ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

দেবহাটায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষা ক্ষেত, লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশাবাদ

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:৪০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০৫ জন পড়েছেন ।

দেবহাটা প্রতিনিধি

দেবহাটা উপজেলার প্রতিটি মাঠে হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষা ক্ষেত। ক্ষেতের পর ক্ষেত হলুদের সমারোহ। সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জনে কৃষকের মন আলোড়িত হচ্ছে। মধু আহরনে মৌমাছিরা মেতে উঠেছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হলুদের সমারোহ দেখে চোখ জুড়ে যায়। আবহাওয়া খারাপ, বৃষ্টি ও কুয়াশা থাকায় সরিষার আবাদ কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তারপরও উপজেলার উর্বর জমিতে এ বছর আশানারুপ সরিষা উৎপাদন হবে বলে কৃষকরা আশা করছে। সেই সাথে কৃষি অধিদপ্তরও লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে সরিষার আশানুরুপ ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

প্রতিটি ক্ষেতে তরতাজা সবুজ সরিষা গাছাগুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে উঠায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। এবছর যা আবাদ হয়েছে তাতে সরিষা চাষে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আংশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি সঠিক দাম পাওয়ার আশায় বুক বেধেছে এলাকার কৃৃষকরা। শীতের শুরুর আগে কৃষকরা শত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে চাষের উপযোগী জমি প্রস্তুত করেন। চাষের জমিতে বার বার চাষ দিয়ে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে পরিমিত বীজ বপন করেন কৃষক। কদিন যেতে রোপনকৃত বীজ হতে চারা গজাতে শুরু করে সবুজ গাছ।

গজানো চারা দিনদিন বাড়তে শুরু করে। দেশের তেলের চাহিদা মেটাতে এবং ফসল বিক্রয় করে ভালো দাম পাওয়ায় দিনদিন সরিষা চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। বর্তমানে সরিষা তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও তেলের দ্ম বৃদ্ধির কারনে কৃষকরা সরিষা চাষে অধিক লাভবান হবেন এ প্রত্যাশায় এবছর উপজেলাজুড়ে সকল ফসলী ক্ষেতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। ফলে দেবহাটায় প্রতি বছর বাড়ছে সরিষা চাষ। দেবহাটার সখিপুর মোড় থেকে উপজেলা সড়কের দিকে এগুতে থাকলে মাঠ জুড়ে দেখা মিলবে হলদে ফুলের সমাহার।

মাঠ জুড়ে শুধু সরিষা ফুলের রাজ্য চোখে পড়বে। গাছে গাছে হাজারো মৌমাছি গান গেয়ে মধু সংগ্রহ করছে। আর অন্যদিকে কৃষক ফসল পরিচর্চায় সময় পার করছেন। দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র মতে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার হেক্টর। সেখানে আবাদ হয়েছে ১০৭৫ হেক্টর। সরিষা চাষী মোবারক আলী জানান, তার ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর ফলন বেশি হওয়ার আশা করছেন বলে তিনি জানান। সরিষা চাষ শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ক্ষতির সম্ভাবনা তেমন নেই বলে তিনি জানান, তবে প্রকৃতি যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ফলন ভাল হবে বলে তিনি জানান। বর্তমান বাজারে তেলের দাম বাড়তি হওয়ায় সরিষা চাষ করে লাভের আশা করছেন তিনি। এ ব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর জানান, উপজেলার বিভিন্ন মাঠ এখন সরিষা চাষের দখলে। সরিষার সাথে উৎপাদিত হচ্ছে সরিষা ফুলের মধু। আর তাই কুলিয়া, পারুলিয়া ও সখিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সরিষা ক্ষেতের পাশে ২৩০ টি মৌ বাক্স বসিয়েছেন মৌ খামারীরা।

সরিষা খেতে মধু উৎপাদন করলে প্রাকৃতিক পরাগায়ন বেশি হয়, এতে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি পায় বলে তিনি উল্লেখ করে জানান, এবছর প্রান্তিক চাষীদের মাঝে বিঘা প্রতি ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি DAP, ১০ কেজি MOP দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূল আছে, তাই বাম্পার ফলনে আশাবাদী বলে কৃষি অফিসার জানান। এবছর ১২০০ টন সরিষা উৎপাদন হবে বলে শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

দেবহাটায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষা ক্ষেত, লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশাবাদ

পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:৪০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

দেবহাটা প্রতিনিধি

দেবহাটা উপজেলার প্রতিটি মাঠে হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষা ক্ষেত। ক্ষেতের পর ক্ষেত হলুদের সমারোহ। সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জনে কৃষকের মন আলোড়িত হচ্ছে। মধু আহরনে মৌমাছিরা মেতে উঠেছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হলুদের সমারোহ দেখে চোখ জুড়ে যায়। আবহাওয়া খারাপ, বৃষ্টি ও কুয়াশা থাকায় সরিষার আবাদ কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তারপরও উপজেলার উর্বর জমিতে এ বছর আশানারুপ সরিষা উৎপাদন হবে বলে কৃষকরা আশা করছে। সেই সাথে কৃষি অধিদপ্তরও লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে সরিষার আশানুরুপ ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

প্রতিটি ক্ষেতে তরতাজা সবুজ সরিষা গাছাগুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে উঠায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। এবছর যা আবাদ হয়েছে তাতে সরিষা চাষে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আংশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি সঠিক দাম পাওয়ার আশায় বুক বেধেছে এলাকার কৃৃষকরা। শীতের শুরুর আগে কৃষকরা শত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে চাষের উপযোগী জমি প্রস্তুত করেন। চাষের জমিতে বার বার চাষ দিয়ে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে পরিমিত বীজ বপন করেন কৃষক। কদিন যেতে রোপনকৃত বীজ হতে চারা গজাতে শুরু করে সবুজ গাছ।

গজানো চারা দিনদিন বাড়তে শুরু করে। দেশের তেলের চাহিদা মেটাতে এবং ফসল বিক্রয় করে ভালো দাম পাওয়ায় দিনদিন সরিষা চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। বর্তমানে সরিষা তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও তেলের দ্ম বৃদ্ধির কারনে কৃষকরা সরিষা চাষে অধিক লাভবান হবেন এ প্রত্যাশায় এবছর উপজেলাজুড়ে সকল ফসলী ক্ষেতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। ফলে দেবহাটায় প্রতি বছর বাড়ছে সরিষা চাষ। দেবহাটার সখিপুর মোড় থেকে উপজেলা সড়কের দিকে এগুতে থাকলে মাঠ জুড়ে দেখা মিলবে হলদে ফুলের সমাহার।

মাঠ জুড়ে শুধু সরিষা ফুলের রাজ্য চোখে পড়বে। গাছে গাছে হাজারো মৌমাছি গান গেয়ে মধু সংগ্রহ করছে। আর অন্যদিকে কৃষক ফসল পরিচর্চায় সময় পার করছেন। দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র মতে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার হেক্টর। সেখানে আবাদ হয়েছে ১০৭৫ হেক্টর। সরিষা চাষী মোবারক আলী জানান, তার ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর ফলন বেশি হওয়ার আশা করছেন বলে তিনি জানান। সরিষা চাষ শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ক্ষতির সম্ভাবনা তেমন নেই বলে তিনি জানান, তবে প্রকৃতি যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ফলন ভাল হবে বলে তিনি জানান। বর্তমান বাজারে তেলের দাম বাড়তি হওয়ায় সরিষা চাষ করে লাভের আশা করছেন তিনি। এ ব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর জানান, উপজেলার বিভিন্ন মাঠ এখন সরিষা চাষের দখলে। সরিষার সাথে উৎপাদিত হচ্ছে সরিষা ফুলের মধু। আর তাই কুলিয়া, পারুলিয়া ও সখিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সরিষা ক্ষেতের পাশে ২৩০ টি মৌ বাক্স বসিয়েছেন মৌ খামারীরা।

সরিষা খেতে মধু উৎপাদন করলে প্রাকৃতিক পরাগায়ন বেশি হয়, এতে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি পায় বলে তিনি উল্লেখ করে জানান, এবছর প্রান্তিক চাষীদের মাঝে বিঘা প্রতি ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি DAP, ১০ কেজি MOP দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূল আছে, তাই বাম্পার ফলনে আশাবাদী বলে কৃষি অফিসার জানান। এবছর ১২০০ টন সরিষা উৎপাদন হবে বলে শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।