন।বৃহস্পতিবার ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের নের্তৃত্বে, মেম্বর সাংবাদিক মো: আবু ছালেক,মেম্বর মাহফুজ সরদার,মেম্বর আরশাদ আলী,রেবেকা সুলতানা ও সালমা খাতুনের সহযোগিতায় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অশংখ্য সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সুষ্ঠু বিচার পাওয়াই অনেকে প্রশ্ন করে আসলে গ্রাম আদালত কি, এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন গ্রাম আদালত হলো গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় যে আদালত গঠিত হয় সে আদালত হলো গ্রাম আদালত। সহজ কথায় গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে ২৫০০০টাকা মূল্যমানের দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যে আদালত বসে সে আদালতেই হলো গ্রাম আদালত। গ্রামে অনেক ছোট খাটো ঘটনা ঘটলেও এখনও কিছু মানুষ তার প্রতিকার চাইতে থানা বা জেলা আদালতে যায়, যাতে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হয় এবং এতে করে তারা আরো সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন।
এ জাতীয় ছোট-খাটো সমস্যা স্বল্পসময়ে, অল্প খরচে গ্রাম আদালতেই নিষ্পত্তি করা যায়। বর্তমান সরকার গ্রাম আদালত কার্যকরী করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও সক্রিয়।তিনি আরও বলেন সচিবদের সক্রিয় ভাবে কাজ করতে হবে এবং আসুন আমরা সবাই মিলে গ্রাম আদালতকে কার্যকরী করে তুলি। “উচ্চতর আদালতের মামলার জট কমাতে গ্রাম আদালত কার্যকরী করণের বিকল্পনাই এবং এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানকে কার্যকরি সহায়তা দিতে হবে।গ্রাম আদালতের এখতিয়ার ভুক্ত মামলা ইউপিতে আসলে তা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাধান করা হবে। ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদে প্রতি বৃহস্পতিবার গ্রাম আদালতের পাশাপাশি প্রত্যহ কমবেশি ছোট খাট সমস্যার সমাধান করার জন্য ব্যাপক খুশি হচ্ছে সাধারন জনগন,ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান কে প্রধান করে মেম্বর সাংবাদিক মো: আবু ছালেক,ইউছুপ আলী সরদার,মাহফুজ সরদার,খান আ: হামিদ ও রেবেকা সুলতানা কে সহকারি করে একটি গ্রাম আদালত বিচারক কমিটি গঠন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার গ্রাম আদালতে বিচার শেষে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান সকলের উদ্দ্যেশ্যে আরো বলেন গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সহজেই বিচার করা সম্ভব,কারন গ্রাম আদালতে মামলার খরচ খুবই কম,মামলা পরিচালনার জন্য কোন আইনজিবি প্রয়োজন হয়না,ফলে মামলা দির্ঘস্হায়ি হওয়ার কোন সুযোগ নেই।গ্রাম আদালতে কোন মিথ্যা স্বাক্ষ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই,যেহেতু ৯ টি ওয়ার্ডের মেম্বর বিশেষ করে ইউছুপ সরদার,রেবেকাসুলতানা,আরশাদ আলী,আবুসাঈদমোল্যা,মাহফুজ সরদার,রত্নাসরকার,খানআ:হামিদ,মা
গ্রাম আদালত আইনি পদ্ধতি হলেও বিবাদমান পক্ষ সমুহ এটিকে সামাজিক সংগঠন মনে করে।এবং গ্রাম আদালতের রায়কে সামাজিক সিদ্ধান্ত হিসাবে বিবেচনা করে।গ্রাম আদালতের রায়ের পরেও বিবাদমান পক্ষদ্বয়ের সামাজিক বন্ধন অটুট থাকে।যা ম্যাজিস্ট্রট বা উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালিন বা রায়ের পর বিদ্যমান থাকেনা।গ্রাম আদালতের বিচারক গন স্হানিয় হওয়াই রায় বাস্তবায়ন করা সহজ হয়। এবং গ্রাম আদালতের রায় উচ্চ আদালতেও গ্রহন যোগ্য বিধায় ফিংড়ী ইউনিয়নের সকল লোকজন গ্রাম আদালতের দিকে বেশি বেশি চলে আসছে। এবং ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের পর জনগন ব্যাপক খুশি হচ্ছে।এমন ভাবে ফিংড়ীর গ্রাম আদালত চলবে,সুষ্ঠু বিচার পাবে, জনগন হয়রানি হবেনা,এটাই কামনা করছে ফিংড়ী ইউনিয়ন বাসি।