ঢাকা ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরায় ২৯২ অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন বীরনিবাস

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ১২:৩১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১০৩ জন পড়েছেন ।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

বীরনিবাস পাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলার ২৯২ টি অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবার। অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জেলার সাতটি উপজেলার অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ভার্চুয়াল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরনিবাস হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। জেলার ৭ উপজেলা ও ২ টি পৌরসভায় মোট ২৯২ টি বীরনিবাস।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার সাত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ২৯২টি ঘরের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪১টি, তালা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে আটটি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৪টি, কলারোয়া উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪টি, কালিগঞ্জ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৩টি, আশাশুনি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৮টি, দেবহাটা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২টি, শ্যামনগর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শহীদ ও প্রয়াত এবং অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী-সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ লাখ ১০ টাকা ব্যয়ে একেকটি পাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে জেলার ২৯২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২২ ফুট প্রস্থ আর ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই ঘরটিতে দুটি বেডরুম, একটি ড্রইং রুম, একটি ডাইনিং রুম, একটি কিচেন রুম ও দুটি বাথরুমসহ থাকছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।

ঠিকাদাররা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এসব ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তবু জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা ঘরগুলোর নির্মাণকাজ শেষ করছেন।

সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, ‌‘মুক্তিযুদ্ধে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরকার যে ঘরগুলো দিচ্ছে তা অবশ্যই ভালো কাজ। এতে করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।’

তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়দুর হক বলেন, ‘উপজেলায় ৪২টি বীর নিবাসের কাজ চলমান রয়েছে। ডিজাইন মোতাবেক সঠিক তদারকির মাধ্যমে উপজেলার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘরের নির্মাণকাজ শেষে উদ্বোধনের জন্য চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।’

আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মো. সোহাগ খান বলেন, ‘উপকূলীয় ও দুর্যোগ প্রবণ উপজেলা হচ্ছে আশাশুনি। এই উপজেলার ৬০ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এই ঘর পাচ্ছে। তবে দুর্যোগ প্রবণ উপজেলা হওয়ায় কাজ বাস্তবায়নে কিছুটা বিলম্ব হলেও অধিকাংশ ঘরের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। উদ্বোধনের জন্য বেশ কিছু ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে।’

সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে সরকার সারা দেশে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তারই অংশ হিসেবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ করছে সরকার। জেলায় বীর নিবাসের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।’

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

সাতক্ষীরায় ২৯২ অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন বীরনিবাস

পোস্ট করা হয়েছে : ১২:৩১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

বীরনিবাস পাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলার ২৯২ টি অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবার। অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জেলার সাতটি উপজেলার অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ভার্চুয়াল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরনিবাস হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। জেলার ৭ উপজেলা ও ২ টি পৌরসভায় মোট ২৯২ টি বীরনিবাস।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার সাত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ২৯২টি ঘরের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪১টি, তালা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে আটটি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৪টি, কলারোয়া উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪টি, কালিগঞ্জ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৩টি, আশাশুনি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৮টি, দেবহাটা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২টি, শ্যামনগর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শহীদ ও প্রয়াত এবং অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী-সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ লাখ ১০ টাকা ব্যয়ে একেকটি পাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে জেলার ২৯২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২২ ফুট প্রস্থ আর ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই ঘরটিতে দুটি বেডরুম, একটি ড্রইং রুম, একটি ডাইনিং রুম, একটি কিচেন রুম ও দুটি বাথরুমসহ থাকছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।

ঠিকাদাররা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এসব ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তবু জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা ঘরগুলোর নির্মাণকাজ শেষ করছেন।

সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, ‌‘মুক্তিযুদ্ধে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরকার যে ঘরগুলো দিচ্ছে তা অবশ্যই ভালো কাজ। এতে করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।’

তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়দুর হক বলেন, ‘উপজেলায় ৪২টি বীর নিবাসের কাজ চলমান রয়েছে। ডিজাইন মোতাবেক সঠিক তদারকির মাধ্যমে উপজেলার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘরের নির্মাণকাজ শেষে উদ্বোধনের জন্য চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।’

আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মো. সোহাগ খান বলেন, ‘উপকূলীয় ও দুর্যোগ প্রবণ উপজেলা হচ্ছে আশাশুনি। এই উপজেলার ৬০ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এই ঘর পাচ্ছে। তবে দুর্যোগ প্রবণ উপজেলা হওয়ায় কাজ বাস্তবায়নে কিছুটা বিলম্ব হলেও অধিকাংশ ঘরের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। উদ্বোধনের জন্য বেশ কিছু ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে।’

সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে সরকার সারা দেশে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তারই অংশ হিসেবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ করছে সরকার। জেলায় বীর নিবাসের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।’