ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

শশুরের ঘেরে চুরি করতে গিয়ে ধরা, গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে ৯৯৯ নম্বরে কল 

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:১০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
  • ৯০ জন পড়েছেন ।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরায় ঘেরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য প্রার্থনা করেন এক মাছ চোর। শনিবার (১২ নভেম্বর) ভোর রাত ২টার দিকে সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের কদমখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বরের সহায়তায় মুচলেকা নিয়ে চোরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আটক মাছ চোর হলো, সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার কদমখালী গ্রামের আবুল মোড়লের ছেলে মোঃ আকরাম মোড়ল। এছাড়া ঘের মালিক মোশাররফ হোসেন ও  চোর দুর-সর্ম্পকে জামাই শশুর।

কুলিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জাহিদুর রহমান জুয়েল জানান, আকরাম মোড়ল একজন পেশাদার মাছ চোর। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সে দেবহাটা উপজেলার কদমখালী গ্রামের মৃত আনোয়ার মোল্যার ছেলে মোশারফ হোসেন মোল্যার মাছের ঘেরে মাছ চুরি করতে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘের মালিক মোশারফ হোসেন শনিবার ভোর রাত ২টার দিকে আকরাম মোড়লকে হাতে নাতে ধরে ফেলে।

এসময় গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য প্রার্থনা করেন আকরাম। এসময় সে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ঘের মালিকদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।

তিনি বলেন ভোর রাতে দেবহাটা থানা থেকে বিষয়টি তাকে জানানো হলে সকালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। পরে আকরাম মাছ চুরির বিষয়টি নিজে স্বীকার করে আজ থেকে এধরণের কাজ আর করবে না এবং সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ঘের এলাকায় ঘোরাফেরা করবে না মর্মে অঙ্গীকার নাম দিলে শনিবার সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ঘের মালিকের উপস্থিতিতে তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক সোভন দাস জানান, আটক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চেয়ে জানায়, তাকে ধরে এনে মারপিট করা হচ্ছে। তাকে উদ্ধার করতে হবে। থানা থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বর জাহিদুর রহমান জুয়েল সাহেবকে জানানো হয়। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। পরে জানা যায়, সে ঘরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে স্থানীয়দের গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশকে ফোন করেছে।

গাজী ফারহাদ, সাতক্ষীরা

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

শশুরের ঘেরে চুরি করতে গিয়ে ধরা, গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে ৯৯৯ নম্বরে কল 

পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:১০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরায় ঘেরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য প্রার্থনা করেন এক মাছ চোর। শনিবার (১২ নভেম্বর) ভোর রাত ২টার দিকে সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের কদমখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বরের সহায়তায় মুচলেকা নিয়ে চোরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আটক মাছ চোর হলো, সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার কদমখালী গ্রামের আবুল মোড়লের ছেলে মোঃ আকরাম মোড়ল। এছাড়া ঘের মালিক মোশাররফ হোসেন ও  চোর দুর-সর্ম্পকে জামাই শশুর।

কুলিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জাহিদুর রহমান জুয়েল জানান, আকরাম মোড়ল একজন পেশাদার মাছ চোর। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সে দেবহাটা উপজেলার কদমখালী গ্রামের মৃত আনোয়ার মোল্যার ছেলে মোশারফ হোসেন মোল্যার মাছের ঘেরে মাছ চুরি করতে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘের মালিক মোশারফ হোসেন শনিবার ভোর রাত ২টার দিকে আকরাম মোড়লকে হাতে নাতে ধরে ফেলে।

এসময় গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য প্রার্থনা করেন আকরাম। এসময় সে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ঘের মালিকদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।

তিনি বলেন ভোর রাতে দেবহাটা থানা থেকে বিষয়টি তাকে জানানো হলে সকালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। পরে আকরাম মাছ চুরির বিষয়টি নিজে স্বীকার করে আজ থেকে এধরণের কাজ আর করবে না এবং সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ঘের এলাকায় ঘোরাফেরা করবে না মর্মে অঙ্গীকার নাম দিলে শনিবার সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ঘের মালিকের উপস্থিতিতে তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক সোভন দাস জানান, আটক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চেয়ে জানায়, তাকে ধরে এনে মারপিট করা হচ্ছে। তাকে উদ্ধার করতে হবে। থানা থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বর জাহিদুর রহমান জুয়েল সাহেবকে জানানো হয়। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। পরে জানা যায়, সে ঘরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে স্থানীয়দের গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশকে ফোন করেছে।

গাজী ফারহাদ, সাতক্ষীরা